পরীক্ষায়, প্রেমে, চাকরির নিয়োগে, ব্যবসায়, বিদেশ যাত্রায়, লটারিতে আমরা ব্যর্থ হই না কিসে? আমাদের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির অংকের হিসেব না মিললেই তো আমরা ব্যর্থ হয়ে যাই। কিন্তু ব্যর্থ হয়েও আমরা ব্যর্থতাকে মেনে নিতে চাই না বা পারি না। এই মেনে না নেওয়া থেকেই তৈরি হয় হতাশা, বিষন্নতা, মাদকাসক্তি, আত্নহত্যা প্রবনতার মত গুরুতর সমস্যাগুলো। তাই সফলতা পেলে হলে আগে জীবনের আর দশটা সাধারণ ঘটনার মত ব্যর্থতাকেও মেনে নিতে শিখতে হবে। নিজে ব্যর্থ হলেও অন্যের সফলতাকে অভিনন্দন জানাতে হবে আন্তরিকভাবে, আন্তরিকতার ভাব ধরে নয়। পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের উচিত ব্যর্থতার জন্য ব্যক্তিকে গঞ্জনা না দিয়ে, তাকে সময় দেওয়া। আর সময়গুলো কাটান আনন্দের সাথে। গান শুনে, সুন্দর কোন মুভি দেখে, আড্ডা দিয়ে, ভ্রমণ করে। ব্যর্থ হয়ে সে বেচারার মনটাও যে বড্ড খারাপ একথাটা বোঝার চেষ্টা করুন। তাকে রিল্যাক্স থাকতে দিন। তাকে সাহস যোগান, যেন সে পরের বার সফল হবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারে।
যা ঘটে গেছে, তা কখনোই পরিবর্তন করা যাবে না। আর যা পরিবর্তন করা যাবে না, তা নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই। বরং ভাবুন, সামনের কথা। নিজের মন কে রাখুন যে কোন ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে একশ হাত দূরে। লক্ষ্যটা আগে নির্ধারণ করে নিন। এবার আঁটঘাঁট বেঁধে নেমে পড়ুন আপনার লক্ষ্য পূরণের জন্য।
• একটা তালিকা তৈরি করুন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতটুকু সামর্থ্য দরকার।
• তালিকা দেখে নিজের মধ্যে কতটুকু সামর্থ্য আছে, কতটুকু ঘাটতি আছে তা চিহ্নিত করুন। নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা সব সময়ই খুব জরুরী।
• নিজের দূর্বল দিকগুলো জানা হয়ে গেলে তা কীভাবে দূর করবেন তার পরিকল্পণা তৈরি করে সে মোতাবেক কাজ করুন।
• নিজের সবল দিকগুলোও জানা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সেগুলোর চর্চা করুন।
• আগেরবার কী কারণে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে মনে করেন, সেগুলোরও একটা তালিকা তৈরি করে, দূর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে।
• সফল ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিন।
এসবের পাশাপাশি নিজেকে রাখতে হবে সুস্থ। যে কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুস্থতা অত্যন্ত জরুরী। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাসটা করে নিতে হবে। ধর্ম অনুযায়ী উপাসনা বা মেডিটেশন করতে পারেন। হালকা এক্সারসাইজ করতে পারেন। বয়স ও চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস তৈরি করে নিতে হবে। আর নিজের উপর কখনোই বাড়তি কোন প্রত্যাশা চাপিয়ে দেবেন না।
একটি ব্যর্থতাই জীবনের সমাপ্তি নয়। জীবন অনেক বড়। আর সে অপেক্ষা করছে আপনার পায়ের কাছে সফলতার মণিমুক্তা ছড়িয়ে দিতে। তাহলে আর দেরি কেন? ঢাল তলোয়ার নিয়ে তৈরি যান যুদ্ধ জয়ের জন্য।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



