জামায়াত নামক দলটি মতাদর্শের দিক দিয়ে এখনও ১৯৪৭-৭১-এর মধ্যেই আছে। ৩০ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের উপজাত পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়ে ঘৃন্য এই তত্ত্বকে জঘন্য প্রমান করেছে - জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আজম ও বর্তমান আমীর মতিউর রহমান নিজামী পাকিস্তানী খোয়াবের কারণেই আবারও ১৯৪৭ সালের যৌক্তিকতা বা দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন।
অন্যদিকে আট খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে গোলাম আজমের আত্নজীবনী ‘জীবনে যা দেখলাম’। কী দেখেছেন জীবনে? পাকিস্তান ভাঙার জন্য ইয়াহিয়া-ভুট্টোকে তিনি দায়ী করেছেন ঠিকই, তবে শেখ মুজিবের প্রতি তার ক্ষোভও ছিল। কারণ, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার যখন কোন সিদ্ধান্ত ছিল না, তখন ইয়াহিয়ার সঙ্গে সংলাপকে ব্যর্থ হতে দিলেন কেন? প্রয়োজনীয় ছাড় দিয়ে হলেও সমঝোতায় পৌঁছা উচিত ছিল।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের দরকার ছিল না। পাকিস্তান থাকাটাই ছিল জরুরি।
রাজাকার ও শান্তিকমিটির যৌক্তিকতা তিনি তুলে ধরেছেন, তাদের খুনখারাপি তার চোখে পড়েনি। মুক্তিযুদ্ধ হতো না বা পাকিরা এত নৃশংস হতো না, যদি না মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ‘নির্বিচারে’ অবাঙালিদের হত্যা করত। পাকি জেনারেলদের মতও তা। কিন্তু প্রশ্ন, নির্বিচারে হত্যা হল কখন? আর নির্বিচারে হত্যা হলে দেশ-বিদেশে পত্রিকায় তার বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হল না কেন? স্বাধীনতার পর আলবদর মঈনুদ্দীন (যে বুদ্ধিজীবীদের নিজ হাতে জবাই করেছে) আবদুস সোবহান প্রমুখের সঙ্গে বিদেশের মাটিতে তার যোগাযোগ ছিল এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের জামায়াতিদের সাহায্য করতেন তার উল্লেখ তিনি করেছেন। তার মতে, এখনও দ্বিজাতিতত্ত্বই ভালো। এ কথা এখনও তিনি বিশ্বাস করেন।
নিজামী ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিল। আলবদর বাহিনীর নেতৃত্বে এ দেশে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের (গণহত্যাসহ) হত্যা করা হয়েছে। এ কথা যখনই আমরা বলি, তখনই জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, আলবদর বাহিনী ছিল না এবং সে কারণে নিজামীর আলবদর বাহিনীর প্রধান হওয়ার কথাও ওঠে না। জামায়াতিরা যে বড় রকমের মিথ্যাবাদী এই উক্তি তার প্রমাণ। তাদের মুখপত্র ‘সংগ্রামে’ই আলবদরের কাহিনী লেখা আছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের টাকায় ১৯৬৯ সালে পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাকিস্তানি এক জেনারেলই তা উল্লেখ করেছেন। আইএসআইয়ের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ এবং ১৯৭১ সালে তারা আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করেছে এবং সে নীতি থেকে এখনও তারা বিচ্যুৎ হয়নি।
পাকিস্তানিরা আলবদর সম্পর্কে কি লিখছে? পাকিস্তানি গবেষক সৈয়দ ডালি রেজা নসর সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ করেছেন, নাম দি ভ্যানগার্ড অব দি ইসলামিক রিজ্যুলেশন : দি জাময়াত ই ইসলামী অব পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামিক জামাত ই তুলাবা (আইজেটি) সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা শুরু করে। এর প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। ১৯৭১ সালে আইজেটি পূর্বপাকিস্তানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা আলবদর বাহিনী গঠন করে। এর অধিকাংশ সদস্য ছিল আইজেটির সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অবাঙালি সম্প্রদায় থেকে প্রধানত সদস্য সংগ্রহ করা হতো। আইজেটির নাদিম ই আলা নিজামী এই বাহিনী সংগঠিত করেন। [২-৬৬]
এই সংগঠনের প্রধানকে আরেক যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ বলেছেন, আল্লাহর ‘ওলি’। শাহরিয়ার কবিরের যুদ্ধাপরাধী ’৭১ দেখুন। পাবনার সাঁথিয়ায় মানুষজন নিজামীর খুন বর্বরতার কী চিত্র তুলে ধরেছে দেখুন।
আসলে জামায়াত প্রমাণ করতে চায়, ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদের দেশের ইতিহাসের ধারাবাহিকতা আছে। ১৯৭১ একমাত্র বিচ্যুতি।
অবশ্য এখন জনমতের চাপে পড়ে নিজামী স্বীকার করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু নন কিন্তু জিন্নাহ কায়েদে আজম (জাতির পিতা)।
১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু নেই। তার মানে কি মুক্তিযুদ্ধ হয়নি? এখনও আমরা পাকিস্তানে আছি? এই মুজাহিদের নির্মম আচরণের বিবরণ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। নির্মম সত্যের মুখোমুখি হয়ে ১৪ ডিসেম্বর তিনি বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু তার এই মূল্যায়নে আমরা ভীত। এই মূল্যায়ন কি আবার বুদ্ধিজীবী হত্যা? আরেক যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা কয়েকদিন আগে ঘোষণা করেছেন, ‘কেউ সুন্দর নারীর লোভে, কেউ ভারতীয় স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।’ ভারত-বিদ্বেষ নিজামীর সাম্প্রতিক উক্তিতেও প্রকাশিত। আমাদের প্রশ্ন, পাঁচ বছর নিজামী-মুজাহিদ ক্ষমতায় ছিল, একটি দিনও ভারতের বিরুদ্ধে কেন টুঁ শব্দটি করেনি।
এই জামায়াতিরা ১৯৭১ সালে কিভাবে লুট, ধর্ষণ, হত্যা করেছিল তার বিস্তারিত বিবরণ বিভিন্ন গ্রন্থে ছড়িয়ে আছে। নিজামী-মুজাহিদরা ১৯৭১ সালে কি করেছিল নতুন প্রজন্মকে তা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করব।
আমিনুর রহমান খান নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তার স্মৃতি কাহিনীতে লিখেছেন, দুই মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে রাজাকাররা বড়শি দিয়ে তাদের চোখ উপড়ে ফেলেছিল। তারা যখন ক্যাম্পে তখন সুবেদার মেজর মফিজ ছিলেন সেখানে সবচেয়ে বেশি বয়সী। তিনি তাদের বলতেন, তাকে হারামজাদা, কুত্তার বাচ্চা ডাকতে। অন্য নামে ডাকলেই ক্ষেপে উঠতেন। একদিন অসতর্ক মুহূর্তে আমিনুর এর কারণ জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন, ‘মানুষই যদি হতাম তাহলে বেঁচে থাকলাম কেন? মরলাম না কেন সেই দিন? আমার চোখের সামনেই আমার স্ত্রীকে গুলি করে মারল। আমার হাত-পা বেঁধে রেখে চোখের সামনে দুই ছেলেকে মারল, জামাইকে মারল, ছেলের বৌকে ও মেয়েকে ধর্ষণ করল। শেষে, শেষে আমার নাতনী উঃ তো চিৎকার করে বলল, নানু আমাকে বাঁচাও। কিছুই করতে পারলাম না। যাওয়ার সময় শুয়োরের বাচ্চারা সবাইকে গুলি করে মারল। আমি মানুষ না জানোয়ার তুই বল?’ মফিজ কিছুই করতে পারেননি দেখে তার এই ক্ষোভ।
লুৎফুন্নাহার ছিলেন ছাত্রনেত্রী, মাগুরার স্কুল শিক্ষিকা, শিশু সন্তানের মা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এই অভিযোগে তাকে লাঞ্ছনার পর রাজাকার আলবদররা জিপের পেছনে বেঁধে সারা শহর টেনেহিঁচড়ে ঘোরায়। মৃত্যুর পর তাকে দাফন করতে দেয়া হয়নি। তার লাশ নদীতে ছুড়ে ফেলে ওরা। তার হত্যাকারীর দাফনও মাগুরার মাটিতে হয়নি। সে ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জামায়াত সব সময় সরকারি সাহায্যপুষ্ট হয়েছে। পাকিস্তানি আমলে সামরিক সরকার, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী, ১৯৭৫ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান, পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া সব সময় তাদের সহায়তা করেছেন। জেনারেল জিয়া জামায়াতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নতুনভাবে রাজাকারবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বেগম জিয়া তাদের সরকারে নিয়ে আমাদের অপমান করেছেন। বস্তুত এ দুটি দলে এখন পার্থক্য খুব কম।
২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে জামায়াত-বিএনপি যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, সে পরিমাণ দুর্নীতি বাংলাদেশে আর কখনও হয়নি। ১৯৭১ সালের পর তাদের আমলে যত খুন-ধর্ষণ হয়েছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনও হয়নি। এথনিক ক্লিনজিং চালিয়েছে। শেখ হাসিনাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। জেল-জুলুমের কথা না হয় বাদই দিলাম। তারা তাদের সাহায্য করার জন্য উগ্র মৌলবাদীদের নিয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই নিজামী তখন বলেছিলেন, বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি।
বর্তমান সরকারও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে। নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছে।
আমরা সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। তাই এবার নির্বাচনে সুযোগ এসেছে তাদের অপকর্মের প্রতিশোধ নেয়ার। ১৯৭১ সালে নিজামীরা খুন করেছে এর বিচার হয়নি। প্রশ্ন, তাহলে অন্য খুনের বিচার হবে কেন? যুদ্ধাপরাধীরা এখনও পাকিস্তানে বিশ্বাস করবে এবং তা আমাদের মেনে নিতে হবে কেন? গণতন্ত্রেও পাকিস্তানের পক্ষে বলার কোন অধিকার তাদের নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে এ দেশে গণতন্ত্র, শান্তি ফিরবে না, বিশ্বদরবারে আমরা কাপুরুষ জাতি হিসেবে পরিচিত হব। ৩০ লাখ শহীদের আত্নাও শান্তি পাবে না। ইসলামের নামে তারা ইসলামকে অপবিত্র করেছে অথচ আমরা বলি আমরা ধর্মপ্রাণ।
এই বিজয়ের মাসে জামায়াতে ‘মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র’ থেকে দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ বই দুটিতে জানানো হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হননি, হয়েছেন ১০ হাজার। শুধু তাই নয়, যেহেতু ১৬ ডিসেম্বরের আগে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে কোন রাষ্ট্র ছিল না, অতএব ১৬ ডিসেম্বরের আগে এর অস্তিত্ব স্বীকার বা অস্বীকার করায় কিছু আসে-যায় না। যে শিশুর জন্মই হয়নি, শতবার স্বীকার করলেও তা অস্তিত্বহীন। [প্র. আলো, ১৭.১২.০৮] গ্রন্থের লেখক মুক্তিযোদ্ধাদের দোষী করেছেন। কারণ হানাদার বাহিনীর হাতে যত মানুষ নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশি নিহত হয়েছে আলবদর, আলশামস, রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যররা। এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য দায়ী কে? কে আবার আওয়ামী লীগ। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক ছিল না। বরং ইতিহাস প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হন্তারক।
এভাবে বিজয়ের মাসেও মিথ্যাচার করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অপমান করে। জামায়াত তথা পরাজিত শক্তির দোসর বিএনপি তথা চারদলীয় জোট আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তানি বাংলাদেশ সৃষ্টি করার।
জামায়াত-বিএনপি এবার ক্ষমতায় এলে বিরোধীরা, গণতন্ত্রমনা, প্রগতিশীলরা এ দেশে থাকতে পারবেন না। তারা আবার ২০০১-০৫ সালের মতো খুন, লুট, ধর্ষণ, এথনিক ক্লিনজিং চালাবে, ৪০ টাকা কেজি চাল ও ১৩০ টাকার সয়াবিন খেতে হবে। জামায়াত-বিএনপিরা এমন লুট করবে যে, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ইসলামের নাম করে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করবে। নারীরা ঘর ছেড়ে বেরোতে পারবে না। ধর্মনিরপেক্ষ উন্নত প্রগতিশীল বাংলাদেশ চান, নিজের সন্তানদের ’৭১-এর মতো আলবদরদের হাতে খুন হতে দিতে চান না, নিজের স্ত্রী-কন্যাকে ধর্ষিত দেখতে চান না, তাদের এখন বেছে নিতে হবে মধ্যযুগীয় জামায়াতকে ভোট দেবেন না স্বাধীনতা এনেছে যে দল তাদের ভোট দেবেন। বেছে নিতে হবে ১৯৭১ সালে যারা পাকি ও পাকি বাঙালিদের হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল সেই পরাজিত শক্তির পক্ষে থাকবেন না ১৯৭১-এর বিজয়ীদের সঙ্গে থাকবেন।
আমরা ’৭১ সালের বিজয়ী শক্তির সঙ্গে থাকতে চাই।
(ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের লেখার কিঞ্চিত পরিবর্তিত রূপ : মুল লেখাটি যুগান্তরের ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ এ প্রকাশিত)
আলোচিত ব্লগ
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?
যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই
হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই
আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।