somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের গোপালবাবু

০৪ ঠা মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালার জন্য। দরূদ ও সালাম আল্লাহর রসূল, দোজাহানের সর্দার, বিশ্বশান্তির একমাত্র আদর্শ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর। আমরা দোয়া করি আল্লাহতায়ালা লেখক ও পাঠক উভয়পক্ষকেই হেদায়াত দান করুন। আমীন]

গোপালদার সাথে আমার সপ্তাহে একদিন আইসিইউ-তে ডিউটি পড়ে। গোপালদা হলো আইসিইউ-র উস্তাদ মানুষ। যত ক্রিটিকাল পেশেণ্ট হোক তার ম্যানেজ করতে লাগে দশ থেকে বিশ মিনিট। একসাথে তিনটা রোগী রিসিভ করতেও সমস্যা নেই। ইণ্টার্নী শেষ হওয়ার পর থেকে গত দশ বছর ঢাকার বড় বড় আইসিইউ-তে ডিউটি করে হাত পাকিয়েছে। যাহোক দাদা খুব মিশুক প্রকৃতির। নরম দিলের মানুষ। ছোট একটা বাচ্চা আছে। মাত্র হাঁটা শিখেছে। শুয়ে শুয়ে অনেক রাত পর্যন্ত বাচ্চার সাথে কথা বলে। "বাবা বাবা হাঁটি হাঁটি পাপা।" শ্বশুর সিলেটের একজন নামী ডাক্তার। দাদার নিজের বাড়ি মানিকগঞ্জ। দাদার সাথে ডিউটি করতে আমার খুব ভাল লাগে। আমি হচ্ছি নামাজ, কুরআন হাদীস, দ্বীন ধর্ম নিয়ে থাকা মানুষ। কোন কোন রাতে আমাদের রুমে কুরআন হাদীসের তালিমের আসর বসে। গভীর রাতে আইসিইউ-র স্টাফ লিটন ভাই চলে আসে, "জহির ভাই কিছু বলেন।" আমি কিতাব বের করে পড়া শুরু করি। গভীর রাতে পরম ধ্যানের সাথে একের পর এক হাদীস পড়তে থাকি। তৌহিদ, আখিরাত, জান্নাত জাহান্নামের আলোচনায় হৃদয় নরম হয়ে যায়। ঐ মজমায় গোপালদা হলো একনিষ্ঠ শ্রোতা। সময় বয়ে চলে। সারাদিনের ক্লান্তিতে শ্রোতারা ঢুলতে থাকে। আমি ডাক দিলে দাদা লাফ দিয়ে উঠে, "হ্যা, জহির ভাই বলেন, আমি কিন্তু শুনতেছি।" তালিমের বরকতে হযরত উমর (রাঃ) হেদায়েত পেয়েছিলেন। আরো বহু মানুষ তালিমের বরকতে এখনও হেদায়েত পাচ্ছেন। এভাবে দাদার সাথে বহুদিন যাবৎ একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

গত কিছুদিন যাবৎ দেখি দাদার মন খারাপ। বলে যে তাদের গ্রামের বাড়ির পাশের বাড়ির এক লোক তার বাবার সাথে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করে। বলে ঐ লোকের তাদের বাসায় কামলা খাটার যোগ্যতাও নাই অথচ তার বুড়ো বাবাকে মারতে আসে। শুনে আমার ভাল লাগেনা। মন খচখচ করে। তো গতকাল দেখলাম গোপালদার মন বেজায় খারাপ। নিজে থেকেই বলল, জহির ভাই, আগামীকাল আমাকে একটু সকালে ছেড়ে দিয়েন। গ্রামে বিচার হবে। দোষ করল ঐ লোক অথচ বিচারও ডাকল ঐ লোক। তার বাবাকে হুমকি দিতেছে, লাইত্থায়া ইন্ডিয়ায় পাঠায়া দিব। আবার তাদের বাড়ির সীমানায় নাকি কাটাকাটিও শুরু করে দিছে। দাদা আমাকে জিজ্ঞেস করে, ভাই গত দশ বছরে গ্রামে কত ফ্রী রোগী দেখলাম তারা আমার পক্ষে থাকবেনা? জানেন ভাই গ্রামে খালি আমার বাবাটা আছে বইলা শ্বশুরবাড়ির দিকে যাইনা। গোপালদার কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। দাদা বলে চলে এইটা আমার দেশ। আমি ইন্ডিয়া কেন যাব? দাদা এদিক সেদিক ফোন করতে থাকে।

আমি বললাম, দাদা পুলিশরে জানাইছেন? গোপালদা বলল, না। পুলিশ টুলিশ কইরা কি আর গ্রামে থাকা যাবে? তারচেয়ে নিজেরাই একটা মিটমাট করি গিয়া। আমি বললাম, দাদা সালিশে কি কোন আলেম থাকবে? দাদা বলল, না। গ্রামের মাতবররা থাকবে আর কি। আমি বললাম, কোন ঘটনা ঘটলে দোষ পড়বে সব আলেম ওলামাদের। আপনি এক কাজ করেন, কোন আলেমকে বিচারে রাখার চেষ্টা কইরেন। আমি আলেমদের চিনি। তারা ন্যায়ের পক্ষ থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত হবেনা। অবশ্য তাদের রাজি করানোটা মুশকিল। দাদা বাহিরের কাউকে রাখতে রাজী হয় না।

অগত্যা আমি বললাম, প্রতিবেশীর হক্ব সম্পর্কে ইসলামের বিধানগুলি জেনে যান। কাজে লাগবে। আমি কিতাব বের করলাম। দাদা আমার গা ঘেষে বসল। হযরত ইবনে ওমর ও আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, একদা হযরত জিব্রাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত তাগিদ দিতে লাগলেন যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনে হলো জিব্রাঈল আমিন বোধহয় প্রতিবেশীকে সম্পদের উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাবেন। (বুখারী ও মুসলিম)

প্রতিবেশীর হক্ব সম্পর্কিত হাদীসগুলো একে একে পাঠ করতে লাগলাম। দাদা বলল, এত সুন্দর সুন্দর কথা। ওরাতো মূর্খ মানুষ। এগুলো বুঝতে পারবেনা। আমি বললাম, তাহলে লিখে দেই। আপনি পাঠ করে শুনায়েন। আশা করি তারা বুঝতে পারবে। দাদা কাগজ কলম এনে দিল। আমি লিখলামঃ

রিয়াজুস সালেহীন কিতাবের ৩০৫ নং হাদীসঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়; আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়; আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, কে সেই (হতভাগ্য) ব্যক্তি? তিনি বলেন, যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়। (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।

রিয়াজুস সালেহীন কিতাবের ৩০৮ নং হাদীসঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানের আদর-আপ্যায়ন করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)

রিয়াজুস সালেহীন কিতাবের ৩০৪ নং হাদীসঃ
হযরত আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে আবু যার! যখন তুমি তরকারী পাকাও, তখন তাতে একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোলটা বাড়িয়ে নিও এবং তোমার প্রতিবেশীকে তা পৌঁছে দিও। (মুসলিম)

অতঃপর আমি লিখলাম অপরের অধিকার বিষয়ে পবিত্র কুরাআন থেকে সূরা আন-নিসার ৩৬ নং আয়াতের অর্থানুবাদ।
"তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করোনা; পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর; ইয়াতীম ও মিসকিনদের প্রতিও এবং নিকট প্রতিবেশীর প্রতি, দূর প্রতিবেশীর প্রতি, পাশাপাশি চলার সাথী ও পথিকদের প্রতি এবং তোমাদের অধিনস্থ ক্রীতদাস ও দাসীদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন কর। আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে কখনও পছন্দ করেননা যে নিজ ধারণায় অহংকারী এবং নিজেকে বড় মনে করে আত্মগৌরবে বিভ্রান্ত।"

এরপর আমি আমার নিজের তরফ থেকে সালিশী বৈঠকের সকলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখলাম।

আসসালামু আলাইকুম। আমার শ্রদ্ধ্যেয় মুরব্বীবর্গ, সমাজের গন্যমান্য জ্ঞানীগুণি ব্যক্তিগণ ও আমার ভাই বেরাদর বন্ধুরা। আমি আপনাদের সন্তান গোপালবাবুর একজন বন্ধুমানুষ। আজকে গোপালবাবু যে সমস্যায় পড়েছে তাতে আমি দুঃখিত, ব্যাথিত। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মানুষের অধিকার রক্ষার শিক্ষা দিয়েছেন। যা ইতিহাসের পাতায় ও হাদীসের কিতাবগুলিতে স্বর্ণাক্ষরে লিখা আছে। যে জাতী সারা পৃথিবীকে সভ্যতা শিখাল আজ তারা কেন এত অপমানিত? কারণ আমরা আল্লাহর রাসূল বিশ্বশান্তির একমাত্র আদর্শ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই নূরানী শিক্ষা ভুলে গিয়েছি। আমার শ্রদ্ধ্যেয় মুরব্বীগণ, আসুন আজকে আমরা সবাই মিলে আমাদেরই ভাই, আমাদেরই সন্তান গোপালবাবু ও তার পরিবারের নিরাপত্তা ও শান্তির ব্যবস্থা করি। যদি আমরা তা করতে পারি তাহলে মহান আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন জান্নাতে আমাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।

আমার ভাই ও দোস্তরা, আসুন আজ আমরা একে অপরকে ক্ষমা করে দেই। আমি নিজেও আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

ইতি, আপনাদের এক ভাই,
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

আমি গোপালবাবুকে বললাম, সব কাগজগুলো স্ট্যাপলার করে রাখেন। সালিশ বৈঠকে আপনার আবেগের কথাগুলো বলে এগুলো জোরে জোরে পাঠ করবেন। পারবেননা? দাদার চোখ ভারী হয়ে আসে। আমি আবেগ লুকাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি। খুব সকালে দাদা চলে যাওয়ার সময় বলে, জহির ভাই যাই। দোয়া কইরেন। আমি বললাম, ফী আমানিল্লাহ। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম গোপালদার চলার পথের দিকে। কুরআন হাদীসের এলেম নিয়ে লড়াই করতে যাওয়া এক ব্যক্তির চলার পথ আমাকে উজ্জীবীত করতে লাগল।

পাঠক-পাঠিকাবৃন্দের প্রতি আরজঃ এই পৃথিবীর সংঘাত-সংঘর্ষ এবং মানবীয় সকল সমস্যার সমাধান মানবীয় কোন বুদ্ধি বিবেক দিয়ে করা সম্ভব না। একমাত্র আসমানওয়ালার ফয়সালাই পারে জমিনওয়ালাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে। যে শিক্ষা পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ক্বওমী মাদ্রাসাগুলোতে দেয়া হয়। আসুন অহংকার পরিহার করে আমরা শুনি মাদ্রাসা থেকে বের হওয়া আলেমরা আমাদের কি বলতে চায়। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের জীবনকে সাজাই। ইনশাআল্লাহ নিশ্চিন্তে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×