বান্দরবান
শশীর বয়স বারোদিন হল
চোখ পড়ে গেছে বন্ধুর
অয়ি পাহাড়িনী দাও দেখি তিন পোয়া
ঝিরিতে নামছে লালা।
রসা আর ভুনা
উচ্ছ্বাসে চাখি সালাদের বাটি
প্লেট যায় আসে ক্ষু্ধা থাকে
হোটেলটা বেশ পরিপাটি।
রাত মাঝমাটে
ধিকি ধিকি প্রহরীর বাঁশি
এখনো নামেনি শীত
চলো দাদা শঙ্খের ব্রীজ ঘুরে আসি।
ধরো প্রস্রাবে পেলো, মাথা ঝিম ঝিম
শুয়ে শুয়ে বিছানাটা একশা
কাল কাল হবে নাকি ম্যানেজার
ধুৎ যা।
ভোরে ঘুরে আসি অকপটে বলে মিথ্যা
থাক, অসুখে কাহিল মাসি
উচ্ছল তরী কাছে শঙ্খ
বান্দরবান ভালবাসি।
...............................................
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
তরমুজের মতো শীতল কিছু পৃথিবীর পোড়া
প্রার্থনার ভঙ্গিতে আকাশমুখী
চন্দ্রদুখীর কোলে-
চন্দ্রমুখী কবির মুখে
সনির্বন্ধ সতর্কতার হাত নড়ে মন্দিরে মন্দিরে।
ল্যান্ডক্রুজারের গতি পায়ের প্রেরণা হারাতে চায়
গলাচিপা চাপে বায়ারের মনোগতি
অদ্ভুত গোঙানীর মধ্যে ফিরতি পায়ের চাঞ্চল্য
পিঠ চাপড়ায়- ইয়াং বয়, ইয়াং বয়।
চন্দ্রনাথের কাঁধে চড়ি যুগল কাঙাল
মুড়ো-মোটকা, চিড়ে-চ্যাপ্টা
ইচ্ছে হলেই পেড়ে নেব অস্তমান সুর্যটাকে।
আমলকি মনে হনুমান জপে রাম নাম
চন্দ্রপোড়ার আঁচল উড়িয়ে যান্ত্রিক অজগর ছুটে যায়
বাতাসে ভাসিয়ে নিঃশ্বাসের কালো ধোঁয়া।
সূর্য দিলে বঙ্গোপস্লানে ডুব
নামতে নামতে ঘামতে থেমে মন্দির চত্ত্বরে
ভোগের খিচুড়ি খাই
আর এক আজলা চন্দ্রনাথের স্নিগ্ধ অশ্রুজল।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১০ রাত ১০:৪৪