সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১০
বাড়ীর কাছে আরশী নগর। লেক মাধবপুর,লাউয়াছড়া, উইকিপিডিয়ার প্রতারণা ও স্থানীয় রাজনৈতিকদের গাছ খাওয়ার ক্ষুধা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
লেক প্লাসিড ছবিটা অনেক্ই দেখেছেন। তেমনি একটা লেকের নাম লেক মাধবপুর।
ছবির মত সুন্দর। পাহাড়ী টিলার মাঝ দিয়ে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। অনেক দিন আগে এখানে এসেছিলাম এবং এসেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম লেকের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে। এবারও ছুটে গিয়েছিলাম পুরাতন প্রেমের টানে। মাধবপুর লেকে যেতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে লাউয়াছড়া অভয়ারণ্য হয়ে পাহাড়ী পথের উঁচু নীচু পথ পেরিয়ে যেতে হয়। যাওয়ার সময় ফাও দেখে নিলাম লাউয়াছড়া। লাউয়াছড়া থেকে একটা ছোট পাহাড়ী রাস্তা ধরে উচু নীচু পথ পেরিয়ে যেতে হয় মাধবপুর। আসার সময় লাউয়াছড়া দেখে কিছুটা হতাশ হলাম। আগে কী গভীর জঙ্গলই না ছিল। এখন যত্র তত্র গাছ কাটা। জঙ্গলের অনেক স্থান ফাঁকা। তেমন কোন পশুপাখী চোখে পড়ল না। লাউয়া ছড়ার মাঝ দিয়ে চলে গেছে রেললাইন ও মহাসড়ক। ছবি দেখুন।
জানা গেল বেড়ায় ক্ষেত খায়। এখানে অভয়ারণ্য পাহাড়া দেয়ার জন্য একটা কমিটি আছে। সে কমিটিতেই আছে সে এলাকার সবচেয়ে গাছখোকো ব্যক্তি। তিনি আবার সরকারী দলেরই লোক। তবে সবচেয়ে অবাক হলাম যখন লাউয়াছড়া সম্বন্ধে জানতে সঙ্গী বন্ধু তার ল্যাপটপ থেকে উইকিপিডিয়ার প্রথম পাতা দেখাল। উইকিপিডিয়ায় লাউয়াছড়ার যে ছবি দেয়া আছে সেটা একটা চা-বাগানের। যে কেউ দেখলে মনে করবে লাউয়া ছড়া একটি চা-বাগান। ছবিটা নেয়া হয়েছে আবার ফ্লিকার থেকে এবং ঐ ছবিটা হল ৩০ কিলোমিটার দূরবর্তী কুলাউড়া উপজেলার কোন এক চা-বাগানের। উইকিপিডিয়া একটি অভয়ারণ্যের স্থলে চা-বাগানের ছবি ছাপবে, সেটা বিশ্বাসই করা যায় না। লিংকটা তাই এখানে দিলাম।http://en.wikipedia.org/wiki/Lawachara_National_Park ছবিটাও দিলাম
। মাধবপুর লেক ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন মাধবপুর চা-বাগানের সম্পত্তি। সেখানেও এসেও মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো, যে দিকে তাকাই কেবল ফাঁকা পাহাড় আর গাছের কর্তিত গুড়ি। ছবি দেখুন।
সব দেখে শুনে মনটা ভাড়ি হয়ে উঠল। আমরা আমাদের বন সম্পদ কেবল উজার করিছি না, আমরা আমাদের দেশের সৌন্দর্যকেও নিস্পেষিত করে চলেছি। আমার মনের ভার লেক মাধবপুরের শীতল পানিতে স্নান করেও মুক্ত হল না।
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।