প্রথমদিকের মানুষেরা, বিশেষত প্রত্নপ্রস্তর যুগের মানুষেরা, তাদের শিকার ও সংগ্রহের জীবনে তেমন কোন আশ্রয়স্থল তৈরি করে নি। খুব স্বল্প পরিসরে মাথা গোজার ঠাই হিসেবে যেটুকু আশ্রয়ের সাহায্য তারা নিয়েছিল তা ছিল প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টি ও ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য। যে সব গুহাগুলোতে তারা আশ্রয় নিয়েছিল সেগুলোর খুব কম সংখ্যকের সামনেই তারা রাতের বেলা বা অন্য কোন সময়ে আবরণ, বেড়া বা দরজা বসাত। অর্থাৎ সব সময়ে তা প্রাকৃতিক অবস্থায় পাওয়ার মতই খোলা থাকত।
আগুনের আবিষ্কারের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুহামুখের সামনে সার্বক্ষণিক আগুনের ব্যবস্থা করা হত, যা আসলে একদিকে বন্য প্রাণির আক্রমন থেকে বাচাত এবং অন্যদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে গুহার পরিবেশ গরম রাখত। অনেক সময়ে কোন গুহায় অনেক আগে থেকে হিংস্র প্রাণি বাস করে থাকলে সেখান থেকে প্রাণিগুলোকে তাড়িয়ে দিতেও মানুষ আগুনের ব্যবহার করত। বাস্তবিক অর্থেই সর্বশেষ বরফযুগের সময়টাতে যে ভয়াবহ ঠান্ডা আর প্রচন্ড রকমের রূক্ষ আবহাওয়ার কারণে যে অনিরাপদ জীবন ছিল, তা থেকে বাচার জন্য পাহাড়ের গুহাগুলোর চেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক অন্য কোন স্থান আর ছিল না।
বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, ঐরকম ভয়াবহ অবস্থায়ও গুহাগুলোকে আদি মানুষেরা স্থায়ী আবাস হিসেবে না নিয়ে বরং সাময়িকভাবে বা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়কালীন ঋতুভিত্তিক অস্থায়ী আবাস হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিল। কেন? সহজেই বোঝা যায় যে, বেচে থাকার জন্য খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে। কারণ বরফের প্রচন্ডতায় উদ্ভিদের তেমন প্রাচুর্য ছিল না এবং সে জন্য প্রাণির সংখ্যাও তুলনামুলকভাবে কম ছিল। আর বেচে থাকার প্রয়োজনে মানুষকে ঘুরে বেড়াতে হত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ক্রমাগত ও রিরামহীন।
মানুষের প্রথম ঘর: পাহাড়ের গুহা (পর্ব ০১)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।