![]()
নারী: আপনি আজ কোথাও বের হননি?
কবি: না। প্রেমিকার সাথে আলাদা সময় কাটালাম।
নারী: সেই আলস্য প্রেমিকা? ছি ছি এই বাজে প্রেমিকাটার পাল্লায় পড়লে জীবনে আর কিছুই হবেনা।
কবি: জীবনের কাছে চাইবার কিছু নেই আমার।
নারী: তাই নাকি! কিছুই চাইবার নেই?
কবি: না নেই। আমি প্রায় দুঃখহীন মানুষ।
নারী: কিভাবে!
কবি: কারণ আমাকে কেউ কখনও কষ্ট দেয়নি।
নারী: ইশ!!! নাম্বার ওয়ান মিথ্যা কথা। তাইলে সেই ৮ বছরের প্রেম কি দিলো?কেউ কষ্ট না দিলে যারা চলে গেলো তারা কি দিলো?
কবি: হুম আনন্দ। আনন্দ দিলো। কারণ ২৮ বছরের প্রেম আমি ফিরিয়ে দিয়েছি।
নারী: মেয়েদের কেউ ফেরায় নাকি?
কবি: ফেরায়। যদি সেটা তার জন্য ভালো হয়।
কবি: আপনি প্রেম কেয়ার করেন?
নারী: প্রেম কেয়ার করা আবার কি?আপনি কিন্তু আসলেও একটু পাগল আছেন। মানে ঠিক পাগল না একটু আউলা ঝাউলা।
কবি: হুম কাজেই সাবধানে থাকবেন এই পাগল থেকে।
নারী: এহ রে !
নারী: আপনি খেয়েছেন?
কবি: কেনো ? খাওয়াবেন?
নারী: না খাওয়াবোনা। এমনি জিগাসা করলাম। আচ্ছা আপনার প্রিয় খাবার কি?
কবি: বলবো?
নারী: বলেন।
কবি: চুমু।
নারী: চুমু!
কবি: হ্যা. বিস্মিত হলেন? সেটাই আমর প্রিয় খাবার।হা হা হা
নারী: আপনি না!আপনার মনে যা আসে তাই বলে ফেলেন তাই না?
কবি: হুম । মনের কথা মনে চেপে রাখতে নেই।তাতে কষ্ট বাড়ে।
নারী: যা মনে আসে তাই বলে ফেলা কিসের লক্ষন জানেন?
কবি: জানি ।
নারী: কিসের?
কবি: প্রেমিকের। প্রেমিকের লক্ষন।
নারী: প্রেমিক না আপনার মাথা।
কবি: তো কিসের লক্ষন?
নারী: পাগলের। পাগলের লক্ষন।
কবি: হা হা হা
নারী: আগামী বই মেলায় কবিতার বই বের করছেন না?
কবি: করছি।
নারী: কি নাম বইটার?
কবি: দ্বিতল দরিয়া।
নারী: বাপরে! আনকমন! ভালোই... আপনার প্রিয় ঋতু কি?
কবি:ঋতুবতী মেঘের মাস
নারী: মানে বর্ষা?রবীন্দ্রনাথের মত।
এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘন ঘোর বরিষায়
কবি:না, বর্ষা না
নারী: তবে?
কবি: ঋতুবতী মেঘের মাস
নারী: ধ্যাৎ কি যে বলেন! সেটা আবার কি মাস? সে যাই হোক এমন দিনে তারে বলা যায়, গানটা রবিঠাকুরের বৌদিকে নিয়ে এই কথাটা জানেন?
কবি: জানি।উনি ভাগনি, ভাতিজি, বৌদি, ক্রিয়া, পরকিয়া সব করেছেন এ্যান্ড আই লাইক ইট। নইলে কি এত সুন্দর সব আবেগী কাব্য, সঙ্গীত আমরা পেতাম? আসলে প্রেম কোনো সম্পর্ক মানেনা।উনি বড় ছোট, গোপনে, প্রকাশ্যে বহুপ্রেমে আসক্ত ছিলেন।
নারী: আপনার কথা শুনে হাসতে হাসতে মরছি আমি। আচ্ছা আপনার কত মেয়ে বন্ধু?
কবি: কয়েকশো।
নারী: কয়েকশো! আচ্ছা? বউ আসলে সবকটাকে ঝাটাপেটা করে তাড়াবে।
কবি: না তাড়াবেনা। ওহ হ্যাঁ আর আমার মেয়ে বন্ধুরা সব রুপবতী।
নারী: ইশ ! রুপবতী নাতো কাঁচকলাবতী।
কবি: হা হা হা আপনিও তবে কাচকলাবতী?
নারী: আমি কেনো?
কবি: আপনি কি আমার বন্ধু নন?
নারী: না
কবি: তবে কি আপনি। আপনি আমার কে?
নারী: কেউ না।
নারী: আচ্ছা আপনি বান্দরবান গেছেন? নীলগিরি নীলাচল?
কি সব সুন্দর নাম! যেমনি সুন্দর নাম, তেমনি তার প্রকৃতির সৌন্দর্য্য! নীলগিরিতে পাহাড় চূড়োয় রাতে যখন চাঁদ ওঠে। এত্ত বড় থালার মত চাঁদটা মনে হয় এক্কেবারে কাছের। হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলা যায়।
কবি: মনের মত সঙ্গী থাকলে সব জায়গাই সুন্দর!
নারী: একা একাও সুন্দর! যাইহোক গেছেন কিনা বলেন?
কবি: কেনো বলুন তো? নিয়ে যাবেন?
নারী: ধ্যাৎ! নিয়ে যেতে হবে কেনো সবখানে? একা যেতে পারেন না?
কবি: না পারিনা........
আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরী........
নারী: উফফ আপনি না ..........
কবি: কি?
নারী: মাঝে মাঝে আপনাকে আমার খুন করতে ইচ্ছে করে।
কবি: ঠিক আছে । আপনাকে খুন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
নারী: না থাক, দরকার নেই। তারপর আবার পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে।
কবি: না কেউ ধরবেনা, জানবেনা কেউ, দেখবেনা কেউ শুধু আমি খুন হয়ে যাবো.......
নারী: আচ্ছা একটা কাজ করেন, একটা নোট লিখে দিয়ে যাবেন যে, আপনার মৃত্যুর জন্য কেহই দায়ী নয়।
কবি:দরকার নেই...
নারী? কেনো দরকার নেই শুনি?
কবি: বললাম না কেউ ধরবেনা, কেউ জানবেনা, দেখবেনা কেউ...
শুধু আমি খুন হয়ে যাবো........আর আপনি বেঁচে যাবেন.....
নারী: কি যে বলেন? খুন করার পর কেউ বাঁচে নাকি?
কবি: হুম হয়তও হ্যাঁ নয়তো না। কিন্তু আমার খুনী বেঁচে যাবে.......বেঁচে থাকবে সে অনন্তকাল ...
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শতরূপে শতবার
নারী: জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার ........
কবি: আমি সত্যি খুন হয়ে যাবো নন্দিনী, সেটাই আমার চাওয়া, সেটাই কাম্য আমার
আর আমার খুনী সুখে থাকবে, ভালো থাকবে সে......অনন্তকাল......
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



