অনেক দিন আগেই হুমায়ুন আজাদ লিখে গেছেন, এদেশের প্রতিটি নারী ধর্ষিত হবার ভয়ে ভীত। কথাটা যে কি প্রচণ্ড সত্য আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই। চলুন আগে জেনে নিই নারীরা কাদের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে থাকে।
অপরিচিত ব্যক্তি নয়, নারী ধর্ষিত হয় তার চেনা জানা লোকজনদের দ্বারাই। বাইরে নয়, নারীরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয় তার আপন ঘরে। মুখোশ পড়া আত্নীয়রা উৎ পেতে থাকে সুযোগের। এছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী, শিক্ষক, সহকর্মী, বস, প্রত্যাখ্যাত প্রেমিক।
কাজের প্রয়োজনে নারীকে এখন বাইরে বের হতে হচ্ছে। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। ঢাকার রাস্তায় যা জ্যাম! এসব ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবেঃ
রাস্তায় চলা ফেরা করার সময় আত্নবিশ্বাসের সাথে চলতে হবে। আপনি যে দূর্বল নন, আপনাকে দেখেই যেন তা বোঝা যায়। তাহলেই আপনাকে আক্রমণ করার সাহস কারো হবে না।
একা অবস্থায় আইপড বা মোবাইলে গান শোনা যাবে না। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
আপনার মোবাইলে নিকটস্থ থানার ফোন নাম্বার রাখুন। (আমাদের দেশের পুলিশদের যা অবস্থা! এই নাম্বার রেখে কি আদৌ কাজ হবে?)
অলিগলি নয়, প্রধান সড়ক ব্যবহার করুন। নির্জন রাস্তা পরিহার করুন।
সে রাস্তায় আলো নেই সে রাস্তা পরিহার করুন। আমাদের দেশে যে কোন সময় বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। তাই একটা টর্চ সাথে রাখুন।
নারী তার ভালবাসার মানুষটির দ্বারাও হয়ে থাকে নির্যাতিত। মনে রাখতে হবে, ধর্ষক যেই হোক তাকে কখনো ক্ষমা করা চলবে না। প্রেমিকের সাথে ডেটিং করতে যাবার সময় যে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবেঃ
নির্জন কোন স্থানে না যাওয়াই উত্তম। দল বেঁধে ঘুরতে যেতে পারেন।
ডেটিং-এর সময় এলকোহল জাতীয় কোন কিছু পান করা চলবে না।
আপনার প্রেমিককে তার সীমা কতটুকু তা বুঝিয়ে/বুঝতে দিন।
আগেই বলেছি, নিজের ঘরেই সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যে সাবধানতা মেনে চলতে হবেঃ
বাসায় একা থাকলে বাইরের কাউকে ঘরে আসতে না দিয়ে, বাইরে থেকেই বিদায় করে দেবেন। ঘরের দরজায় সেফটি লক ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিবেশীদের সাথে সদ্ভাব রাখুন। বিপদে কাজে দেবে।
সাবধানতা তো অবলম্বন করা হল। তারপরেও যদি আপনি আক্রান্ত হয়ে যান সে সব ক্ষেত্রে যা করতে হবেঃ
একদম ভয় পাওয়া চলবে না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করতে হবে।
যতটা জোরে সম্ভব চিৎকার দিন।
ধর্ষকের সাথে শক্তি প্রয়োগ করতে যাবেন না। সে আপনার চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। নাকের উপরে জোরে থ্যাবরা মারুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধর্ষক থমকে যাবে। এই সময়ে তার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিন এবং পালান। অবশ্যই চিৎকার করতে করতে।
নিজের হাতিয়ার ব্যবহার করুন—দাঁত, মাথা, পা, হাত, হাঁটু, নখ।
আপনি আক্রান্ত হতে পারেন চুলে, চোখে, নাকে, গলায়, কলার বোনে, পাঁজরে, কিডনীতে, পাকস্থলীতে, মেরুদণ্ডে, হাঁটুতে। সুতরাং সাবধান।
হাতের কাছে চাবি বা বোতল এ জাতীয় কিছু থাকলে ধর্ষকের মাথায় আঘাত করুন।
চাবি ছুঁড়ে মারুন চোখে।
পায়ে হাই হিল থাকলে ওটা খুলে নিন। দৌড়ুতে সুবিধা হবে। ধর্ষকের মাথায় আঘাত করুন।
ধর্ষকের দূর্বল অঙ্গে আঘাত করুন। লাথি মারুন। যত জোরে সম্ভব। এতেই কাবু হয়ে যাবে সে। এবার পালান।
নিজেকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তৈরি করে নিতে হবে, যেন যে কোন ধরনের বিপদ থেকে নিজেই উদ্ধার পাওয়া যায়। আত্নরক্ষার কিছু সহজ কৌশল শিখে নিতে পারেন।
শেষ করব হুমায়ুন আজাদ দিয়েই। স্মৃতি থেকে লিখছি। তাই হুবহু হবে না। প্রাচীন কাল থেকে নারীকে মনে করা হত অন্যের সম্পদ, কখনো তার বাবার, কখনো স্বামীর, কখনো ভাই বা সন্তানের। সম্পদ চুরি গেলে চোরের শাস্তি দাবি বা বিচার করে সম্পদের মালিক, সম্পদ নিজে নয়। তাই নারী ধর্ষিত হলে, তার বিচার চাইবার অধিকার যেন নারীর নিজের নয়। সে যার সম্পত্তি তার। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নারীর নিজেকেই। নিজেই প্রতিবাদ করুন, কখন আপনার হয়ে আরেকজন প্রতিবাদ করবে সেই অপেক্ষায় বসে না থেকে।
৬ আগস্ট, ২০১১।
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।