বাঘিনী
নিঃস্ব দুপুরে আজো উদরে বাজে রণ সংগীতের সুর
বাঘিনী দরজা খোলো চেয়ে দেখি অন্ধ সুন্দরবন।
সাতরাজ্যের মায়া মমতা যত্ম আত্মির হাড়িকুড়ি
কিছুই এখন ছুঁয়েও দেখবো না
কেবল তোমাকে ভাবতেই দু'চোখ জোড়পুকুর।
দুপুরে তোমার লঙরে মেরেছে ক্ষুধা
বিকালেই দেখি গাইছে বদনাম
তোমার হাসির শব্দে তখন উঠোনে ঝরতো পাকা আম
আমাদের শাঁস দিয়ে চুষতে কেবল আঁটি।
তোমার উপমা হতে ঝরে পড়ে পুষ্ঠ কাঁঠাল
বাইরে কাঁটার ঘের, ভেতরে সুস্বাদু কোঁয়া।
ডলুর দু'কুলে আজো ডাক শুনি বাঘিনী আইয়ের
দসু্ ছেলের মা'রা ভুলেনি তোমার নাম
যথার্থ বাঘিনী তুমি সাহসের প্রিয় বড়বোন।
.......................................
নন্দন কানন
ক্লান্তি রচিত এ সমস্ত বিজ্ঞাপন দিন
জমা করে নন্দন কানন।
মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা অজাতশত্রু ভ্রুণের অস্থিরতায়
পাশফেরা অভিজ্ঞ জননীর মতো
স্নিগ্ধ কোলাহল মুখর।
হরিদ্রাভ বেকারত্বের ঘুন
আগুনের ধিকিধিকি পরিত্রানে
খুঁজে নেয় শহর কুতুব।
যার আলখেল্লার কাজ সারে সবুজ নার্সারী
কপালের জয়টীকা বুদ্ধের অশত্থ।
আমিষাশী পেঠের অসুখে
সব্জিময় ছায়া আর পাতার চশমা ফ্রি
শব্দসুর ডাকাতেরও কোমল আশ্রয়
নিত্যনাব্য নন্দন কানন।
....................................................
মুন্সি বাড়ির বউ
আম কাঁঠালের দিনে
গাঁয়ে আসেন মুন্সি বাড়ির বউ।
চোখ ঢাকা কালো সানগ্লাসে
হাতে রয় শ্যাম দেশি তালের পাখা।
সাবধানে রাখেন শালিক পা
মলিনতা ছুঁয়ে দেবে ধুলো আলিঙগন।
তবুও মুন্সি বাড়ির বউ
অপরাহ্নে চলে যায় নদীর কিনার।
গৃহস্থ বধুরা ফোটে কৌতুহলী মেঘে
বেড়ার ফোকর দিয়ে হেসে ওঠে গ্রাম।
উঠোনে সন্ত্রস্ত সবে কার বাড়ি আসে
এমন দুঃখের দিনে গ্রামের গৌরব।
(ডলুতীরে টংঘর)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




