somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড্রইংরুমে বসিয়া উদাসীর তথ্যমূলক বিশ্লেষন: রাজপথ মোদের ঠিকানা, রাস্তায় কি জন্য জানিনা, আন্দোলন ছাড়া কিছু বুঝিনা, পশ্চাদ্দেশে বিপুল বেদনা!কেমতে কি? ঘটনা কি সত্যি?

২৪ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(+18)

রিক্সায় চড়িয়া আড়চোখে দেখিতেছে উদাসী, 'তুই যদি আমার হইতিরে' এর খুল্লাম খুল্লা পোষ্টার। মনে পইড়া গেল এই দুপুর বেলা, বহুকাল আগে দেখিয়াছিলো "তোরে খাইছি" এর রগরগে পুষ্টারখানা। যৌথবাহিনীর দাবড়ি খাওয়া ডিপজল মামু দাড়িয়ে ছিলেন, এক হাতে তলোয়ার আরেক হাতে লাল দোপাট্টা, আর আশেপাশে কত না রঙ্গিলা! রিক্সায় বসিয়া উদাসি লাভ করিতে লাগিলো যৌবনের পরম সুখ!

এই দুপুরে বহুদিন পরে উদাসী এরম রিক্সায় চড়িলো, সে নাকি শুনিয়াছে আন্দাজে, আর্মি নামিবে পথেঘাটে, যাকেই পাইবে খেলিবে ডাঙ্গুলি,দেখাইবে লাল দালানের অজানা চোরা গলি!অফিসে তো ভালই ছিলো, নিত্য ঝিমাইতেছিলো, খেলতেছিলো লুডু-কাবাডী, মন উড়িতেছিলো যাইবে ভুড়ুঙ্গামারী। হঠাতই শুনিলো ঢাকা ইউনিভর্সিটিতে শুরু হইয়াছে মারামারী! উদাসী প্রমাদ গুনিলো, মন্ডলরা কি খালি গন্ডগোলই করে? দুঃখ যাতনায় তাদের প্রেমিকারা থুক্কু বুইনেরা ইডেনের পথেঘাটে আর চূড়ি পড়িয়া থাকিতে পারিলো না, যোগ দিলো তাহাদের সাথে নামিলো রাজপথে। পুলিশ ভাইয়েরা হাত নিশপিশ করা একখানা ফেভারিট কাজ পাইলো। জীবনে প্রথম উদাসীর পুলিশ হইবার সাধ জাগিলো!
এদিকে নীলক্ষেতের অলিগলিতে অলস দুপুরে বিরানীর দোকান গুলাতে চিবাইতে ছিলো মুরগীর রান ঢাকা কলেজের পুলাপান। তাহারা সুন্দরীদের অবস্হা দেখিলো, হ্রদেয়ে যাতনা লাগিলো। বহুদিন থিকা লিস্টিতে ২ নম্বর সিরিয়ালের বয়ফ্রেন্ডের সাইবোর্ড গলায় ঝুলাইয়া ঘুরা ঢাকা কলেজের পুলাপানের দরদ বেলুনের মতো ফুলিয়া ঢোল হইয়া ফাটিয়া যাইবার উপক্রম হইলো। এইফাকে বহুদিন ধরিয়া মোছে তা দেওয়া পাতী নেতারা ঝাপাইয়া পড়িলো হালিমের দুকানের উপর: কতদিন মাগনা খাওয়ায় না। হ্রদয়ে তাদের হাজারো অনুযোগ: বিরিয়ানি আর ফ্রী নাই, শার্ট প্যান্টের দুকান সরকারের ভ্যাট লইতেও ছাড়ে না: বোম্বাই মরিচের এই ঝাল মিটাইবার এখনই সময়-চলিল পানিপথের আমলে Waterloo এর যুদ্ধ!
এই জ্বালাময়ী খবর উড়িয়া উড়িয়া যখন গাবতলী দিয়া সমগ্র দেশবাসীর নিকট পৌছাইবে তার চুম্বকাংশ ধরা পড়িলো বাংলা কলেজের রাডারে। ঢাকা কলেজের পুলাপানের এমুন কি আছে যা আমাগো নাই? প্যান্টের চেইন খুলিয়া সারিবদ্ধ ভাবে হইলো পুলাপান নিশ্চিত, রাস্তায় গিয়া একুশে পরিবহনের উপর ঝাপাইয়া পড়িয়া শুরু করিলো তাহাদের গীত। একজন ডাইন বায়ে তাকাইয়া দেখে এক পুলিশ শিনা টান থুক্কু ভূড়ি টান করিয়া মৌজ দেখিতেছে আর দন্ত খিলাল করিতেছে। "আগে বাড়ো!" এই বলিয়া পুলাপান আগাইয়া পড়িলো। উদাসী তো খালেক সাবরে আগেই বলিয়াছিলো, বাংলা কলেজের পুলাপান তাহারা বড়ই নাদান, ওগো মাগনা আপনার একুশেতে উঠান! শুনে নাই, এখন আইসো সবাই মজা দেখে যাই!
আহারে!প্রিন্সের হালিম, মুসলিমের কাবাব, আরচিজের উপহার কত দিন মাগনা লয়না!
আইসো পুলাপান,
আন্দোলনে মোরা লইবো জান।
মীরপুর ১ নম্বরের বেকার লীগ-দলের পুয়লাপান যাগো গীরা গাট্টিতে এতদিনের জমে থাকা জ্যাম, উইঠা খাড়াইলো ঝাইড়া, আমাগো এলাকার যমুনার বাড়ীর গেটে টহল দেয়া কবিরও গেলো চাকরী পাইয়া। এই খবর শুনিয়া আতে লাগিলো উদাসীর পরানের তেজগাও কলেজের পুলাপানের। অবশ্য তারা এতক্ষন ধরিয়া মাল সামগ্রী গুছাইতে ছিলো,
মাগার হুংকার যখন যুদ্ধের,
ভাঙ্গিলো ঘুম ব্যাঘ্র কন্ঠের।
মারামারি শিখাইলো বাংলা কলেজরে তেজগাও, এখন ওগো রাইখা তুমরা লাফাও।
ফলাফল ফার্মগেট কারারুদ্ধ!
এদিকে তীতুমীর কলেজের বহুদিনের ক্ষোভ, কোনজায়গায় না সান্ধাইয়া বিডিআর আসিলো এইখানে জুইড়া, বানাইলো কাচা বাজার, মান সম্মান গেলো সবার। কেন পাশের ব্র্যাক বা ঈষ্ট ওয়েষ্ট বুঝি চোখে পড়ে নাই। পুলাপানের হাতে পড়ে থাকা এত দিনের চূড়ী আজ ভন্গিলো, সবার আগে স্কয়ার জ্বালাইবো, সব এগিয়ে চলো। উদাসীকে রাস্তায় সকালে জনৈক জিগাইলো এত ফূর্তি কেন? উদাসী কাউন্টারে কইলো," আমি কি স্টুডেন্ট?"
-তাইলে?
উদাসী মিচকাইতে মিচকাইতে অফিসে পৌছাইলো সকাল ১১:০০টায়! গিয়া দেখে হোসেইন্দার পুষ্টে স্কয়ারের নাকি কাচ সব শেষ, জানাইলো ভয়ের কথা ওগো 'ভবের কুইড়া' বৃদ্ধ নাসিররে। ঘুম থিকা সটান উঠিয়া ফোন লাগাইলো তার কোনো র‌্যাব বন্ধুরে। যা বলিলো তাহা সন্দেহের চোখে ভয়ংকর দৃষ্টিতে বসকে কহিলো- ডাইনে বাইনে না তাকাইয়া অফিস ছাড়িতে! বস তাহার নানা ইস্যুতে ব্যাস্ত, মাগার ইহা শুনিয়া তার কপালে কিন্ঞ্চিত ঘাম ঝড়াইয়া কহিলো," আমি এখন কি করিবো?" উদাসী তখন ৭১'এর বন্ঙ্গবন্ধুর ন্যায় সবাইকে আহবান জানাইলো "আইসো আমরা এখন ফুটিবো!" আহ কি শান্তি! পুরা অফিস ছুটি। রাস্তায় গাড়ী খুজেতেছে কত না সুন্দরী, মনে উকি দিলো তাহার আইসো টান্কি মারী!
ততক্ষণে বুয়েটিগো পরীক্ষা শেষ হইলো, হইয়াই দেখে কত কিছু ঘটিয়া গিয়াছে, তাতে কি প্রিপারেশন নেয়া শুরু করিতে যেইনা যাইবে এমন সময় বলা হইলো, হল ত্যাগ করিতে হইবে! আর হইলো না নিজেদের বাহুবল দেখানোর। এদিকে অন্যান্য ইন্জিনিয়ারিং ইউনিভর্সিটিগুলান ওয়েটে ছিলো বুয়েটীরা কখন শুরু করিবে, মাগার ঢাকায় থাকিয়া উদ্দিষ আছিলো বইয়ের ভিতর: আর চালাইনা হইলো না আর ইন্জিনিয়ারগো দেখানোর নিজেগো গায়ের জোড়। এদিকে অটোর কথা শুনিয়া, পুলাপান সোতসাহে বলিয়া উঠিলো,
"অটোরে অটো,
লাগাও আমার ফটো!"
এদিকে হবু ডাক্তাররা তো ডায়রিয়ার রুগী নিয়াই ব্যাস্ত!মাগার আকাইম্মা জাহাঙ্গীরনগরের পুলাপানরা নিজেগো একাত্নতা ঘোষনা করার আগেই খাইলো পুলিশের বাড়ি, মাথা নিচা কইরা সবাই গেলো বাড়ী, ভাঙ্গিলো না হাতের চূড়ি!
উদাসীর হাসিই লাগিলো এহেন হিজড়া থিক্কু অরেলিয়েনো বুয়েন্দিয়ার ব্যার্থ অভ্যুথানের কথা শুইনা!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ১০:২১
৪৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×