somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী, কবি ও মুগ্ধতার রাহুবলয়

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কবি: আরে কোথায় ছিলেন? ফোন অফ। ফেসবুকে কোনো সাড়া শব্দ নেই।লুকিয়ে ছিলেন?
নারী: না না লুকাবো কেনো? বলা নেই কওয়া নেই সেদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ উনি ব্যাংকক এর টিকেট এনে হাজির।
কবি: হঠাৎ একেবারে ব্যাংকক?
নারী: সেই তো! যেতে চাইলাম কোনো হিমশীতল নদীর বুকে পানসী নিয়ে বয়ে যেতে, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য দুচোখ ভরে অবলোকন করতে আর উনি কিনা নিয়ে আসলেন ব্যাংককের টিকেট।
কবি: হা হা হা তো ব্যাংককে কি প্র্কৃতি নেই? নেই তার সৌন্দর্য্য ?
নারী: আছে.... তবে আমাদের মত এমন সবুজ শ্যামল ধানের শীষে বাতাস খেলে যাওয়া দোলের সৌন্দর্য্য কোথা্য পাবো বলুন? কোথায় পাবো এমন উছল হলুদ সরিষার বন? কোথায় আছে এমন শান্তির ছোট একখানি গ্রাম্য কুটির?
কবি: হা হা তা নেই বটে তবে একেই বলে যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই যাহা পাই তাহা চাইনা।
নারী: রাখেন আপনার কবিতা। তবে যাই বলেন
আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন
শ্যামল কোমল পরশ ছাড়া যে নেই কোনো প্রয়োজন......
এই গান আমার কানে বেজেছে এই কটাদিন সারাক্ষন, অনবরত, অকারণ, গুন গুন গুন .........
কবি: তাই নাকি? আপনি দেখছি ভীষন দেশপ্রেমিক।

নারী: দেশপ্রেমিক কিনা জানিনা কিন্তু ওদেশের সমুদ্র দেখে আমি হতাশ!কোথায় আামাদের অপার সমুদ্রের অনাবিল হাওয়া আর কোথায় ওদেশের সমুদ্র সৈকত...... আমাদের সাগরের এই গর্জন, তীরভাঙ্গা ঢেউ এর কলতান আর ওখানের কুলুকুলু ছোট ছোট ঢেউ। এর চাইতে আমাদের নদীতেও অনেক ঢেউ আছে যাই বলেন, আর তাই তো বারেবারে আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়, ধান শালিখের গায় ........ তা আপনি এ কদিন কি করলেন? সারাদিন ঘুমিয়েছেন? নাকি কবিতা লিখেছেন?

কবি: হুম লিখেছি।
নারী: শোনান শোনান , শিঘ্রী শোনান, দেখি কি লিখেছেন?
কবি: শোনাবো?
নারী: হুম শোনান....
কবি:
চলে যাবে যাক
বাঁকানো গ্রিবায় আরেকটু দাঁড়াক
না হয় নির্বাক সুষমায়
নিপাট শয্যায় লজ্জারা পালাবে দূর
দিগন্তদিক চিক চিক সন্ধ্যা-সকাল
চোখের ভেতর খুলে দিক অনন্ত আড়াল

নারী: বিরহে ছিলেন?
কবি: হুম
নারী: তা এই টুকুই?
এই দুই সপ্তাহ ধরে এত্তটুকু লিখলেন ?

কবি: পাতাল খুড়ে মাতাল শামুক
গুপ্ত সুখে দৃষ্টি কা্মুক
নিষেধ সব নিচ্ছে ছুটি
খোলস ছোলা বৃষ্টি নামুক......

নারী: হা হা হা আপনার শেষ লাইনে এসে তো আমার একটা কথা মনে পড়ে গেলো।
কবি: কি কথা?
নারী: বলবো?
কবি: বলেন......
নারী: খোলস ছোলা বৃষ্টি শুনে আমার তো রোজার মাস মনে পড়ে গেলো। মানে ছোলা, বুট, বেগুনি হা হা হা হা
কবি: হা হা আপনার মাঝে প্রচন্ড ছেলেমানুষি আছে যা কখনও যাবেনা নন্দিনী......
নারী: আরে আপনি দেখছি এখনও বেশ মনে রেখেছেন নন্দিনীর কথা।
কবি: হ্যাঁ আর আপনার কাছে আমি শুভংকর।
নারী: তা বটে । তবে আমাকে যতখানি নন্দিনী মনে হচ্ছে আমি আসলে ততটা না।
কবি: মানে?
নারী: মানে আমাকে যতটা কাছের মানুষ বলে মনে হয় আমি আসলে তা নই।
কবি: মানে কি? কি বুঝাতে চাইছেন বলুন তো?
নারী: মানে আমি হলাম ওমন টাইপ একজন মানুষ, ঐ যে একশো হাত দূরে থাকুন হা হা হা ।
কবি: আপাতত হাজার লক্ষ হাত দূরেই তো আছি।
নারী: হাজার লক্ষে কুলোবেনা শুভংকর। কোটি কোটি হতে হবে।
কবি: তাই?
নারী: হুম
কবি: আচ্ছা তাই হবে। আচ্ছা আপনার কি মানুষকে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয়?
নারী: ঠিক তা না । তবে বিশ্বাস করে জীবনে অকারণ ঝামেলা বাড়াতে আর ভালো লাগেনা।
কবি: হিসেবী নারী।
নারী: হিসেবী।
কবি: হুম হিসেবী তবে আপনি দুরন্ত বালিকা।আপনাকে বোঝা খুব একটা কঠিন না।
নারী: আচ্ছা আপনি কি রাশি?
কবি: বৃশ্চিক।
নারী: মাই গড! বৃশ্চিক রাশির মানুষেরা খুবই রাগী হয়।অনেক জিদ্দীও হয়।
কবি: হয়তোবা। কিন্তু আপনার উপর আমার রাগ হয়না।
নারী: সত্যি?
কবি: হুম সত্যি কারণ আপনাকে পড়তে পারি আমি।
নারী: ছাই পারেন। আমার মুগ্ধতা যেমনি আসে। ঠিক তেমনি চলেও যায়।
খুব তাড়াতাড়ি।
কবি: হা হা হা তাই? তবে কিছু মুগ্ধতার বলয় থেকে বের হওয়া অসম্ভব। যে মুগ্ধতার বলয় গ্রাস করে ফেলে বা গিলে ফেলে তার ছোঁয়া আপনি বোধহয় পাননি এখনও নন্দিনী........

১ম
Click This Link

২য়
Click This Link

৩ৃয়
Click This Link

৪র্থ
Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×