আমার মেয়ের নাম সিদরাতুল মুনতাহা। বয়স ৫ ছুঁই ছুঁই। আজ আমার মেয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম দিন। আল্লাহর অসীম মেহেরবানিতে দ্বীনী শিক্ষার মাধ্যমেই পড়ালেখাটা শুরু হলো। আমাদের মহল্লায় একজন বিদূষি আপা আছেন। তার মাদ্রাসায় দিলাম। য়ালেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করে নিয়েছিলাম আগেই। তার কাছ থেকে অনেক বাচ্চারা আল্লাহর রহমতে হাফেজ হয়ে বের হয়েছে। তারা এখন আমাদের মসজিদে তারাবিও পড়ায়। কিছুদিন আগে এক অন্ধ মেয়ে তার কাছ থেকে হাফেজা হয়ে বের হলো। গত দু' তিন বছর থেকে আমার বাচ্চার মা-ই পড়াচ্ছিল। আমি প্রয়োজনীয় প্রাথমিক বইগুলো লিখে দিয়েছিলাম। কম্পিউটারে কম্পোজ করে লেমিনেটিং করে দিয়েছিলাম।
এতদিন ধরে ওগুলোই পড়ত। অ আ ১ ২ এসব। আর কিছু নূর। ক-তে কুরআন, কুরআন পড় মহব্বতের সাথে। খ-তে খেদমত, খেদমতে আল্লাহ রাজি। বেশ কয়েক বছর আগে দেখেছিলাম এক মা তার বাচ্চাকে পড়াচ্ছে, ই-তে ইঁদুর, ইঁদুরছানা ভয়ে মরে। ও জিনিস পড়ার চাপে বাচ্চাটাই যেন ভয়ে মরছিল। আমি লিখে দিলাম, ই-তে ইসলাম, ইসলাম কবুল কর। যা ইনশা'আল্লাহ আপনাদের সাথে অচিরেই শেয়ার করব।
ইউনিসেফের অর্থায়নে পরিচালিত বাচ্চাদের ইনজুরি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করতে গিয়ে শিখেছিলাম বাচ্চাদের ছোটবেলার শিক্ষা তার বড়বেলাকে কিভাবে প্রভাবিত করে। ওরা অবশ্য বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমৃদ্ধ করার জন্য নাচ, গান, ছড়া শিখাত। পরে আমি চাকরিটা ছেড়ে দেই। আমাদের এত সমৃদ্ধ ইসলামি শিক্ষা থাকতে অর্থহীন পড়ালেখা কেন? যে ছেলে বা মেয়ে অ-তে অজগর শিখে, আর হাট্টিমা টিম টিম শিখে তাকে যদি বড়বেলায় বলা হয় সন্ত্রাস করোনা, দুর্নীতি করোনা, নেশা করোনা, সে শুনবে কেন? তার মূল সফটওয়ারেতো এ বিষয়গুলো ছিল না।
যাহোক আমার বাচ্চাটার আজকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম দিন। আপনারা সবাই ওর জন্য দু'আ করবেন। লেখাপড়াটা যেন ওর জন্য হেদায়েতের নূর হয়। আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন যেন দুনিয়া ও আখিরাতে ওর জন্য শান্তির ফয়সালা করেন। সবাই বলুন, ফী আমানিল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



