somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহৎপ্রাণ মহারাজা দিগ্বিজয় সিং জাদেজা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পোল্যান্ড

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মহারাজা দিগ্বিজয় সিং জাদেজা



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, পোল্যান্ড তখন যুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং প্রচুর পোলিশ নাগরিকদের concentration ক্যাম্পে বন্দি করা হয়েছিল। সেইসময় ৬০০ এরও অধিক পোলিশ মানুষ (প্রধানত নারী ও শিশু) সেখান থেকে একটি জাহাজে করে পালাতে সক্ষম হয়।

তবে, সেশেলস, এডেন ইত্যাদির মতো অনেক ইউরোপীয় ও এশিয়ান বন্দর তাদের জাহাজকে নোঙ্গর করতে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। জাহাজটি ইরানের একটি বন্দর বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানেও তারা প্রবেশ করতে অনুমতি পায়নি। অবশেষে তারা তৎকালীন বোম্বে, ভারতের বন্দরে পৌঁছেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নরও প্রথমে তাদের প্রবেশ করতে দেয়নি। তখন মহারাজা শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিতে ব্রিটিশ সরকারকে চাপ দেন। সহানুভূতির অভাব এবং ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপের অনিশ্চয়তা দেখে অবশেষে , মহারাজা তার প্রদেশে (বর্তমানে গুজরাতের জামনগর) রোজি পোর্টে ডকিং করার আদেশ দেন।

যখন তাদের জাহাজ নওয়ানগরে ( বর্তমানে জামনগর) এসে পৌঁছায়, তখন তাদের মহারাজ নিজে স্বাগত জানালেন। তিনি বলেন, "নিজেদের অনাথ বলে চিন্তা করো না। আপনারা এখন নওয়ানগরের অধিবাসী এবং আমি বাপু, সব নওয়াগারিয়ার পিতা, আপনাদেরও।"

মহারাজা শুধু উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাননি, তাদের জন্য বাসস্থানও তৈরি করেছিলেন,স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনের অভাবও দূর করেছিলেন। পরে পাটিয়ালার নবাব, বরোদার শাসকরা এবং টাটা মত কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং ৬,০০,০০০ রুপী (যা ১৯৪২-১৯৪৫ সময়কালে প্রচুর ছিল) চাঁদা জোগাড় হয়েছিল। বালাছড়ি মত কাছাকাছি স্থানে আরও শিবির স্থাপন করা হয়েছিল। মহারাজা পোলিশ সরকারের সাথে সমন্বয় সাধন করে পোলিশ ভাষায় শিক্ষা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং ক্যাথলিক পুরোহিতদের আমন্ত্রন জানান, উদ্বাস্তুদের ধর্মীয় আচার অনুসরণ করার জন্য ব্যবস্থা করেন।

১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে, প্রায় ২০০০০ শরণার্থী ছয় মাস থেকে ছয় বছর পর্যন্ত তৎকালীন ভারতে চলে আসেন এবং অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেন।

পোল্যান্ড সম্প্রতি “Commanders Cross of the Order of the Merit of the Polish Republic” পুরস্কার দ্বারা মরণোত্তরভাবে রাজাকে সম্মানিত করেছে। পোল্যান্ড এ তাঁর নামাঙ্কিত স্কুল ও রাস্তা বানানো হয়েছে।




an indian king offered shelter to 1,000 polish orphans
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×