আমার প্রিয় উক্তি, ”আ ফ্রেন্ড ইন নিড ইস আ ফ্রেন্ড ইনডিড।” সত্যিই, কতটুকুই বা বাস্তবতা খুঁজি আমরা এইসব উক্তিগুলোর? যারা বহু আগে এইসব উক্তি করে গেছেন তারা হয়ত অভিজ্ঞতার আলোকেই করেছেন।
এই শিরোনামটি দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম আমার বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে। আমার বড় ভাইয়ের বয়স যখন ১ বছর, তখন এক অত্যন্ত মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার কারনে আমার মা ৩ দিন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালে থাকতে হয় ৬ মাস। এরপর থেকে ঠিকমত হাঁটাচলা করতে প্রায় বহুদিন সময় লাগে আম্মার। বয়সের কারনে এবং অস্টিওপোরোসিসের কারনে মা’র হাঁটাচলা এখন স্বাভাবিক বলা যায়না। তবুও তিনি কষ্ট করে স্কুলে পড়িয়ে সংসারটা টিকিয়ে রেখেছেন। আমার আব্বাও ছিলেন শিক্ষক। তিনি প্রায় ৩২ বছর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শিক্ষকতা করেছেন, ৭ বছর ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০১ সালে তিনি রিটায়ের করেন। এমতাবস্থায় সংসারের হাল আম্মাকেই নিতে হয়। যারা ছোটবেলা থেকে আমাকে মানুষ করেছেন, ভাল-মন্দ বুঝিয়েছেন, সত্য-সরল পথে চলার প্রেরণা যুগিয়েছেন বড় হয়ে তাদের সাপোর্ট দেওয়াই তো আমার কাজ। সব সময় আল্লাহর উপর বিশ্বাস আর মা-বাবার দোয়া যে বৃথা যায়না তা হয়ত সত্যই। হয়ত আমি তা পেয়ে গেছি বা পেতে যাচ্ছি আমরা নিজেও তা জানিনা। তাই যতদূর পারি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করি। বাংলাদেশকে ঘিরে বিশাল স্বপ্ন বোনার চেয়ে পরিবারের প্রতি যত্নবান হওয়া বড় বলে মনে করি(বাংলাদেশিদের স্বার্থপর মনোভাব পাল্টানো না পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়ণের স্বপ্ন দেখা বৃথা)। আর কয়েক মাস পরেই আমাকেই তো সংসারের হাল ধরতে হবে! তাই যৌবনের সীমাহীন উল্লাস ও উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে না দিয়ে বর্তমানের ছোট ছোট সুখই আমার পছন্দ।
যারা আমার এই লেখাটি পড়ছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা নিজ নিজ পরিবারের প্রতি যতœবান হোন। দেখবেন এর মাঝেই প্রকৃত সুখ নিহিত, কারন - চ্যারিটি বিগিনস এট হোম।
আমি সকল ব্লগারের দোয়াপ্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






