বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে যা দেখলাম , মানুষের মনে উৎকন্ঠা কখন বুঝি পিকেটারদের হাতে পরতে হয়। বাসে উঠে শুধু এদিক ও দিক তাকাচ্ছে লোকজন , কখন জানি ঢিল, ককটেল অথবা পেট্রোল বোমা এসে বাসের মধ্যে পরে। শুধু তাইনা ড্রাইভার কিছুখন পর পর কল করে সামনের অবস্থা জেনে নিচ্ছে, যদি সামনে কোন পিকেটার থাকে , তাহলে যাতে আগে থেকেই নিজেকে সেইফ করা যায়।
প্রশ্ন আসতে পারে এত রিস্ক নিয়া বের হওয়ার দরকার কি? আমরা খেটে খাওয়া মানুষ অফিস না গেলে পয়সা দিবেনা। বের না হয়ে উপায় কি।
এখন আসল কথায় আসি। প্রত্যেকবার সরকার পরিবর্তন এর সময় সহিংস ঘটনা বেড়ে যায় সারা বছরের তুলনায়। যা জনজীবনে চরম প্রভাব ফেলে।
একটু ইতেহাস টেনে যদি বলি, গত বিএন পির আমলে যা ঘটে ছিল এই বার ও ঠিক একই ভাবে হচ্ছে, যেমন জলিল এবং মান্নান ভূইয়ার সংলাপ, তাতে কাজ হলনা।আসলো ইয়াজ উদ্দিন সরকার। তাতে ও কাজ হলনা। তার পর আসলো এন্টিবায়োটিক ফকরুদ্দীন সরকার।
ফকরুদ্দীন সরকার দেখিয়েছিলেন দেশটা শুধু হাসিনা খালেদার না , দেশটা ১৬ কোটি মানুষের।
ঠিক একই ভাবে এই বার হবে সংলাপ । কিন্তু জানাপার সেই আকাঙ্খা "নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬ কোটি" কতটুকু সফল হয় তা দেখার অপেক্ষায়। যদি "নৈশভোজের সংলাপে কাজ না হয়, তাহলে আসবে আব্দুল হামিদ/ শিরিন সরকার। তাতেও কাজ না হলে অন্য কোন এন্টিবায়োটিক সরকার।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে এন্টিবায়োটিক সরকার এর মেয়াদ চাই শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার উভের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
আর মারামারি দেখতে মনচায়না।