somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৭১ ও আল বদর বাহিনী - যার সকল সদস্য ছিলো জামাত ও ইসলামী ছাত্র সংঘ (শিবির) এর সদস্য

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীনতা যুদ্ধকে নস্যাত করার লক্ষ্যে জামাতে ইসলামীর অন্যান্য প্রচেষ্টার মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা ছিল আল-বদর নামে একটা সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রতিষ্ঠা। শিক্ষিত জামাত সদস্য এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের (অধুনা ইসলামী ছাত্র শিবির) সমন্বয়ে এই বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধরত জনগোষ্ঠীকে পাকিস্থানী মতাদর্শের গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করা।

পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর সংগে যোগসাজসে বদর বাহিনী সার্বিকভাবে জামাত নেতা গোলাম আজমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। এর প্রকাশ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন:

১) বর্তমান জামাতের নায়েবে আমীর মতিউর রহমান নিজামী - সারা পাকিস্থানের প্রধান
২) বর্তমান জামাতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদ - প্রাদেশিক প্রধান
৩) মীর কাসেম আলী - তৃতীয় নেতা
৪) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান - প্রধান সংগঠক

সেপ্টেম্বর ৭১ এর প্রথম দিকে গভর্নরের উপদেষ্টা রাও ফরমান আলীর সংগে বৈঠকে গোলাম আজম বুদ্ধিজীবি নিধনের অনুমোদন লাভ করেন। তার পরপরই গোলাম আজমের তৎপরতা লক্ষ্যনীয় ভাবে বেড়ে যায়। তিনি সেই সময় আল বদরের মোহাম্মদপুরের হেড কোয়ার্টার পরিদর্শন কালে চরম উত্তেজনাময় বক্তব্য রাখেন। ( দৈনিক সংগ্রাম - ১৭ সেপ্টেম্বর ‘৭১)। সাথে সাথে দৈনিক সংগ্রামও তাল মিলিয়ে উত্তেজনাকর কলাম প্রকাশ করতে থাকে।

১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত হয় আল-বদর শিরোনামে একটি লেখা, যেখানে বলা হয় -

“আল-বদর একটি নাম! একটি বিষ্ময়! আল বদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আল বদর সেখানেই। ভারতের চর কিংবা দুষ্কৃতকারীদের কাছে আল বদর সাক্ষাৎ আজরাইল” ।

বাঙালী বুদ্ধিজীবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আল-বদর বাহিনীর প্রস্তুতির প্রমান পাওয়া যায় আল বদর প্রধানের ভাষনে। ২৩শে সেপ্টেম্বর ‘৭১ ঢাকার আলীয়া মাদ্রাসাস্থ বদর বাহিনীর ক্যাম্পের এক সমাবেশে বদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী বলেন -

“যারা ইসলামকে ভালবাসে শুধুমাত্র তারাই পাকিস্থানকে ভালবাসে। এইবারের উদ্ঘাটিত এই সত্যটি যাতে আমাদের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা ভুলে যেতে না পারে সে জন্যে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালাতে হবে”।

যার ফলশ্রতিতে আমার দেখি ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ভয়াবহ বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবিদের নিধনের ঘটনা বিশ্ব দেখেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৯
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×