এত আবেগ দিয়ে কি করবেন ? দেশ বাঁচলে না আপনি বাচবেন, আবেগ রে গুলি মারেন একত্র হন সকলে, ক্রিকেট ছাড়া আমাদের আরও অনেক ইস্যু আছে, সেগুলো নিয়ে লিখেন, সংগ্রাম ছাড়া কোন কিছু পাওয়া যায় না। দেশে থাকতে গেলে দেশ কে বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করতে হবে, পাওনা আদায়ের সংগ্রাম করতে হবে, পাওনা আদায় করে নিতে হবে।
সবার টনক নড়ার জন্য আবার ও কালেংকারি লিস্ট গুলো দিলাম
এক নজরে দেশের আর্থিক সেক্টরের দুর্বিত্তায়নের আকার গুলোঃ (কালেক্টেড)
১। ২০০৪ থেকে ২০১৩ অর্থ পাচার হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।
২। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে চুরি গেছে ৮০০ কোটি টাকা।
৩। ৩ ব্যাংকের ৬ এটিএম বুথ থেকে চুরি হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
৪। পজ মেশিনের মাধ্যমে খোয়া যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে কয়েক কোটি টাকা।
৫। ব্যাংকগুলোর হিসাব থাকলেও কার্যকর নেই প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা।
৬। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা ।
৭। ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
৮। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা নেই ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
৯। সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
১০। জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
১১। রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬ হাজার কোটি টাকা।
১২। অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
১৩। অন্যান্য ব্যাংক মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের বর্তমানে প্রায় ২৫ ভাগই খেলাপি যা মোট ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
১৪। শেয়ারবাজারে ২০০৯/১০ সালে বিভিন্ন কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে তুলে নিয়েছিল ৪১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
১৫। ১৯৯৬ সালের শেয়ার ধসে লুটপাট করা হয় ১০ হাজার কোটি টাকা।
১৬। সরকার মালিকানাধীন ৬ ব্যাংক ডকুমেন্টে কারসাজি / মিথ্যা ঘোষণা / জমির জাল দলিল। সম্পত্তির বর্ধিত মূল্য সরকারি বেসরকারি হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুট করে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা ।
১৭। সোনালী জনতা অগ্রণী রূপালী বেসিক ও বাংলাদেশ কমার্স এ ৬ ব্যাংক থেকে সাম্প্রতিককালে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
১৮। হলমার্ক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক খাতের সোনালী ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬শ কোটি টাকা।
১৯। শুধু শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকাকালীন বেসিক ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
২০। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে রূপালী ও জনতা ব্যাংকে ক্ষতির পরিমাণ ৬২৭ কোটি টাকা।
২১। ২০০৬ সালে সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে লুট করা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা।
২২। ডেসটিনি যুবক এবং ইউনিপেটুইউ সহ বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানি হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬