![]()
কবি:দেখলেন তো কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়।
নারী:হুম
কবি: এত হুম হুম কেনো? মন খারাপ প্রিয় মানুষটির সাথে আসতে পারেননি তাই?
নারী:হুম?
কবি:এত অন্যমনস্ক কেনো আপনি। আরে ভাই ভুলে যান অতীতের কথা। অতীত নিয়ে কেউ পড়ে থাকেনা। জীবন অনেক সুন্দর! সুন্দর এই অপার ধরিত্রী।
নারী:রাখুন আপনার হাইথট।
কবি: হা হা হাইথট বলাটা কি আপনার মুদ্রাদোষ বলুন তো?
নারী: জানিনা
কবি:ঐ পারে যাবেন?
নারী:কোন পারে?
কবি:মানে এই ক্ষেত পেরিয়ে ঐ সবুজ দিগন্তে। আপনার প্রেমিকের মত কলাই এর ক্ষেত না পাই সবুজ বনানী দেখিয়ে আনতে পারি । যাবেন?
নারী: আচ্ছা চলুন যাই।
নারী:শহরের এত কাছে এমন জঙ্গল এলাকা? আমার ধারনাই ছিলোনা।
কবি:এই বিশ্মব্রমান্ডের কতটুকু আর ধারনা পেয়েছেন বলুন? জীবনের আরওকত বাকী!
নারী: আপনি না খুব বুড়োদের মত কথা বলেন। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
কবি: হা হা ওকে আর কথাই বলবোনা। ঠিক আছে?
নারী: না ঠিক নেই।
নারী:আচ্ছা ওটা কি হরিয়াল পাখি? ঐযে রঙ্গিন.......
কবি: না ওঠা হরিয়াল না,ওটা কাঠঠোকরা। উডপেকার। মাথায় ঝুঁটি.....
নারী: ওহ হা মনে পড়েছে। এতে হাসির কি হলো?জায়গাটা কেমন অন্ধকার ঝুপসী। আচ্ছা এইখানে কি গুই সাপ আছে?
কবি: গুই সাপ? কি জানি থাকতেও পারে।
নারী: কি বলেন? চলেন ফিরে যাই।
কবি: হা হা ভয় পাবেন না। গুইসাপেরা আমার মত মানে হার্মলেস আর তারাও মনে হয় শীতনিদ্রা দেয়।
নারী: না না আমার ভয় লাগছে।চলুন ফিরে যাই।
কবি: ভয়? আরে কেনো? আচ্ছা আমার হাতটা ধরবেন?
নারী: কেনো?
কবি: ভয় কমতে পারে।অথবা.......
নারী: অথবা কি?
কবি:বলবো?
নারী:বলেন
কবি: অথবা প্রেমিক বা স্বামীর সাথে এমন বনানীতে ঘুরে বেড়ানোর মনো বাসানা পূর্ণ না হবার দুঃখটুকু হয়তো কিছুটা লাঘব হবে।
নারী:মানে?
কবি: মানে আর কিছু নয়। আমার হাতটা ধরুন। না হয় কিছুটা সময়ের জন্য দুঃখ ভুলুন। সারাজীবনের অপ্রাপ্তির দুঃখগুলো। কিছুটা সময়রের জন্য না হয় হারিয়ে যাক ঐ সুদূরে। ভুলে থাকুন সকল অপ্রাপ্তি, বঞ্চনার কষ্ট।
কবি: আপনার হাত বড্ড নরম। ঠিক যেন শিশির ভেজা পদ্ম কোরোক।
নারী:ধ্যাৎ। কি যে বলেন
কবি: লজ্জা পেলেন?
নারী:একটু
কবি:লজ্জা পেলে আপনি রাঙ্গা হয়ে যান। ভাবছেন একা পেয়ে এসব বলছি? জানেনই তো আমি কিছু লুকাতে জানিনা। মানুষ কষ্ট পায় স্যাকরিফাইজ করে করেই। স্যাক্রিফাইজ খারাপ না তবে খারাপ যেটা সেটা মনের কষ্টগুলোকে পুষে রাখা। এতটুকু জীবনে কতকিছুই না পাবার দুঃখ রয়ে যায়। আপনি তো একদম চুপ হয়ে গেলেন । কি ভাবছেন?
নারী:কিছুনা।
কবি: হা হা আপনি আপনাতে নেই । আপনার মন ঘুরে বেড়াচ্ছে কোথায় বলেন তো? আচ্ছা এক কাজ করেন সেই গানটা গান। দূরে কোথাও দূরে দূরে .........আমার মন বেড়ায় ঘুরে..........
কবি: আপনার গলা খুব সুন্দর! আপনার ইচ্ছে পূরণ করতে গিয়ে আপনিও আজ আমাকে উপহার দিলেন সুন্দর কিছু মুহুর্তের। সুন্দর এই কবিতার মত দিনটি আমার মনের ফ্রেমেও বন্দী হয়ে রইবে সারাজীবন। হা করে কি দেখছেন?
নারী: নাহ কিছুনা। আপনি খুব অন্য রকম। আর দশটা মানুষের সাথে মেলেনা আপনার প্রকৃতি। আমি ঠিক মেলাতে পারিনা।
কবি: হা হা হা হা হা আমি ছন্নছাড়া, ভবঘুরে এবং বন্য
নারী: বন্য!
কবি: হা হা হা হা ভয় পেলেন? ভয় পাবেন না আমি ভালোমানুষ। কখনও কারো ক্ষতি করিনি।
নারী:ঠিক তো!
কবি: হুম ঠিক ঠিক ঠিক । হা হা হা
কবি:আপনাকে একটা চুমু খেতে পারি?
নারী: কক্কি!!!
কবি: হা হা আৎকে উঠলেন? হাহাহা হা হা হা আৎকাবেন জানতাম তবে এতটা আৎকাবেন তা বুঝিনি। দেখুন আমি অনুমতি চেয়েছি। নিজেকে বন্য বলেছি বলেই বুনোর মত ঝাঁপিয়ে পড়বো এমন ইচ্ছে নেই আমার। আপনি অনুমতি দিলেই শুধু একবার চুমু খাবো।
দী--র্ঘ---চুম্বন। আজকের এই সুন্দর দিনটির স্মৃতিময় চুম্বন।
এরপর আগামীকাল-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




