প্রসবকালীন ভাববিদ্যুৎ
কাফি কামাল
(৬.)
দিন আসে দিন যায় দীন পড়ে থাকে
দিনাতি দিনের ঘরে রাষ্ট্রঋণ ভারে।
এটা পাচ্ছি ওটা দাও- নিত্যপ্রয়োজন
অবশ্যই দিতে হবে নয় আন্দোলন।
অতএব চিত্রায়িত সেব দৃশ্যই
মানুষ যে দৃশ্য দেখে ঘুমোতে পারে না।
(৭.)
অভিযোগের তীরসহ প্রতিকাক্সক্ষার গল্প-গুজবে
আড়াই মাস ধরে মাড়াই করে যাচ্ছি বাকসূত্র।
শুনছি বাক বড়াই আর দৃশ্যত থোড়াই কেয়ার
ফলে টুকে নিচ্ছি কাটাকাটি শেষে পাচ্ছেন পাঠক।
যারা চোখ বুলাচ্ছেন তাদের উৎকণ্ঠা বেজে উঠছে
আর বিবর্তিত হচ্ছে প্রশ্নে প্রশ্নে সম্ভাব্য উত্তর।
যারা রাস্তায় দৌঁড়–চ্ছি তাদের কর্ণকুহরে জমছে
মতনৈতিক কূটবাষ্পসহ সংবাদের মলমূত্র।
(১০.)
কিছু মেয়ে অলঙ্কারের কুহক ভেদ করছে আর কিছু মেয়ে অলঙ্ক ৃত হয়ে উঠছে। ফলে কৌতুহলী ছেলেরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে।
পুরুষ সুশীল আর মেয়েরা মানুষ হতে প্রাণপন... সমতার বদলে বেড়ে যাচ্ছে সমূহ দূরত্ব। মেয়ে দিয়ে শুরু মেয়েতেই শেষ- কেন্দ্রবিন্দু জুড়ে থাকে ছেলে।
তর্কের উনুন জ্বলে ঢিমেতালে ফুঁক দিয়েছিল বেগম রোকেয়া... ধীরে ধীরে বয়ে ধ্বনি হাওয়াময়, সমঅধিকার কাঁপে।
(১৫.)
মাংস পট্টির প্রতিটি দোকানে
ঝুলে আছে ফর্সা নারীর রান
সিনা, চর্বি আর টুকরো পাঁজর।
অপারগ দেখছে রান ও সিনা
রাগী পুরুষেরা নাড়ছে পাঁজর
কালো নারীরা কিনছে সাদা চর্বি।
হৃদয়ের রঙিন পর্দা জুড়ে
ফর্সা মেয়ের মুখ উঁকি দিচ্ছে
কৃষ্ণ দীঘল বিনুনী দুলিয়ে।
সুর সমন্বিত চিত্রনাট্যের
বিজ্ঞাপনী কথার জাদুতে
উড়ছে বহুজাতিক সুখবাষ্প।
রক্তে মিশেছে বর্ণ বিদ্বেষ
শ্যামল নারী আর তামাটে নর
এ মিলে হবে না সুখের ঘর।
(১২.)
পাখিচত্ত্বর আর পশুসড়ক
আমাদের শহরেও আছে।
পাখি ফ্রুৎ
পশু ঘোঁৎ
মুহুর্মুহু, নিরন্তর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




