ভার্সিটিতে পড়ার সময় স্রেফ কৌতুহল বশে, ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলেছিলাম। হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু ছিল, তাও আবার ontest টাইপের। মানে কিভাবে ফেসবুক কাজ করে, সেটা দেখার জন্য test করতে যা লাগে। সর্বোচ্চ ৩দিন ছিলো সেই উচ্ছাস। এর পরে আর কখনো এই জিনিসের ভিতরে ঢুকা হয় নাই। ৪/২ সেমিস্টার এর শেষ দিকে ভাবলাম, যেহেতু ফেসবুক ইউজ করি না, তাই একাউন্টটা ডিএকটিভেট করে ফেলি।
তো ডিএকটিভেট করতে বহুদিন পরে ঢুকলাম ফেসবুকে। কিন্তু ঢোকার পরে আমার চক্ষু ছানবোড়া হওয়ার জোগাড়। এ আমি কি দেখছি! friend list এ আমার friend সংখ্যা দেখাচ্ছে ৪৫জন। আমার সেই ৩দিন এর জ্ঞান তো বলে, আমি accept না করলে, নতুন friend তো হওয়ার কথা না। ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলল। আমি এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কয়েকজনের সাথে কথা ও বললাম। তারা প্রথমে আমাকে বেশ বকা-ঝকা করল এই বলে যে, ব্যাটা তুমি এখনো ভালভাবে ফেসবুক ইউজ করতে পার না, কয়েক দিন পরে ইঞ্জিনিয়ার হবা। তাও আবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। আমি মিন মিন করে বললাম, এই জিনিসটা আমার কখনোই ভাল লাগে নাই। তাই বেশি ঘাটাঘাটি করা হয় নাই।
একটা মানুষের ফেসবুক ভাল লাগে না, এই ব্যাপারটা মনে হয় ওরা ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিল না।
যাই হোক, তারা এরপর, ফেসবুক ইউজ করলে কি কি ফায়েদা হবে, তার উপর একটা লম্বা বয়ান দিয়ে দিল। আমি চোখ বড় বড় করে এমনভাবে শুনার ভান করলাম, মনে হবে যেন আমি এতদিন ফেসবুক ইউজ না করে বিরাট বড় গাধামি করেছি। তো বয়ান শেষে আমি সেই বিশেষজ্ঞ দলকে বললাম, আমার সমস্যাটা (৪৫ জন বন্ধু হওয়াটা )কেন হয়েছে, এটা যদি একটু বলেন। তখন তারা মাথা চুলকাতে চুলকাতে এবং আমতা আমতা করতে করতে যেটা বলল, তার সারমর্ম হলো - এরকম তো হওয়ার কথা না। তবে সবশেষে তারা একটা সিন্ধান্তে উপনীত হলো - মাঝে মাঝে এরকম হতে পারে।
যাই হোক, বিশেষজ্ঞ দলকে গালি (মনে মনে) দিতে দিতে, আমি আমার ফেসবুকের একাউন্টটা ডিএকটিভেট করে ফেললাম। ওরা অবশ্য ব্যাপার টা জানল না। কাহিনীর এই পর্যন্ত happy ending টাইপ ই ছিলো।
কিন্তু না, " এ যেন শেষ হইয়াও, হইলো না শেষ " টাইপ ব্যাপার।
(চলবে.....।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



