ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত, সায়েন্স ফিকশন লেখক।একজন নিখাদ, চতুর সেক্যুলারপন্থী। তার লেখা "ঈশ্বর" নামকগল্পটিতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার স্বরুপ পুরোপুরি উন্মোচিত হয়েছে। আপনাদের জন্য গল্পটির শানে নুযুল ও ব্যাখ্যা দেয়া হলঃ
১। ঈশ্বরের অস্তিত্ব কেবল মানুষের মনে, বাস্তবে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। (পৃষ্ঠা নং-৫)
২। ঈশ্বরে বিশ্বাসের পেছনে মানুষের কোন কোন যুক্তি নেই, এটি একটি যুক্তিহীন বিশ্বাস।(পৃষ্ঠা নং-৫)
৩। গল্পের নায়ক চরিত্রটির মতে- "মানুষ ঈশ্বর নামে একজনকে বিশ্বাস করে কারন যখন তার আর অন্যকিছু করার থাকে না তখন সে ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পন করে দিতে পারে"।(পৃষ্ঠা নং-৫)
৪।গল্পের নায়কের মতে সে ঈশ্বরকে নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না, তবে যখন খুব বিপদে পড়ে, তখন তাকে ডাকাডাকি করে! (পৃষ্ঠা নং-৫)
৫। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা মানে বড় বিপদে নিজেকে শান্ত রাখার একটা উপায়।(পৃষ্ঠা নং-৬)
৪। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে কেবল মানুষের মনোবল একটু বৃদ্ধি পায়- এছাড়া আর কোন উপকার নাই।(পৃষ্ঠা নং-৬)
৫। বিপদে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা নির্বুদ্ধিতা।(পৃষ্ঠা নং-৯)
৬। ঈশ্বরের প্রার্থনা করে মানুষ তার প্রচুর মূল্যবান সময় অপচয় করে, ফলে তাদের পক্ষে দৈনন্দিন কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না, সে পিছিয়ে পড়ে।(পৃষ্ঠা নং-১০)
৮। বোকা রবোটরা প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ পড়ে এক ধরনের জিহাদ শুরু করলে গল্পের নায়ক তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন- "তোমার ঈশ্বরের আমি নিকুচি করছি"।(পৃষ্ঠা নং- ১৭)
সংক্ষেপে এই হল গল্প। এখানে গল্পের নায়ক হলেন একজন বুদ্ধিমান নাস্তিক। ব্রেইন ওয়াশড রোবটদের দ্বারা মূলত
মুসলিম জাতিকে বুঝানো হয়েছে। রবোটদের মধ্যে দু'টি ভ্রান্ত মতবাদের উদ্ভব এবং এক মতবাদের সাথে অন্য মতবাদের দ্বন্দ দ্বারা শিয়া ও সুন্নীদের বিরোধকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া রবোটরা ধর্মবিশ্বাসী হয়ে ঈশ্বরের আদেশমত যুদ্ধ ও নৃসংশতায় লিপ্ত হয় এবং পুরো মহাকাশযান ধ্বংস করে দেয়
(এখানে মুসলমানদের জিহাদকে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে)।
এভাবেই সায়েন্স ফিকশনের আড়ালে খুব কৌশলে একটা কিশোর তথা একটা প্রজন্মকে নাস্তিকতার দিকে ধাবিত করছে জাফর ইকবালদের মত কৌশলী সেক্যুলারপন্থী লেখকরা। খুব ছোট্ট বয়সে একটা কিশোরের মস্তিস্কে নাস্তিকতার বাণী মজায় মজায় গিলিয়ে খাওয়াচ্ছে, আর তার কুফল পাচ্ছি আমরা ১৫-২০ বছর পরে এসে বিজ্ঞানমনা, ইসলামবিরোধী শাহবাগি প্রজন্মকে দিয়ে। এধরনের কৌশলী নাস্তিক লেখককে এখনি চিনতে ভুল করলে ভবিষ্যতে আমাদের আরো অনেক শাহবাগী প্রজন্ম দেখতে হবে ।
( সংকলিত )
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮