somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ দুজনার দুটি পথ.।।।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেস স্টাডি ১ ঃ দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম, তারপর বিয়ে। অবিনাশ ও হৃদিতার (ছদ্মনাম) সাজানো গোছানো ছোট্ট সংসার বেশ ভালই চলছিল। এর মধ্যেই এক সময় অবিনাশ আবিষ্কার করল হৃদিতা গোপনে আরেকটি সম্পর্ক রাখছে, আমরা যেটাকে পরকীয়া বলে থাকি। অবিনাশের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ল।দুজনের ভালবাসায় কোথায় কী এমন শূন্যতা ছিল যে, হৃদিতাকে এভাবে অন্য সম্পর্কের দিকে ঝুঁকে পড়তে হল?অবিনাশ অনেক ভেবেও এ প্রশ্নের উত্তর পায় নি। হৃদিতা সব কিছু অবিনাশের কাছে অকপটে স্বীকার করে নেয়।তখন অবিনাশ সিদ্ধান্ত নেয় বিবাহ বিচ্ছেদের। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয় ও বাস্তবায়ন করতে অবিনাশকে দীর্ঘ ৫ বছর নিজের সাথে লড়াই করতে হয়েছে। পরিবার, আত্নীয়-স্বজনদের কথা ভেবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক মানসিক টানাপোড়েনের পর একদিন বিচ্ছেদের মাধ্যমে দুজন আলাদা হয়ে গেল। হৃদিতা আবার বিয়ে করে সুখী হল। কিছুদিন পর অবিনাশও আবার বিয়ে করে সুখের সংসার পাততো।অবিনাশ মনে করে, তাদের বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়েছে। তাতে তারা দুজনেই নিজস্ব ঠিকানা খুঁজে নিয়ে এখন সুখে আছেন।

কেস স্টাডি ২ ঃ
স্বর্ণাকে (ছদ্মনাম) একসময় বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা নিতেই হল। যার প্রতি এত ভালবাসা ও বিশ্বাস রেখেছিল একদিন, সে যদি এভাবে তার অমর্যাদা করে তবে তা মেনে নেওয়া স্বর্ণার পক্ষে কঠিন।পাভেলের সাথে বিয়ের আগে প্রেম ছিল ৫ বছরের। দুজনে বিয়েও করেছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর হঠাৎ স্বর্ণা যখন প্রমাণসহ পাভেলের পরকীয়া সম্পর্ক রাখার খবরটি জানতে পারলো, তখনই সে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো। পাভেল অবশ্য বারবার ওর পা ধরে মিনতি করেছে, মাফ চেয়ে বলেছে, ঐ সম্পর্ক থেকে সে বের হয়ে আসবে, তবু স্বর্ণাকে তার সিদ্ধান্তে কঠিন হতে হয়েছে। স্বর্ণা বা পাভেলের মধ্যে সম্পর্কের মাঝে খালি জায়গাটা কোথায় তা স্বর্ণা জানে না। তবে এটুকু বুঝেছে, পাভেল নিজেই জানে না, সে আসলে কী চায়! স্বর্ণাকে নাকি ঐ বিবাহিত অচেনা মেয়েটিকে ভালবাসে পাভেল!পাভেলকে আর দোটানায় রাখতে চায় নি স্বর্ণা। নিজেকেও অবিশ্বাস ও সন্দেহের জীবন থেকে মুক্ত করতে চেয়েছহে স্বর্ণা। তাই পাভেলকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গিয়েছে দূরে। এখন স্বর্ণা একা থাকলেও অনেক স্বস্তি ও নির্ভার হয়ে জীবন উপভোগ করতে পারছে।

কেস স্টাডি ৩ঃ রেবেকা আক্তার (ছদ্মনাম)অনেক ঘটা করে মেয়ে অন্তির বিয়ে দিয়েছিলেন। অন্তির নিজের পছন্দের ছেলেকে রেবেকা আক্তার ও তার স্বামী, দুজনেরই অনেক পছন্দ হয়ে যাওয়ায় এ বিয়েতে অমত করার কোন প্রশ্নই আসে নি।ছেলে পক্ষ থেকেও সবাই রাজি ছিল।তাই বিয়েতে কোন সমস্যাই হলো না।কিন্তু আসল সমস্যা দেখা গেলো বিয়ের বেশ কিছুদিন পর।অন্তি ধীরে ধীরে বুঝতে পারলো তার স্বামী অক্ষম (impotent)। এরপর অন্তি বিষন্নতায় ভুগতে লাগলো। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসব কথা অন্তির বাবা-মায়ের কাছে গোপন রেখে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতো।মূ্ল ঘটনা জানার পর রেবেকা আক্তার অন্তিকে নিজের কাছে নিয়ে আসলেন। এ সময় অন্তি ডিভোর্সের কথা ভাবছিল।কারণ, অন্তির স্বামীর সমস্যাটি চিকিৎসাতেও কোনদিন ভাল হবে না। মেয়ের সারা জীবনের কথা ভেবেই মেয়ের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করলেন রেবেকা আক্তার।যদিও ডিভোর্সে দেবার আগে অভিভাবক হিসেবে অনেক দিক তাকে ভেবে দেখতে হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে অন্তির নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে বলা হয়েছিল, ওর মাথা খারাপ। মেয়েকে আবার বিয়ে করাতে গেলে কেমন সমস্যা হতে পারে, এটাই তার বারবার মনে হতে লাগলো।সাধারণত কোন মেয়ের বিয়ে বিচ্ছেদ হলে তার চরিত্র নিয়ে সবাই অহেতুক কানাঘুষা করে। এসব পরবর্তীতে মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে আবার না বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এসব নিয়ে চিন্তা হলেও মেয়ের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছেন রেবেকা আক্তার।


বাড়ছে ডিভোর্সের হারঃ nগত তিন বছরে বাংলাদেশে ডিভোর্সের হার বেড়েছে পাঁচগুণ। এর মধ্যে ডিভোর্স নোটিশ দেবার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও এগিয়ে আছেন নারীরা।ডিভোর্সের জন্য প্রতি দশজনে পুরুষ ও নারী আবেদন কারীর অনুপাত ৩ঃ৭। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের জপর্যন্ত ঢাকায় বিবাহ বিচ্ছে ঘটেছে ৮৩৩টি। এর মধ্যে পুরুষেরা ডিভোর্স দিয়েছেন ১৬৯টি ও নারীরা ৬৬৪টি। এছাড়াও অনেক দম্পত্তি আলাদাভাবে বসবাস করছেন পরস্পরকে ডিভোর্স না দিয়েই। তাদের পরিসংখ্যান অবশ্য পাওয়া যায় না। এত ভারি ভারি সাংখ্যিক পরিসংখ্যান দিয়ে পাঠকের বিরক্তি আর বাড়াতে চাই না। ডিভোর্সের কারণগুল নিয়ে আলোচনা করার আগে বরং ডিভোর্স নিয়ে একটি কৌতুক বলে নেওয়া যাক। মেয়েটি বিয়ে করেছিল কারণ, ছেলেটি ছিল খুব শক্তিশালী।এরপর মেয়েটি ডিভোর্স দিয়েছিল কারণ, বিয়ের পর ছেলেটিকে তার কাছে খুব কর্তৃত্বপরায়ন মনে হচ্ছিল।ছেলেটি বিয়ে করেছিল, কারণ মেয়েটি ছিল খুব নাজুক আর স্লিম ফিগারের। এরপর ডিভোর্স দিয়েছিল, কারণ, বিয়ের পর মেয়েটিকে দূর্বল ও অসহ্য রকমের পরনির্ভরশীল লাগছিল।মেয়েটি বিয়ে করেছিল, কারণ, ছেলেটাকে বিয়ে করলে জীবনটা নিশ্চিন্তে কেটে যাবে।এরপর ডিভোর্স দিয়েছিল, কারণ, ছেলেটি নিজের ব্যবসা আর কাজ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।ছেলেটি বিয়ে করেছিল, কারণ, মেয়েটি তার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।এরপর ছেলেটি ডিভোর্স দিয়েছিল, কারণ, মেয়েটি দিন দিন তার মায়ের মত হয়ে উঠছিল! এতো গেল কৌতুকের কথা। কিন্তু বাস্তবে কেন বাড়ছে ডিভোর্সের সংখ্যা?


ডিভোর্স কেন বাড়ছে?
সামাজিক পরিবর্তন ডিভোর্স বৃদ্ধি পাবার অন্যতম একটি কারণ।যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ও স্যা্টেলাইট চ্যানেলের বদৌলতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির কথা জানতে পারছে এবং সেভাবেই তাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। এতে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও নৈতিকতার জায়গাগুলোও পরিবর্তিত হচ্ছে। যৌতুক, স্বামীর নির্যাতন, পরকিয়া, মাদকাসক্তি, পর্নোগ্রাফে আসক্তি এধরনের কারণেও যেমন ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে তেমনি ভা্রতীয় সিরিয়ালের প্রভাবে পাখি ড্রেসের মত তুচ্ছ কারণেও ডিভোর্সের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

ইদানিং অনেকের কাছেই বিয়ের পরেও এক বা একাধিক গোপন সম্পর্ক রাখাটি এক ধরনের হবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছে মোবাইল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সহজেই এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক তৈরির দিকে আকর্ষণ ও মনোযোগ লক্ষ্য করা যায়। ডিভোর্স বেড়ে যাবার এটিও একটি অন্যতম কারণ। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস, সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করলে একটি সম্পর্ক হয়ে উঠে বিরক্তিকর বোঝার মত। নারীর অধিকার সচেতনতা অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে।এক সময় নারীরা শত অত্যাচার সহ্য করলেও ডিভোর্সের কথা ভাবতে পারতো না। এখন তারা আগের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবার কারণে সহজে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


ডিভোর্সের প্রভাবঃ
 ব্যক্তির উপর প্রভাবঃ
আমাদের দেশে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেহেতু ডিভোর্সের ঘটনাগুলো স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখা হয় না, তাই একজন ডিভোর্সি ব্যক্তিকে কিছু অহেতুক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।একটি সম্পর্ক থেকে বের আসার পর তার মধ্যে নিঃসংগতা চেপে বসতে পারে। দাম্পত্য জীবনের স্বাভাবিক যৌনতার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হয় বলে আরেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। আমাদের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় যৌন চাহিদা পূরণের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই, নেই নাইট ক্লাব। কেউ কেউ নিজেদের অবদমিত রেখে দেন। আবার কেউ কেউ গোপন কোন সম্পর্কের মাধ্যমে চাহিদাটি পূরণ করেন। এতে সমস্যা অবশ্য কমে না, বরং আরো সমস্যা বেড়েই চলে। ফলে ডিভোর্সী ব্যক্তি বিশেষ করে নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভংগি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়ে থাকে। ডিভোর্সী নারী মানেই তার কোন সমস্যা আছে বা সে চরিত্রহীন, এমন চোখেই সাধারনত তাকে দেখা হয়ে থাকে। আবার একজন ব্যক্তির পক্ষে দ্বিতীয় বিয়ে করাটাও খুব সহজ নয় এ সমাজে।

এছাড়াও নারীদের আরো কিছু ভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় বৈকি। বিচ্ছেদের পর যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ও সন্তানের ভরনপোষনের জন্য প্রাপ্য অংশটুকু আদায় করে নেবার জন্য আইনি জটিলতায় তাকে রীতিমত নাকাল হতে হয়।


 সন্তানের উপর প্রভাবঃ
বাবা/মায়ের ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বড় প্রভাবটি পড়ে সন্তানের উপর।তারা একটি মানসিক টানা-পোড়েনের মধ্যে পড়ে যায়, সে কার কাছে যাবে, বাবা না মায়ের কাছে?বাবা/মা-ও তাকে সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করে থাকে অনেক সময়। স্কুলে অন্য অভিভাবক বা শিক্ষকেরা তাকে আলাদা নজরে দেখলে এবং তাকে/তার বাবা-মাকে নিয়ে আলোচনা করলে তার মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণ বাধাগ্রস্ত হয়।স্কুলে অন্য শিক্ষার্থীদের বাবাদের দেখে তার মনে শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। এদের মধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে যাবার আশংকা তুলনামূলকভাবে বেশি। পরবর্তীতে নিজেরাও কোন সম্পর্ক তৈরিতে তাদের দক্ষতা থাকে না, তাদের মাঝেও ডিভোর্সের সম্ভাবনা থেকে যায়।

 সামাজিক সমস্যাঃ
ডিভোর্সের হার বেড়ে যাওয়ায় সমাজের উপর তার কিছু প্রভাব যেমন পড়ে, তেমনি সমাজের পরিবর্তনের ফলেও ডিভোর্স বেড়ে যায়। পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস, নৈতিকতার পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে ডিভোর্সের সংখ্যা। আবার ডিভোর্সের ফলে নতুন মূল্যবোধ ও বিশ্বাসও তৈরি হচ্ছে সমাজে। ব্যাপারটা যেন অনেকটা ‘ডিম আগে না মুরগি আগে’র মত। এত বেশি ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে যাবার ফলে বিয়ে প্রথার ত্রুটিগুলো এখন চোখের সামনে চলে আসছে, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বিয়ে প্রথাটিই। এর ফলে তরুণদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।পরিবার প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বাড়তে পারে লিভ টুগেদার সংস্কৃতি। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের অপ্রস্তুত সাধারণ মানুষ লিভ টুগেদার’এর মত সম্পর্ক মসৃণভাবে চালিয়ে যাবার মত এখনো এতটা পরিপক্ক নয়। তাই এ সংস্কৃতি সমাজের মধ্যে অস্থিরতা বাড়িয়েই তুলবে বলে আশংকা করা যায়।


ডিভোর্স যখন আশির্বাদঃ সংসারে স্বামী/স্ত্রীর প্রতিদিনের ঝগড়া-ঝাঁটি, প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ, পরস্পরের প্রতি আক্রমণ, অশান্তিময় পরিবেশে সন্তানের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে ডিভোর্সের ফলে বরং সন্তানের খারাপের চেয়ে মংগলই বেশি হয়ে থাকেন। কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরের উদাহরণটির কথা মনে করা যেতে পারে।সঠিক সময়ে তিনি যদি সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারতেন তবে হয়ত তাকে এভাবে দুটি চোখ হারাতে হতো না। আমরা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় খবর দেখি, পরকিয়ার কারণে মা তার সন্তানসহ আত্নহত্যা করেছে, কখনো স্বামী স্ত্রীকে খুন করছে, স্ত্রী স্বামীকে। এসব ক্ষেত্রে আত্নহত্যা, খুনের চেয়ে ডিভোর্স মংগলজনক।সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অত্যাচার সহ্য করে অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং নারীদের নিজের শক্তিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।সন্দেহ, অবিশ্বাস ও ভালবাসাহীন একটি সম্পর্কের বোঝা বয়ে বেড়ানোর চেয়ে নির্ভার হওয়া ভাল।

(অসমাপ্ত)
পরের পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×