somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি চার আনার পুঁটিমাছ ও লাল কাতলের গল্প

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ লেখাটি যারা 'যুক্তির গোলাম' তাদের জন্য।

গল্পটা শুরুর পূর্বে একটা ভূমিকা আছে। সে ভূমিকার পূর্বে আমি পবিত্র কুরআন শরীফের একটি আয়াত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আর যারা ধৈর্য্য ধরে পড়বেন তাদের জন্য সবশেষে আছে একটা উপসংহার। এ লেখাটি পড়ার কারণে আমি দোয়া করি আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন আপনাকে হেদায়েত দান করুন ও দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন।

ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

"সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক।"
(সূরা ফাতিহা, আয়াত - ১)


ভূমিকাঃ আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন অসংখ্য জগত সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার সৃষ্ট সব কয়টি জগতের খোঁজখবর রাখেন এবং তাদের প্রতিপালন করেন। সৃষ্টিজগতের মধ্যে আছে ইহকালীন জগত ও পরকালীন জগত। ইহকালীন জগতের মধ্যে আছে আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যে সবকিছু। পরকালীন জগতে আছে কবর জগত, হাশর জগত, পুলসেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম। এখন আমাদের পরকালীন জগতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। যদি কেউ পরকালীন জগত বিশ্বাস না করে তাহলে সে মুসলমান থাকবে না।

আল্লাহর কিছু বান্দা আছেন যারা মূলত যুক্তির গোলাম। তারা সব কিছুতে যুক্তি খোঁজেন। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যেসব জায়গায় যুক্তি কাজ করে না। যেমন আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি সাল্লাম গায়েবের যেসব খবর দিয়েছেন সেসব বিষয়ে যুক্তি কাজ করে না। ওগুলো বিশ্বাস করে নিতে হয়। যেমন পরকালীন জীবন কেমন হবে তা পৃথিবীর কোন যুক্তিবাদী গবেষণার মাধ্যমে বের করতে পারবে না। এখানে যুক্তি 'ফেল।' এক্ষেত্রে প্রয়োজন 'বিশ্বাস।' এখন আল্লাহর কিছু বান্দারা শুধু যুক্তি তালাশ করে। যুক্তিতে না বনলে তারা বিশ্বাস করবে না।

কিন্তু তারা একটা বিষয় কি খেয়াল করেন না? ইহকাল ও পরকাল দুটি দু' জগত। আপনি এক জগতে বাস করে অন্য জগতের মাপজোখ বুঝতে পারবেনা না। যেমন আখিরাতের একদিন দুনিয়ার ১০০০ বৎসরের (অপর বর্ণনায় ৫০০০০ বৎসরের) সমান। দুটি বর্ণনাই সঠিক। এর দ্বারা আপনি কি বুঝলেন? আসলে আমি আপনি বুঝতে পারি না তাই বলে কিন্তু তথ্যটা মিথ্যা নয়। তথ্য সত্য। মূল বিষয়টা হল দুনিয়ায় অবস্থান করে আপনি আখিরাত পরিমাপ করতে পারবেন না। আখিরাত পরিমাপ করতে হলে আপনাকে আগে 'মৃত্যুর' মাধ্যমে আখিরাতে প্রবেশ করতে হবে।

অনুরূপভাবে, মায়ের উদরদেশ আর পৃথিবীর বক্ষদেশ দুটো দু' জগত। মায়ের উদরদেশে বসে পৃথিবীর হিসাব-নিকাশ করা সম্ভব নয়। মায়ের গর্ভস্থিত বাচ্চাকে যদি পৃথিবী বিষয়ে ধারণা দেয়া হয় তাহলে এটা তার মেধায় ধরবে না, তার যুক্তিতেও আসবে না। আপনি যদি কোন ভ্রূণের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন তবে তাকে পৃথিবী বিষয়ে একটা 'লেকচার' দিবেন।

পৃথিবী বিষয়ে লেকচারঃ

[এটি অত্যন্ত বিশাল একটি আবাসস্থল। এর উপরে রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ আর নীচে জমিন। আকাশে সূর্য্য উঠে। তখন দিন হয়। সূর্য্য পৃথিবী থেকে তের লক্ষ গুণ বড়। সূর্য্য ডুবলে রাতের আঁধারে ছেয়ে যায় প্রান্তর। কোটি কোটি মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করে। মানুষের সংখ্যার চাইতেও কোটি কোটি গুণ বেশি বাস করে প্রাণী। ছোট একটা পিঁপড়ার বস্তিতেও হাজার হাজার পিঁপড়ার বাস। এছাড়া রয়েছে উদ্ভিদ জগত। সেখানে আছে বিশালাকৃতির কোটি কোটি কাঁঠাল, লাউ, কুমড়া। আরো আছে সাত মহাসাগর, পাঁচ মহাদেশ, অসংখ্য দ্বীপ, পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, বেলাভূমি ও মরুভূমি। সাগরে আছে বড় বড় বরফের চাঁই আর উথাল পাথাল ঢেউ। এক একটা পাহাড় এমনও আছে এক একটা শহরের চাইতে বড়। পৃথিবীর স্থলভাগে চলে রেল ও মোটরগাড়ি, স্টিমার চলে পানিতে, বিমান আর রকেট করে আকাশে উড়াউড়ি।]

আপনি এ বর্ণনা যদি মায়ের গর্ভে অবস্থিত কোন ভ্রূণকে দেন সে কি এর কিছু উপলব্ধি করতে পারবে? এখন ঐ ভ্রূণ যদি 'যুক্তিবাদী' হয় সে হয়ত বড়জোর বলবে, কি পাগলের প্রলাপ বকছ? আমি এতটুকু একটা ভ্রূণ হাত পা টানটান করার জায়গা পাই না। আর তুমি বলছ তোমাদের আকাশে এরোপ্লেন ও রকেট উড়াউড়ি করে। না না এগুলো আমার যুক্তিতে ধরে না।

আসলে সমস্যা ঐ ভ্রূণের না। ব্যাপারটা হলো সেতো মায়ের পেটের বাইরের জগত দেখেনি।

ঠিক একইভাবে, জলজগত ও স্থলজগত এক নয়। মাছ যতই সে গভীর জলের হোক না কেন তার পক্ষে ডাঙার জীবন অনুধাবন করা কঠিন। এখন আমরা আসি আমাদের মূল গল্পে।

একটি চার আনার পুঁটিমাছ ও লাল কাতলের গল্পঃ

এক ব্যক্তি মাছ ধরার জন্য দিঘীতে বড়শি ফেলেছে। বড়শির মুখে টোপ। দিঘীতে ছিল বড় এক কাতল মাছ। তার ছিল বড় বড় লাল রঙের আঁশ। সে ছিল যেমন লড়াকু তেমন পেটুক। দিঘীতে তার প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে সকলে তাকে সমীহ করত। আর ছিল সেখানে এক পুঁটিমাছ। সে ছিল পুচকে আর তার মূল্যও ছিল অনেক কম। তবুও তার একটি বিশেষ গুণ ছিল। সে জ্ঞান শিক্ষা করত। বহু কিছুর হাকীকত ছিল তার জানা।

একদিন পুঁটিমাছ লক্ষ্য করল কাতলের 'অস্বাভাবিক গতি'। সে তড়িঘড়ি করে কাতলের পথরোধ করল। পুঁটি জিজ্ঞাসা করল, "ভাই কাতল, কোথায় যাও?" কাতল ঐ টোপের দিকে তাকিয়ে বলল, খাবার শিকার করতে যাই। পুঁটি বলল, কাতল ভাই, যতটুকু এসেছ, এসেছ। আর সামনে যেও না। সামনে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়ো না। জীবন হারিও না। তোমার হাতজোড় করে বলছি ফিরে যাও ভাই। কাতল তখন অধৈর্য্য। সে সামনে আগানোর জন্য ছটফট করতে লাগল। বলল, কোথায় বিপদ? আমি দেখছি খাবার, তুমি বলছ বিপদ? ঐ যে দেখা যাচ্ছে সুস্বাদু খাবার। পুঁটি বলল, ভাই দেখ, এ বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই। আর আমি এ বিষয়ের মৌলভী। এ বিষয়ে আমার লেখাপড়া আছে। ভাই ওটা কস্মিনকালেও খাবার নয়। ওটা খাবারের মত দেখতে একটা আবরণ। ওর ভিতর আছে লোহার কাটা। তার সাথে আরেকটি উল্টো কাটা। ওটার সাথে বাঁধা আছে এক সূতা। সূতার সাথে সাথে বাঁধা আছে একটা শক্ত দন্ড। সে দন্ডটা ধরে আছে এক লোক। খাবারে মুখ দেয়ার সাথে সাথে বড়শিতে পড়বে টান। এতক্ষণ পর কাতল বলল, বড়শিতে টান পড়লে কি হবে?

পুঁটিঃ তোমার গাল কেটে যাবে। গাল কেটে রক্ত বেরোবে। আর তুমি মুহূর্তকালের মধ্যে উঠে যাবে ডাঙায়।

কাতল (চোখ বড় বড় করে)ঃ ডাঙায় উঠলে কি হবে?

পুঁটিঃ ডাঙায় উঠলে দেখবে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস আর সরে না। যন্ত্রণায় তুমি ছটফট করবে। কিছু বুঝার আগেই তুমি পৌঁছে যাবে দু হাতের মুঠোর মধ্যে। ছটফট করার সুযোগটুকুও আর পাবে না।

কাতলঃ তারপর?

পুঁটিঃ তারপর তুমি দেখবে তোমার নীচে একটা বড় লোহার দা বা বটি।

কাতলঃ দা- বটির এখানে কি কাজ?

পুঁটিঃ দা- বটির এখানে দুটি কাজ। তোমার শরীর থেকে আঁশ ছাড়াবে আর তোমার মাংসগুলোকে খন্ড খন্ড করবে।

কাতলঃ তারপর কি হবে?

পুঁটিঃ তারপর তোমাকে নিয়ে যাওয়া হবে কলপাড়ে বা পুকুরঘাটে। ওখানে নিয়ে লবণ দিয়ে আছড়াতে আছড়াতে তোমার ঘোলা পানি বের করে ফেলবে। এরপর তোমাকে হলুদ মরিচ দিয়ে মাখাবে। তোমাকে নিয়ে যাবে 'রান্নাঘর' নামে একটা জায়গায়। ওখানে দেখবে আগুনের উপর রাখা এক কড়াই। তার মধ্যে আছে ফুটন্ত উথলিত তেল। তোমার খন্ডগুলো এক এক করে ছেড়ে দেয়া হবে ঐ তেলে। এরপর তুমি দেখবে•••

কাতলঃ কি দেখব?

পুঁটিঃ বাড়ির সদস্যরা টেবিলে বর্তন নিয়ে অপেক্ষা করছে। সবার হাতে ৫ কাটাওয়ালা লোহার চামচ। ঐ চামচ দিয়ে তোমার হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করা হবে। তারপর তুমি চলে যাবে তাদের মুখে। সেখানে দেখবে প্রত্যেকের মুখে লোহার মত শক্ত উপরে-নীচে ৩২ পাটি দাঁত আছে। সেখানে তোমাকে পিষতে না পিষতেই তুমি চলে যাবে 'হজমী যন্ত্র' নামে আরেকটা জায়গায়। ওখানে এসিড আর হজমী রস দিয়ে তোমাকে ঝলসানো হবে। তারপর অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের সাথে তোমাকে বের করে দেয়া হবে পেছনের রাস্তা দিয়ে।

কাতল (কৌতুকের সাথে)ঃ তাহলেতো ভালই হবে। আমি আবার লাফ দিয়ে চলে আসব দিঘীতে। মাঝখান দিয়ে বিনা টিকিটে, বিনা খরচে দেশ দুনিয়ার সফর হবে, শহর বন্দর দেখা হবে।

পুঁটিঃ না ভাই, তুমি ফিরেও আসতে পারবে না। তোমার দেশ দুনিয়ার সফর হবে না। শহর বন্দরও দেখা হবে না। তোমার জীবনটাই বরবাদ হবে।

এতক্ষণে কাতল অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে। ওদিকে খাবারটা নড়ছে। কাতল বলল, তোমার ওয়াজ নসিহত শেষ হয়েছে? তুমি একটা চার আনার মোল্লা পুঁটি। আমাকে যেতে দাও।
পুঁটি তখন অনুনয় বিনয় করে বলে, ও কাতল, তুমি আমাকে ভুল বুঝছ কেন? আমি তোমার শত্রু নই। আমিতো তোমার শুভাকাঙ্খী। তোমার মঙ্গল কামনা করি বিধায় এখনও হাতজোর করে বলছি, ফিরে যাও। সামনে গিয়ে জীবন হারিও না।

কাতল চোখ রাঙিয়ে বলে, ও চার আনার মোল্লা পুঁটি, সারাটি জীবন পানিতে কাটালাম। এক মিনিট সময় লাগে না এতবড় দিঘী একবার চক্কর দিতে। জীবনেতো কোনদিন বত্রিশ দাঁতওয়ালা মানুষের সাক্ষাৎ পেলাম না। গরম উথলিত তেলের তাপ শরীরে কখনো অনুভব হলো না। হজমী যন্ত্রের শব্দতো কখনো কানে প্রবেশ করল না। ও চার আনার মোল্লা পুঁটি, পাগলের প্রলাম কেন বকছ! ও চার আনার মোল্লা, তুমি কি জান না, আমি স্বাধীন জগতের স্বাধীন চেতনার প্রাণী। আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকারতো তোমার মত চার আনার মোল্লার নেই। তুমি তোমার কাজে যাও। আমাকে স্বাধীনভাবে আমার কাজ করতে দাও। এত তিরস্কারের পরও পুঁটি হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি করে চোখের পানি ছাড়ে, কাতলকে ফিরানোর চেষ্টা করে। কাতল অবজ্ঞাভরে দ্রুত এগিয়ে যায় খাবারের দিকে। টোপ গেলা মাত্র মুহূর্ত সময় লাগে না উপরওয়ালা টের পেয়ে টান দেয়। বরশির কাটা বিঁধে যায় কাতলের গালে। তাজা রক্ত বেরিয়ে পড়ে গাল থেকে। এখন সে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারে ব্যাথা কাকে বলে। মুহূর্তকালের মধ্যে কাতল উঠে যায় শুকনো জায়গায়। উঠে দেখে শ্বাস-নিশ্বাস আর সরে না। দম বন্ধ হয়ে আসে। দেখতে না দেখতেই চলে যায় দু হাতের মুঠোর মধ্যে। ছটফট করার সুযোগটিও আর বাকী রইল না। অল্পকাল পরেই সে দেখতে পায় তার নীচে ধারাল দা-বটি দাঁড়িয়ে আছে। এক কথায় পুঁটি যা বলেছিল একের পর এক তা ঘটে চলেছে।

কাতল এখন চোখের পানি ছাড়ে আর কাঁদে। পুঁটিকে স্মরণ করে আর ভাবে, হায়রে পুঁটির কথা কেন শুনলাম না। যদি শুনতাম তাহলে এ বিপদের সম্মুখীন হতাম না। কিন্তু কবি বলেন,

"দিন গেলে কাঁদবিরে বসে তোর কাঁদা কেউ শুনবে না।
দিন গেলে কাঁদবিরে বসে তোর কাঁদা কেউ শুনবে না"।


এখন আর কেঁদে কি হবে! সময়তো শেষ।


ঠিক তেমনিভাবে কথিত বুদ্ধিজীবীর গোষ্ঠী বুদ্ধুরা, নাস্তিকেরা, মুরতাদেরা দ্রুতগতিতে এক দিকে ছুটে চলেছে। উম্মতের উলামায়ে কেরাম তাদের জিজ্ঞাসা করেন তোমরা ঐ দিকে দ্রুতগতিতে কোথায় ছুটে চলেছ? তারা বলে টেলিভিশনে ভালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে, অনেক নাচ গান হবে দেখতে যাই। সিনেমা হলে ঢুকতে যাই। অমুক জায়গা থেকে সুদের পয়সা, হারামের পয়সা আনতে যাই। উলামায়ে কেরাম কাকুতি-মিনতি করে তাদের ফেরাতে চেষ্টা করে। "ও ভাই। টেলিভিশনের সামনে বসলে, সিনেমা হলে ঢুকলে সামান্য সময়ের জন্য তোমার চোখ জুড়াতে পারে ঠিক, কিন্তু এর পরিবর্তে রয়ে গেছে তোমার জন্য আখিরাতে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা। সুদের পয়সা খেলে, ঘুষ খেলে অল্প সময়ের জন্য তোমার পেট ভরতে পারে, পকেট গরম হতে পারে ঠিক, কিন্তু মনে রাখবে, সুদ খাওয়া আর জাহান্নামের আগুন খাওয়া এক কথা। ঘুষ খাওয়া আর জাহান্নামের জ্বলন্ত কয়লা খাওয়া এক কথা। ও ভাই, ফিরে আস, ফিরে আস। সুদ-ঘুষ খেওনা, জুলুম-নির্যাতন করো না, অশ্লীলতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনার ধারে কাছে যেও না"।

কথিত বুদ্ধিজীবী বুদ্ধুরা, ফাসেক, নাস্তিক, মুরতাদেরা উলামায়ে কেরামকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে। চার আনার মোল্লা বলে ধিক্কার দেয়। আর বলে এই বিজ্ঞানের যুগে দেড় হাজার বছরের পুরনো কথা তুমি নিয়ে এসেছ আমাদের কাছে। তুমি কি বুঝ না, এ বিজ্ঞানের যুগে দেড় হাজার বছরের পুরনো কথাবার্তা সব অচল। কুরআনকে নতুনভাবে এখন সাজাতে হবে। কুরআন থেকে অমুক অমুক কথা এখন বাদ দিতে হবে। কুরআনের সব কথা এ যুগে মানা যাবে না। হাদীসের সব কথা এ জগতে মানা যাবে না। ও চার আনার মোল্লা, আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন উন্নতি হয় নাই, রেডিও ও রেলগাড়ির যুগ চলছিল, পৃথিবী থেকে বিশ লক্ষ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রে পৌঁছে গেছি আমরা। পৃথিবী থেকে ২২ কোটি কিলোমিটার দূরে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছতে আর মাত্র কিছু বাকী। রকেট দিয়ে একবার পৃথিবী ঘুরে আসতে লাগে মাত্র ১৭ মিনিট। কত সময় মহাশূণ্যে কাটালাম, আযাব ও গজবের ফেরেশতাদের সাথেতো কখনো সাক্ষাৎ ঘটল না। জাহান্নামের আগুনের তাপ কখনো শরীরে লাগল না। ফেরেশতাদের লোহার দান্ডার পিটুনির শব্দতো কখনো কানে প্রবেশ করল না। ও চার আনার মোল্লা, পাগলের প্রলাপ কেন বকছ? তুমি কি জান না, আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন চেতনার মানুষ। আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকারতো তোমার মত চার আনার মোল্লার নেই। তুমি তোমার কাজে যাও, আমাকে স্বাধীনভাবে আমার কাজ করতে দাও। এত তিরস্কারের পরও উলামায়ে কেরাম চোখের পানি ছাড়ে, পা ধরে কাকুতি করে, গভীর রাতে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে মাওলার দরবারে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলে, "মাওলা, ও মাওলাগো, তোমার বান্দাতো আমার কথা শুনে না। আমি আমার সাধ্য অনুপাতে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে তোমার বান্দার হৃদয়তো তোমার কুদরতী হাতে। তুমি একটু দয়া-মায়া করে তার হৃদয়টা তোমার দিকে ঘুরিয়ে দাও।"

কথিত বুদ্ধিজীবী বুদ্ধুরা, নাস্তিক ও মুরতাদেরা তবুও বুঝতে চায় না। চার আনার মোল্লা বলে ধিক্কার দেয়। আর বসে যায় টেলিভিশনের সামনে, ঢুকে পড়ে সিনেমা হলে, খেয়ে পেট বোঝাই করে সুদের পয়সা, হারামের পয়সা। দেখতে না দেখতেই একদিন উপরওয়ালা মারে টান। সাকরাতুল মওত শুরু হয়। চোখ-মুখ উল্টে আসতে চায়। তখন বুঝতে পারে সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। মালাকুল মউত অকস্মাৎ হাজির হয়। তখন মন চায় বলতে, হে মালাকুল মউত, তুমি আমাকে দুটা সেকেন্ড সময় দাও, আমি জিহবাটাকে একটু নাড়া মেরে পড়ে নেই, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। মালাকুল মউত আর সময় দেয় না। দেখতে না দেখতে কথিত বুদ্ধিজীবী, নাস্তিক, মুরতাদরা পৌঁছে যায় কবর জগতে। সেখানে পৌঁছে দেখে উলামা একরাম যেসব কথা বলেছেন তা একের পর এক ঘটে চলেছে। এখন সে বুঝতে পারে। এখন চোখের পানি ছাড়ে আর ভাবে আহা হুযুরদের কথা কেন শুনলাম না। যদি শুনতাম তাহলে এমন বিপদের সম্মুখীন হতাম না। কিন্তু কবি বলেন,

"দিন গেলে কাঁদবিরে বন্ধু তোর কাঁদা কেউ শুনবে না"।
এখন কেঁদে কি লাভ হবে? সময়তো চলে গেছে।


মাছ যেমনভাবে স্থলজগতের কথা বিশ্বাস করতে পারেনি, ঠিক তেমনিভাবে নাস্তিক-মুরতাদেরা কবর জগতের কথা, হাশর জগতের কথা কুরআন হাদীস থেকে শুনার পরও বিশ্বাস করতে পারে না। বলে যুক্তিতে ধরে না। তাদের বলি যেয়ে দেখ বাস্তবের অবস্থা!

আল্লামা জালালুদ্দীন রূমী (রহ) এরকম এক বুদ্ধিজীবী নাস্তিকের ঘটনা উল্লেখ করেছেন তার মসনবী শরীফে।

এক বুদ্ধিজীবী সফরে বের হয়েছে। পথে পড়েছে নদী। পার হওয়ার জন্য বুদ্ধিজীবী এক খেয়া নৌকা ভাড়া করে। একটু পর মাঝিকে প্রশ্ন করে, ও মাঝি ভাই, বলত নদীতে জোয়ার ভাটা কেন হয়? মাঝি বলে, জানি না স্যার, আমি মূর্খ মানুষ। বুদ্ধিজীবী বলে, আহ্ হা, সারা জীবন কাটালে পানিতে, আর জান না জোয়ার ভাটা কেন হয়! তোমার জীবনেরতো চার আনাই বৃথা। একটু পর মাঝিকে আবার বলে, ও মাঝি, বলত, সাগরের পানি নোনা কেন হয়? মাঝি বলে, জানি না স্যার, আমি মূর্খ মানুষ। বুদ্ধিজীবী বলে, আহ্ হা, সারা জীবন কাটালে পানিতে, আর জান না সাগরের পানি নোনা কেন হয়! তোমার জীবনেরতো আট আনাই বৃথা। একটু কিছুদূর যাওয়ার পর আবার বলে, বলত মাঝি, চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ কেন হয়? মাঝি বলে, স্যার সারাটা জীবন পানিতে থেকেও পানির খবর দিতে পারলাম না, আকাশের খবর দিব আপনাকে? বুদ্ধিজীবী বলে, মাঝিগো, তোমার জীবনতো দেখছি বার আনাই বৃথা।

হঠাৎ ঈশাণ কোনে উঠে ঝড়। নদীর পানিতে ঢেউ তরঙ্গায়িত হয়। আছড়ে পরে নৌকায়। বুদ্ধিজীবী চোখ গোলগোল ও লাল করে ফেলে। মাঝি বলে, স্যার, চোখ গোলগোল করলেন, লাল রং করলেন, কারণ কি? বুদ্ধিজীবী বলে, দেখছ না ঝড় উঠছে।

মাঝিঃ ঝড় উঠলে সমস্যা কি?

বুদ্ধিজীবীঃ সমস্যা কি মানে? নৌকা ডুবে যাবে না।

মাঝিঃ নৌকা ডুবলে সাঁতার দিতে হবে। আপনি সাঁতার জানেন না?

বুদ্ধিজীবীঃ না মাঝি, আমি সাঁতারতো শিখিনি।

সুযোগ পেয়ে মাঝি বলে,
"বাঁচলে এবার আমার কথা হিসেব কর পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে"।


ও বুদ্ধিজীবী, এতক্ষণ আপনি আমার জীবন থেকে চার চার করে বার আনাই বৃথা বলে আখ্যায়িত করেছেন। যে চার আনা বাকী আছে তা দিয়ে আশা করি সাঁতরে ঐ কূলে উঠে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এ চার আনার সাঁতার না শিখার দরুণ আমিতো দেখতে পাচ্ছি তোমার জীবনের ষোল আনাই নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
"তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে"।

ঠিক তেমনিভাবে দুনিয়ার কথিত বুদ্ধিজীবীর গোষ্ঠীরা, নাস্তিকেরা, মুরতাদেরা উলামায়ে একরামকে চার আনার মোল্লা বলে ধিক্কার দেয়, বারো আনাকে বৃথা বলে আখ্যায়িত করে, বলে তাদের জীবনের বারো আনাই মিছে। তারা বলে, এই যে ক্বওমী মাদ্রাসা, এর সিলেবাস যুগোপযোগী নয়। এখান থেকে লেখাপড়া করে এরা মাত্র চার আনা বুঝে। আর আমরা বাকী বারো আনা বুঝি।

কিন্তু অচিরেই কবর নামের যে নদীতে ঝড় উঠবে, একের পর এক বিক্ষুব্ধ তরঙ্গমালা আছড়ে পরবে, প্রথম তরঙ্গ, মান রব্বুকা, তোমার রব কে? সে তখন বলবে আমি চিনি না, আমি জানি না। দুনিয়ায় থেকে সারাটা জীবন জেনে এসেছে চাকরী বড়, ক্ষেত খামার বড়, ব্যবসা বড়, মন্ত্রীর হুকুম বড়, নিজের মনের খেয়াল বড়, অমুক বুদ্ধিজীবীর মতামত বড়। সেতো আল্লাহ তায়ালাকে চিনেনি। কিভাবে সে জবাব দিবে, আমার রব আল্লাহ?

দ্বিতীয় তরঙ্গ, মা দ্বীনুকা? তোমার দ্বীন কি? সেতো সারা জীবন বিধর্মীদের অনুসরণ করেছে, ঈদের নামাজ পড়া ছাড়া কখনোতো সে দ্বীনের খবর নেয়নি। তখন সে বলবে, আমি জানিনা আমার দ্বীন কি।

তৃতীয় তরঙ্গ, মান নবীয়্যুকা? তোমার নবী কে? সে বলবে আমি জানিনা, আমি জানিনা আমার নবী কে। কারণ সেতো সারা জীবন নবীকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে, নবীর জীবনকে ঠাট্টা-তামাশার উপকরণ বানিয়েছে, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করেছে, নবীর ওয়ারিশ য়ালেম ওলামাদেরকে নির্যাতন করেছে। তাহলে কিভাবে সে নবীজীকে চিনবে?

সেদিন যদি সুযোগ আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন দেন, তাহলে উম্মতের উলামায়ে একরাম বলতে পারবেন,

"বাঁচলে এবার আমার কথা
হিসেব কর পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানি ষোল আনাই মিছে"।


ও কথিত বুদ্ধিজীবী, ও নাস্তিক, ও মুরতাদ, দুনিয়ায় থাকতে তোমরা আমাদের চার আনার মোল্লা বলে ধিক্কার দিতে। আজ এ চার আনার ঈমানের কারণে আমরা আশা করি আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন কবর জগতের এ ভয়ানক তরঙ্গ পাড়ি দিয়ে জান্নাতে যেতে সক্ষম করবেন ইনশাআল্লাহ।
আর তোমরা এ চার আনার ঈমান না থাকার কারণে কবরের ভয়াবহ অমানিশায় ডুবতে ডুবতে জাহান্নামে চলে যাবে। বাকী বারো আনার দুনিয়ার জ্ঞান এ কবরের মধ্যে কোন কাজে আসবে না। এ কবরের মধ্যে দরকার ছিল কবর ও আখিরাত বিষয়ক জ্ঞান।

অতএব, হে কথিত বুদ্ধিজীবী, নাস্তিক ও মুরতাদ, এখনও সময় আছে। আল্লাহ তায়ালার পরিচয় লাভ কর, আল্লাহ তায়ালার হুকুম মান। নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পথ অবলম্বন কর। দ্বীন-ধর্ম একটু শিখ। বদদ্বীনী লোকদের সঙ্গ ছেড়ে য়ালেম উলামা ও দ্বীনদার লোকদের পরামর্শ গ্রহণ কর। তাদের কথা মত চল। ইনশাআল্লাহ তোমার দুনিয়ার জীবনও সুন্দর হবে, আখিরাতের জীবনও সুন্দর হবে। আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন আমাদের সবাইকে বুঝার ও য়ামল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।


[আল্লামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন ছাহেবের একটা ভাষণের অংশবিশেষ অবলম্বনে রচিত। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা তাকে জাযা খায়ের বা উত্তম বদলা দান করুন। আমীন]

[আল্লামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন ছাহেব - খতিব, মসজিদে আকবর কমপ্লেক্স, মিরপুর – ১, ঢাকা]


পড়ুনঃ


নাস্তিক হওয়া সহজ। বিশ্বাসী হওয়াটা কঠিন।


রমজান পরবর্তী বার্তাঃ



ইনশা'আল্লাহ আসিতেছেঃ


(১) ছোটদের ঈমান শিক্ষা


এতে আছে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়, ঈমানের অন্যান্য বিষয় এবং মানবজাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা।


(২) বাচ্চাদের জন্য "বর্ণে বর্ণে জ্ঞানশিক্ষা।"

আপনার ছেলে, মেয়ে, ছোট ভাইবোন, ভাতিজার জন্য। এটাচড থাকুন।


সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×