somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোলগে কুনো সুন্দরী নাই, বোলগানী লস প্রজেক্ট!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশাল একখান শপিং মলে খাড়াই খাড়াই টিভি দেখতাছিলাম আর ভাবতাছিলাম কি কিনন যায়। মুরগী খাইতে খাইতে কয়দিন পর ডিম পাড়া বাকি, ইদানিং রুম মেটের ভাষ্যমতে আমি নাকি ঘুমে মুরগীর ডাক দেই (আসেন বলি নাউজুবিল্লাহ)! মাগার মুরগী ছাড়া একদিন কইলজা খাইয়া বড়ই মুসিবতে পইড়া গেলাম।

গরুর ফটুক দেইখা কলিজা কিনলাম, যে মাইয়াটা ক্যাশকাউন্টারে টাকা নিতাছিলো তারে জিগাইলাম,"যেই গরুর কলিজা কিনিয়াছি, তার ফটুকটাই কি এইখানে? তাইলে এই ফটুকটা কি কলিজা বাইর করনের আগে না পড়ে তুলা হইছে?" মাইয়াটা দেখি চাইয়া আছে। সুন্দরী মাইয়া যখন কেউ এমনে চাইয়া থাকে তখন আমার মাথা ঘুরে। একটু পর রুম মেট ঠেলা দিয়া কইলো,"ট্যাকা দেন না কেন? ছেরী তো ট্যাকা চাইতাছে!" ইদানিং আমার কানেও সমস্যা। কানে না মাথায় সেইটাও বুঝতাছিলাম না কারন আমি ওর দিকে চাইয়া ভাবতাছিলাম কইলজার প্যাকেটের গরুখান যেই হাসি দিছে, এইটাকি তার কইলজার অপারেশন হেব্বী সাকসেসফুল হওনের আগে না পরে!

এই সাকসেসফুল্লী অপারেশন করা কইলজা যখন রাইন্ধা খাইলাম তখন হেব্বী স্বাধ পাইলেও গন্ধটা নিয়া সন্দেহ দেখা দিছিলো।এই গন্ধটার বিষয়েও একখান পলাশীর আমতলার ইতিহাস বিদ্যমান। সেই ইতিহাসের পাতিহাস বিষয়ক আলু-চেনা করিব এখন।

খাইতে খাইতে রাইত ১২ টা তারপর মুভি দেখতে দেখতে রাইত দুইটা আর ঘুমাইতে ঘুমাইতে ৪ টা। সকাল বেলা উইঠা আবার ল্যাব। যাই হোউক, সেইদিন রাইতে ঘুমাইছিলাম ৫ টা, কারন রাইতের বেলা মুভি সিনেমা দেইখা দেখি আবারও ক্ষুধা লাগে। পাউরুটি দিয়া বনরুটি খাইয়া ঘুম দিলাম। বাইরে টেম্পারেচার পুরা -২০ এর উপ্রে, তাই দরজা জানালা পুরা সাবমেরিনের মতোন এয়ার টাইট। লেপের তলে মুড়ি দিয়া ঘুমাইতে যাওনের ৩০ মিনিট পর রুম মেট খুচা দিয়া উঠাইলো,"ঐ মিয়া, গ্যাস্ট্রিক হইছে নাকি? গ্যাস দিয়া রুম ভইরা ফেলাইছেন!"
উইঠা দেখি আসলেই রুম গন্ধ হইয়া গেছে। এয়ার ফ্রেশনার মাইরা চিন্তা করতাছিলাম যখন ঘুমের মধ্যে মানুষ কেমনে গ্যাস ছাড়ে তখন রুম মেট আমারে কয়,"ওস্তাদ, কলিজাটা কি গরুর আছিলো?"
মনে মনে কইলাম,"আমার পেটের গ্যাস শুইনা কি মনে খটকা লাগলো? আর কাম পাইলা না চান্দু!"
ফ্রিজে গিয়া তরকারীর গন্ধ শুকলাম ১০ মিনিট। কই ঘুমামু তা না গন্ধ শুকা শুরু করছি তরকারীর। মনে হইলো ইহা শুয়রের গন্ধ যদিও আমরা দুইজনে কুনোদিন শুয়রের গোস্ত খাই নাই, খালি গন্ধ শুকছি; ঈমানে কইতাছি!

৯ টার সময় শপিংমলের সাটার খুলনের আগেই হাজির। দেখি সাটার খান অটোমেটিক খুইলা গেলো আর ভিতর থিকা একখান সুন্দরী বাইর হইলো এ্যাডের সাইনবোর্ড লাগাইতে। কি তমসা, আমাগো দেশে মানুষ বাড়ি থিকা আইসা সাটার খুলে হাত দিয়া আর এইখানে দুকান থিকাই সাটার "খুলে খুল যা ছিম ছিম" কইরা।

আমরা দুইটা হুট কইরা দুকানে ঢুইকা ল্যাপটপ খুলি আগে, দুইটা সুন্দরী এমুন ভাবে আমাগো পাশে খাড়াইলো মনে হইলো আমরা এখন গান ছাড়মু আর ওরা নাচবো। মন চাইলো, খেমটা নাচ দেখনের আর জায়গা পাইলো না। যাই হোউক, গুগল ট্রানসলেটর খুইলা কইলা পয়লা ইংলিশে পরে লুকাল ভাষায় কইলাম,"ইহা কুন জন্তুর পেটের কইলজা?"
দুই তিনবার ভ্রু কুচকাইলো, ভাবলো সাত সকালে পাগল কই থিকা আইলো। যাই হোউক, ওগো গোস্ত ডিপার্টম্যান্টের বুইড়া কসাইরে ডাইকা আইনা সে আমারে জানাইলো ইহা গরুর। আমি কইলাম গন্ধ তাইলে শুয়রের কয় কেন? সে কইলো সে জানে মুসলমানরা শুয়র খায় না। তয় সে সন্দেহ করলো শুয়র আর গরু যেই পোল্ট্রি থিকা আনছে সেইখানে মনে হয় ওরা একই জিনিস খাইছে, বইলাই বুড়ার দুই পাটির ৩৪ খান দাতের জিলিক মারা হাসি। বুঝলাম না এতো বুড়া বয়সে এগো দাত কাল্লুগো মতোন এতো সুন্দর থাকে কেমনে!

যাই হোউক, সকাল বেলা আবার রুমে গিয়া ২ ঘন্টার একটা ফ্লেক্সি ঘুম দিতেই দেখি রুমে বেল। মেজাজ খান বিলা। কই যাই, ঘুমেও শান্তি নাই। দরজা খুলতেই দেখি এক বাঙ্গালী ভাইয়ের কেলায়িত হাসি! উনি নাকি নতুন আসিয়াছেন, তাহাকে নাকি বলা হইয়াছে আমাদের রুমে হাজী মোহাসিন থাকে যার সাথে রুম ভাড়া ফ্রি।

মেজাজ দেখি বান্দরের বাশ চড়নের কাহিনীর মতো উপরেই উঠতাছে, কেউ কি নাই মেজাজ নামক বান্দরটার বাশে একটু বেশী কইরা তেল দেয়!

যাই হোউক, রুমে আইসা শুরু করলো তাহার রেডিও ফূর্তির ট্রান্সমিশন। মন চাইলো ওর ফূর্তির গলা টিপি দেই।
: ভাইজান, আপনের বাপ কি করেন ঢাকায়?
: জ্বী উনি ঢাকায় থাকেন না। পেশায় কৃষক!
: বাহ ভালোই। তো স্কলারশীপে মনে হয়?
: নারে ভাই, আমি তো ভাই প্রাইভেট থিকা, তাও কুনো মতে লাস্ট ইয়ারের পরীক্ষা না দিয়া একখান সার্টিফিকেট কুনোমতে বাইর করছি।
: তো ভাইজান, এইখানে কুনো চাকরী নাই। আপনে এতো টাকা দিবেন কেমতে?
: সেইটা নিয়া চিন্তা নাই, বাপে দিবে!

চিন্তা করলাম কিসের চাষ করে বাপে যে পুরা টিউশন ফি দিয়ে এমুন পুংটারে পাঠাইছে!
: ভাইজান, আপনের বাপে কি আফিমের চাষ করে নাকি পপি?
: ধুরু ভাই, আমার বাবা চা-চাষী। সিলেটে আমাদের ১ টা আর কুড়িগ্রামে দুইটা চা বাগান আছে!

এই রেডিও ফূর্তি একখান চীজ, বাপের অঢেল টাকা নিয়াও আমাগো লগে ফ্রিতে থাকতে আইছে, আমার রুম মেট সকাল বেলা উইঠাই ওর দিকে টানা ৫ মিনিট চোখ বড় বড় কইরা তাকায় থাকে। মনে হয় সে একটা ইলিশের রোস্ট দেখতাছে, যা খাইতে খুবই সুস্বাদু। কিন্তু সে খাচ্ছে না, খাওয়ার জন্য তাকায়া থাকে! ভয়ে আছি কখন যে রুম মেট আমার একটা খুন কইরা আমার দেশে যাওনের আইনী ব্যাবস্হা কইরা দেয়!

মেজাজ এমন নানামুখী বিলা নিয়া যখন ইয়াহুতে লগি ইন করি, তখন দেখি ব্লগের বোলগারদের "হায় হ্যালো" মাগার আফসুসের কথা হইলো কুনো সুন্দরী আইজ পর্যন্ত "হায় হ্যালো" কইলো না। সব দেখি পোলা নাইলে বুইড়া সিনিয়র। আমি বুইড়া হইছি বইলা কি সুন্দরীগো লগে টান্কি মারতে পারুম না এইটা কুন দেশী নিয়ম সেইটাই বুঝতাছি না।

বোলগানী আসলেই লস প্রজেক্ট!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৫০
৬০টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×