প্রসংগ ১
আগে একটা সময় ছিল যখন আমাদের লজ্জা-শরম বা কিছুটা বোধ বুদ্ধি ছিল যার কারনে আমরা ভালকে ভাল বা মন্দকে মন্দ বলতে পারতাম। হায়রে সময় লজ্জা শরম মূল্যবোধকে কোথায় নিয়ে গেলি। আজকাল মেয়েদের পোশাক আশাক এত বিশ্রী রকমের হয়ে গেছে যে বিদেশী মহিলারাও লজ্জা পাচ্ছে। বিদেশী মহিলারা এদেশে এসে বড় জামা কাপড় পরে কেন বলতে পারেন? কারন শরীরের দিকে মানুষ তাকিয়ে থাকলে তারা লজ্জা পাই। কিন্তু আমাদের দেশের আল্ট্রা মর্ডান মেয়েরা লজ্জা পাই না। পাবেই বা কেন এক শ্রেনীর চোদনবাজতো হারমনি বাজিয়েই যাচ্ছে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে এই বলে। হ্যা আমাদের দেশের মেয়েরা পাতলা জামা-কাপড়ে ভীষনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এইতো সেদিন বসুন্ধারতে কিছু মেয়ে দেখলাম এমনভাবে পোশাক গায়ে দিয়েছে যে ব্রেসিয়ারটাও দেখা যাচ্ছে। আবার দিন তিনেক আগে বাড্ডা থেকে ফিরছি সাথে নিজের স্ত্রী, হুট করে পাশের গলি থেকে এক মেয়ে বের হল যার পোশাক দেখে মনে হল এটা কি বাংলাদেশ! মেয়ে বিকারহীন ভাবে হাটছে, রিকশাওয়ালা থেকে পানের দোকানদার সবাই মজা নিচ্ছে। এ কোন দেশে আছিরে বাবা। এখন জ্ঞানপাপী আরা বুদ্ধিব্যবসায়ীদের একটাই কথা কাপড় খুলে ফেল তুমি হয়ে যাবে আধুনিক মন ও মননে। আর মেয়েদের ন্যাংটা সংস্কৃতির সাথে পরিপূর্ন করে দিতে আনতে চলেছে ক্লাসি পর্ন তারকা সানিলিওয়নকে। আর মেয়েদের ন্যাংটা করে বাজারে উঠানোর জন্যই তো নানা আয়োজন; নান মুখী সুন্দরী প্রতিযোগিতা টিভি চ্যানেলগুলোর। সেদিন মনে হয় খুব বেশী দূরে না যেদিন আমাদেরকে শুনতে হবে এই ছেলেরা চোখ বন্ধ কর মেয়েরা ন্যাংটা হবে।
প্রসংগ ২
সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভাগ হয়ে যায় নানামুখী ব্যস্ততায়। এক অংশে চলে ছেলে বুড়ো সবার গাঁজার আসর যেখানে খোকা থেকে শুরু করে দাদু সবাই আছে চলছে টানে টান। অন্যপাশে হয়ত প্রেম-পরকীয়া আর কামলীলা চলছে, আর ছবির হাটের পার হয়ে গোল গুলোতে চলছে ছেলে-মেয়েদের একত্রে বসে গাঁজা সেবন। মেয়েদেরকে একত্রে বসিয়ে যখন ছেলেগুলো গাঁজা সেবন করে তখন কি একবারো ভাবে যে, তাদের বোনদের নিয়ে অন্যকোন যুবকরা অন্যকোন পার্কে বসে আছে? ভাবে না কারন গাজা-ইয়াবার তুমুল নেশা তা ভুলিয়ে দিছে অনেক আগেই। ছবির হাট পার হয়ে বটতলার সামনে দেখা যায় বিভিন্ন ভাবের মানূষ জন কেউ মাথায় বাংলাদেশ বেধে গাঁজা খাচ্ছে কেউ ছবি আকছে কুট কুট করে কেউবা বাশী খাচ্ছে কেউবা গিতার বাজাচ্ছে কিন্তু উদ্দেশ্য এক একটু পাওর গাঁজা খেতে হবে। আর মেয়ে মানূষ নিয়ে গাঁজা খাবার মজাই আলাদা এতে নাকি গাঁজাখোরদের স্ট্যাটাস বেড়ে যায় (গাঁজাখোর দের থেকে শোনা )। কোথায় ছেলে মেয়ে একত্রে বসে সমাজ গড়ার চেষ্টা করবে তা না বসে গাঁজা খাবে ইয়াবা খাবে।
কোন সমাজকে ধবংস করতে হলে সে সমাজের তরুণদের মধ্যে নগ্নতা ও নেশাকে ঢুকিয়ে দিলেই বাকিটা আপনা আপনিতেই হয়ে যাবে। আর আমাদের সমাজে এই কাক্টাই হচ্ছে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে।