somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একাত্তরে সাকা চৌধুরীর বাড়ি গুডস হিল ছিল টর্চার ক্যাম্প

০৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ভোরের কাগজ)
সমরেশ বৈদ্য : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীদেরকে খুন, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নানা ধরনের অপকর্মে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে তৎকালীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন)-এর সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর পরিবার। এই ফজলুল কাদের চৌধুরীর (ফকা চৌধুরী) বড়ো ছেলে, সাবেক বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা, বর্তমানে দুর্নীতি
মামলায় কারাবন্দী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাউজানে তাদের নিজ এলাকা ও চট্টগ্রাম শহরে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে খুন ও নির্যাতন করেছেন।
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা হয়েছিল, চার্জশিটও হয়েছিল। চট্টগ্রামের আদালতে মামলা চলছিলও। কিš' সেই মামলার নথিপত্র আদালত থেকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশেও হেন কোনো অপকর্ম নেই যা সাকা চৌধুরী করেননি। শুধু একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী হিসেবেই নয়, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতার অন্যতম ইন্ধনদাতা ও ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসীদের গডফাদার, অস্ত্র ও সোনা চোরাকারবার, সরকারি জমি দখলসহ নানা বিতর্কের জন্মদাতা সাকা চৌধুরী।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সাকা চৌধুরী বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গত ৪ ফেব্র“য়ারি দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারান্তরালে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ১৯৮৩ সালে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’ নামে যে গবেষণাধর্মী তথ্যসমৃদ্ধ বই প্রকাশ করেছে তাতেও ফকা চৌধুরী ও তার বড়ো ছেলে সাকা চৌধুরীকে হত্যা, নির্যাতন, লুটতরাজসহ নানা অপকর্মের বর্ণনা দিয়ে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জে অবস্থিত তাদের বাড়ি ‘গুডস হিল’ একাত্তরে ছিল টর্চার ক্যাম্প। এ বাড়িতেই খুন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুককে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই ফকা চৌধুরীর এই ‘গুডস হিলকে’ জার্মানির হিটলারের টর্চার ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সাকা চৌধুরীসহ চট্টগ্রামে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের মামলাগুলোর পুনঃতদন্তের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলে সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাদের খান মামলার তদন্তকাজ চালাতে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে আর অগ্রসর হতে পারেননি। স¤প্রতি এ প্রতিবেদকও চট্টগ্রাম আদালতের রেকর্ডরুমে এ সংক্রান্ত নথিপত্রের খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পেরেছেন, এসব মামলার নথিপত্রের কোনো হদিস নেই।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে রাউজান থানাতেই ফকা চৌধুরী ও তার ছেলে সাকা চৌধুরীসহ অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬টি মামলা হয়েছিল। মামলাগুলোর নম্বর হলো ৪১(১)৭২, ৪(৩)৭২, ৯(৩)৭২, ১৮(৪)৭২, ৪(৪)৭২ ও ৫(৪)৭২। এসব মামলার তদন্ত শেষে ফকা চৌধুরী ও সাকা চৌধুরীসহ অন্যদেরকে আসামি করে চার্জশিটও দেওয়া হয়। কিš' পরবর্তী সময়ে এসব মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে (পিটিশন নং-৩৬৫/৭৩) তা স্থানান্তর করা হয় সাকা চৌধুরীদের পক্ষ থেকে। এরপর থেকে এ সব মামলার আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
১৯৮৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়’ বইটিতে লেখা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের নিয়ে সাকা চৌধুরী রাউজানের কুণ্ডেশ্বরী যান। পাকসেনারা কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, কুণ্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহের সঙ্গে কথা বলে প্রথমে চলে আসেন। তখন সাকা চৌধুরী পাকসেনাদের বলেন যে, তার বাবার আদেশ আছে মালাউন নূতন চন্দ্র সিংহ ও তার ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলার জন্য। এরপর নূতন চন্দ্র সিংহকে কুণ্ডেশ্বরী মন্দিরের সামনে প্রার্থনারত অবস্থা থেকে সাকা চৌধুরী টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসেন। প্রথমে ট্যাংকের গোলার আঘাতে বিদ্যামন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর পাকবাহিনীর মেজর নূতন চন্দ্র সিংহকে গুলি করেন। নূতন চন্দ্র সিংহ মাটিতে পড়ে গেলে সাকা চৌধুরী তার রিভলবার দিয়ে আরো ৩টি গুলি করেন নূতন চন্দ্র সিংহকে।
রাউজানে বিভিন্ন শহীদ পরিবার ও সে সময় নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সেদিনই সাকা চৌধুরী পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহচরদের নিয়ে গহিরা বিশ্বাসবাড়ি, উত্তর সর্তা, সুলতানপুর, জগৎ মল্লপাড়া এলাকায় কমপক্ষে ৪৭ জনকে খুন করেন। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শুধুমাত্র রাউজানেই কমপক্ষে ৩০০ হিন্দু ধর্মাবলম্বী নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ফকা চৌধুরী, সাকা চৌধুরীদের প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় অনুচরদের হাতে। একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে একজন শহীদের সন্তান শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গণতদন্ত কমিশনকে জানান, তার পিতা শহীদ শেখ মুজাফফর আহমদ ও ভাই শহীদ শেখ আলমগীরকে সাকা চৌধুরী ও তার সহযোগীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল হাটহাজারীর পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পের কাছাকাছি সড়ক থেকে ধরে নিয়ে যায় হাটহাজারী ক্যাম্পে এবং পরে তাদের মেরে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও বাদী হয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহের পুত্র সত্য রঞ্জন সিংহ ১৯৭২ সালে মামলা দায়ের করেন ফকা চৌধুরী, সাকা চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। এর আগেই ৭১ সালের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে পড়লে পরাজয় আসন্ন গণ্য করে ফজলুল কাদের চৌধুরী তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়া থেকে বাঁচার জন্য। জানা গেছে, ’৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামের চন্দনপুরায় ডা. ছমিউদ্দিনের বাসায় দাওয়াত খেয়ে সাকা চৌধুরী গাড়িতে করে বের হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছুড়ে মারে। এতে সাকা চৌধুরী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তারপরই তাকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পরিস্থিতি অনুকূল হলে সাকা চৌধুরী দেশে ফিরে আসেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে ১ নম্বর সেক্টরের লিয়াজোঁ অফিসার মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ খান (জাপা নেতা) গণতদন্ত কমিশনের কাছে জানান, সাকা চৌধুরী, তার পিতা ফকা চৌধুরী ও তার সহযোগীরা চট্টগ্রামে তাদের ‘গুডস হিলে’ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এমনকি অনেক মেয়েদেরও তারা ধরে এনে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের মনোতুষ্টির জন্য। সাকা চৌধুরীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণকারী সাকা চৌধুরী ১৯৭১ সালে ২২ বছর বয়সেই তার পিতা ফকা চৌধুরীর আশ্রয়-প্রশ্রয় ও নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙালি নিধনে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়ে। তার পিতা ফকা চৌধুরী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে লুট করা প্রায় দেড় মন সোনাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের একটি নৌযানে করে পালানোর সময় আনোয়ারা উপজেলার গহিরা উপকূলে ধরা পড়েন। পরে তিনি আটকাবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর ঢাকা অফিসে কর্মরত সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমদও ১৯৭১ সালে এই ফকা চৌধুরী ও সাকা চৌধুরীর হাতে চরমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ’৭১ সালের ৫ জুলাই তাকে ধরে রহমতগঞ্জের গুডস হিলের বাড়িতে ফকা চৌধুরীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে পিছমোড়া করে বেঁধে সাকা চৌধুরীসহ তার অন্যান্য অনুচর অকথ্যভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। পানি খেতে চাইলে তাকে গালি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তুই হিন্দু হয়ে গেছিস, তোকে পানিও দেওয়া হবে না ইত্যাদি। পরে তাকে জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে নামাজ পড়তে গেলে পর্যন্ত তাকে পাকিস্তানি সৈন্যরা লাথি মেরে বলতো, তুই হিন্দু হয়ে গেছিস, তোর আবার কিসের নামাজ।’
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত বিতর্কিত ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সে সময় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যেসব মামলা রয়েছে তা পুনরুজ্জীবিত করে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টিও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, এমনই দাবি আইনজীবীদের।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×