তৌহিদ, আল্লাহ এক। তার হাতেই সমস্ত কুদরত। রসুলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর সত্য নবী। তার আনুগত্যের মধ্যেই দুনিয়া আখিরাতের সুখ শান্তি। আর এই জীবন মাত্র কয়েক দিন। তারপর মরতে হবে আর এই জীবনের হিসাব দিতে হবে। তৌহিদ, রিসালাত ও আখিরাত।
তের বছরের এই সমস্ত মোজাহাদা, এই সমস্ত কষ্ট ক্লেশ। এই তিন বুনিয়াদি একীনকে হাকীকতের সাথে দিলে বসানোর জন্য এতসব মোজাহাদা হয়েছে। মেহনতের তরীকা শেখানো হয়েছে। কালেমা শেখো। কালেমা তখন পূর্ন হবে, যখন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ হবে। কালেমা শেখো, নিজের আখিরাতকে সামনে রাখো। কেউ দেখুক না দেখুক। কেউ জানুক না জানুক। কারো খবর হোক না হোক। আল্লাহ সর্বশ্রতা, সামি’। সর্বদ্রষ্টা, বাছীর। সর্ব জ্ঞানী, আ’লিম। আর তিনি হালীম। তার হেলেমের, ধৈর্য্যরে কি কোন তুলনা হয়?আর তার ফেরেস্তারা! তারা আল্লাহর তাসবীহ পড়ে। সুবহান, সুবহানাকা ওয়া বিহামদিকা। আল্লাহ তুমিই সব কিছু করো। সব কিছু তুমিই করেছো। জমীনকে তুমি ধ্বসিয়ে ছিলে। জাতি সমূহকে তুমি ধ্বংস করেছ। ফেরাউনকে তুমিই ডুবিয়ে মেরেছো। কারুনকে ধ্বসিয়েছো। কিছরা ও কায়ছারকে পরাজিত করেছো। তোমার কি প্রশংসা করব! কি প্রশংসা করব তোমার ধৈর্য্যের?
তিনি সব জানেন। কে কি বলল। কে কি করল। কে কার হক মারলো। কে জুলুম করলো, কে ইজ্জতের উপর আঘাত করল, কে বাবা-মাকে কাঁদালো, কে বিবি বাচ্চার সাথে কি করলো,সব জানেন।
কি বলবো আল্লাহ তোমার ক্ষমার কথা! কত বড় বড় পাপীকে, কত বড় বড় অপরাধীকে, কেমন সব গুনাহগারকে মাফ করে থাকো। এই জন্য আমরা রসুলুল্লাহ ﷺ এর নিকট থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার যেটা পেয়েছি, কাজ করতে হবে, কাজ করতে হবে তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাতের বুনিয়াদকে বানিয়ে। জান নিজের, মাল নিজের, এই রাস্তার মোজাহাদা আর সমস্যাকে, কষ্ট ক্লেশকে সহ্য করে, আর প্রত্যেকের হক আদায় করা, সবর করা, প্রত্যেককে এর জন্য তৈরী করা, প্রত্যেককে আল্লাহর রাস্তার নকল হরকতকে বুঝানো।
লেগে থাকো, চলতে থাকো। এই জন্য এনামুল হাসান সাহেব (রহঃ) বলতেন, “আরে আমাদের এই মেহনত তো খুব সহজ। খুব সহজ। কেন? কারন এখানে যা কিছু নেয়ার তা শুধু আখেরাতে আল্লাহর নিকট থেকেই নেয়া হবে। আল্লাহ কে? প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার, খাজানা আছে তার কাছে। নিয়ে নাও তোমার বন্দেগীর জন্য। তো উনি বলতেন, কাজ তো বড় সহজ। আখেরাতের প্রতি নজর থাকবে।
তবে হ্যাঁ যখন সমস্যা সৃষ্টি হয়, যখন কোন মাছলা চলে আসে, আর কাজ করনে ওয়ালা আপোষে ঝগড়া শুরু করে দেয়। যখন নফছ আর নফসানিয়াত, আগ্রাসন, দুনিয়ার তলব,স্বার্থপরতা, যখন এই সব চলে আসে তখন কাজ আর কাজ থাকে না। সব এখানেই উসুল করার, জমা করার ফিকিরে পড়ে যায়।
সৌজন্যেঃ
মুজাকারা ।।। মাওঃ আহাম্মদ লাট (দাঃবাঃ) ।।। বয়ান থেকে নসীহত - পর্ব ১
টঙ্গী এজতেমা ২০১৪
(১ম পর্ব)
বাদ মাগরীব বয়ান
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫