somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পারমানবিক তেজস্ক্রিয়তার ব্যাবচ্ছেদ এবং আমাদের কি করনীয়!

২৪ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে বিদ্যূৎ নাই। বিদ্যূৎ আছে নেতা নেত্রীদের সরকারী বাসভবনে। সাধারন যারা অর্থে বিনিময়ে রাস্ট্রের কাছ থেকে বিদ্যূৎ কেনে তারা পায় না বিদ্যুৎ। এবার ঢাকা যাবার সময় দেখলাম প্রচন্ড দাবদাহে এক গরীব দম্পতি সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে জামে বসে আছে। তার স্ত্রী গায়ে কাপড়টা কোনো মতে জড়িয়ে রেখেছে, কারন আমাদের দেশে জান চলে যাক তবু লজ্জা খোয়ানো যায় না। মাথায় ঘোমটা করতেই হবে। আর শিশুটি পুরো উদোম গায়ে, নাভীর গা তখনো শুকোয়নি।
বাসায় গিয়েও শান্তি নাই, বাইরে বাতাস থাকলেও সেটা লু হাওয়া, বাসায় গেলেও বিদ্যূৎ পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নে বিভোর পারমানবিক চুল্লী বসিয়ে জন গনকে বিদ্যূৎ দেবে কিন্তু জানি পারমানবিক বর্জ্যেগুলা রাশিয়া কতদিন পর নিয়ে যাবে আর দেশ থেকে যতদিন না নিবে সেগুলো কিভাবে রাখবে। দেশে যতদিন রাখবে ততদিন তেজস্ক্রিয়তার ভয়।
তেজস্ক্রিয়তা কি সে সম্বন্ধে দেখি আমাদের দেশে তথাকথিত নামকরা বিশেষজ্ঞরাও আমাকে সঠিক ভাবে দিতে পারেন নি, কেউ ঠিক মতো বলতেও পারে না এটিকে কিভাবে ঠেকানো যায়।
আমি জানি সামু ব্লগ কোনো বৈজ্ঞানিক জার্নাল সাইট না, তবুও পোস্টটা এখানে করলাম যাতে করে কোনো দুর্যোগে পড়বার আগে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা বলয় নিজেরা তৈরী করে নিতে পারি!
যদিও এর আগে একটা পোস্ট সবচেয়ে ভালো টেকনোলজী যেটা আসলেই পারমানবিক বর্জ্য সংরক্ষনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সেটা সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছি, কিন্তু এটা আমি শিওর আমাদের দেশে এমন টেকনোলজী আসছে না।

তেজস্ক্রিয়তা কি?

পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাচামাল হিসাবে ইউরেনিয়াম প্লুটোনিয়ামের ব্যাবহার লক্ষনীয়। আমরা অনেকেই জানি এসব তেজস্ক্রিয় পদার্থ। যারা ননটেকী তাদেরকে একটি বুঝাই আসলেই জিনিসটা কি। আপনে বাজার থেকে রেডিয়ামের একটা ছোট্ট পুটলী কিনে আনেন। দেয়ালে লাগিয়ে রাখলে দেখবেন কি সুন্দর জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। রেডিয়াম কিন্তু একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ! কিছু কিছু পদার্থ আছে যেগুলো আলো ছড়ায় নিজে নিজে জ্বলে।


প্রকৃতিতে এমন অনেক মৌলিক পদার্থ আছে যেগুলোর নিউক্লিয়ারগুলো আনস্ট্যাবল। এরা সবসময় আয়নায়িত অনু থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রন প্রোট্রন প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন নির্গত করে। আনস্ট্যাবল বলতে এদের নিউক্লিয়াস গুলো বড় হবার কারন এদের একসাথে থাকবার জন্য যেসব বল কাজ করে সেগুলো বেশ দুর্বল। তাই এই অনুগুলো ক্ষয় হতে থাকে এবং এর মধ্যে থাকা কনিকা গুলো নির্গত হতে থাকে। পরে দেখা যায় এই অনুগুলোর নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে দুটো অন্য অনুর নিউক্লিয়াসে পরিনত হয় যেগুলো স্হির হবার চেষ্টা করে। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। দেখা গেলো নিউক্লিয়াসের বাইরে থাকা ইলেক্ট্রনের সংখ্যার সংকটে অথবা আইসোটোপের সংখ্যা গুলোর অস্হিরতার কারনে সেগুলো আরও ভাংতে থাকে। এর কারনে দেখা যায় তখনও এই স্বতঃস্ফূর্ত রেডিয়েশন চলতে থাকে।

আলফা পার্টিক্যাল রেডিয়েশন: কিছু কিছু মৌলিক পদার্থ এতোই বড় যে এগুলো দেখা গেলো জোড়ায় জোরায় প্রোটন আর নিউট্রন নির্গত করে। এইসব জোড়ায় জোড়ায় প্রোটন আর নিউট্রন নির্গত করাকে আমরা বলতে পারি আলফা পার্টিক্যাল রেডিয়েশন। এরকম একটা মৌলিক পদার্থের নাম হলো Am – 241

বেটা পার্টিক্যাল রেডিয়েশন: বেটা রেডিয়েশন হলো ইলেক্ট্রন আর পজিট্রনের স্রোত। যখন বিশাল ভরসংখ্যার কোনো মৌল অনু স্হিরতা লাভ করতে যায় তখন সে তার খুব কাছাকাছি স্ট্যাবল আইসোটোপের কাছাকাছি ভরসংখ্যায় পরিনত হতে চায়। এটা স্বতঃস্ফূর্ত। তখন যে কয়েকভাবে এই মৌল অনুর ক্ষয় হতে থাকে বেটা রেডিয়েশন হলো তার একটা। তখন এ আয়নায়িত ইলেক্ট্রন গুলো নির্গত করে। উদাহরন হিসেবে Sr – 90 ধরে নিতে পারি।


গামা রেডিয়েশন:
এটা হলো সবচেয়ে মারাত্মক রশ্মির তেজস্ক্রিয়তা। এই রেডিয়েশনের মধ্যে থাকা কনিকা সমূহ খুবই শক্তিশালী এবং এই রেডিয়েশনের ভেদ্যতা খুবই বেশী। উদাহরন হিসেবে আমরা বলতে পারি Cs – 137 ।আরো ডিটেল পাবেন টানজুর এই পোস্টে!

এই তেজস্ক্রিয়তা নির্নয়ের মান হলো ডজ রেট।

ডজ রেট কি?

ডজ হলো প্র্তি একক ভরের বস্তু দ্বারা শোষিত শক্তির মান। ডোজ রেট হলো প্রতি একক সেকেন্ড প্রতি একক ভরের কোনো বস্তুর দ্বারা শোষিত শক্তির মান। সহজ ভাষায় হলো তেজস্ক্রিয় পদার্থে সংশ্পর্শে এসে কোনো বস্তু রেখে দিলে তার প্রতি একক ভরে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান তেজস্ক্রিয় শক্তি শোষন করে সেটাকেই আমরা ডোজ রেট বলবো।

এর ইউনিট হলো জুল পার কিলোগ্রাম অথবা গ্রে।

কেন তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে জানতে হবে?

পদার্থবিজ্ঞানীরা অবশ্য ডাক্তারদের মতো করে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব পরীক্ষা করেন না। যখন ম্যারী কুরী তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হন তখন দেখা যায় তার পুরো শরীর এক্সরে করে সেটা হলো তার শরীরের অবকাঠামোরগত কংকালের হাড় গুলো জ্বল জ্বল করছে। এটা এজন্য যে তার শরীরের হাড়ের একটা বিশাল অংশ ক্যালসিয়াম আয়নায়িত হয়ে যায় ফলে সেগুলো তেজস্ক্রিয় প্রাপ্ত হয়। যখন ডাক্তাররা আরও গবেষনা করেন তখন দেখতে পান এসব তেজস্ক্রিয়তার ফলে মানবশরীরের বিভিন্ন অন্ত্রের কোষের মধ্যস্হিত ডিএনএ গুলো ভেঙ্গে যায় অথবা বিভাজিত হতে থাকে।
যেহেতু হাড়ের ক্যালসিয়াম খুব দ্রুত তেজস্ক্রিয়তা লাভ করে সেহেতু একজন মানুষের হাড়ের মধ্যে থাকা অস্হি মজ্জাগুলোর ডিএনএ খুব দ্রুত বিভাজিত হতে থাকে। ফলে সে খুব দ্রুত একিউট লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। ফলে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করেই এটাকে চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।

কেউ যদি কোনো কারনে এই বোন ম্যারো মিউটেশন থেকে বেচেও যায় তাহলে সে বিভিন্ন অন্ত্রের প্রদাহ থেকে শুরু করে সেসব অন্ত্রের গ্যাংগ্রিন অথবা কিছু কিছু কোষের ডিএনএ পরিবর্তনের কারনে টিউমার থেকে শুরু করে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে স্হায়ী প্রদাহের কারনে সেসব অন্ত্রে কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। ভয়ানক অকাল মৃত্যু ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না!
এবার নীচের ছবিটা দেখুন!

রেডিয়েশনের সবচেয়ে কুপ্রভাবটা পড়ে সদ্যজাত শিশুগুলো। একটা সময় ছিলো এরকম রেডিয়েশনের কারনে জার্মানীতে প্রচুর পরিমান এমন শিশু জন্মাতো। একই সমস্যা ছিলো বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, জাপান স হ আরও অনেক দেশে। পরে তারা কাঠের গুড়ো দিয়ে লোহার স্ট্রাকচার দিয়ে বিশেষ কাঠামোর ঘর বানাতে শুরু করে। সরকারও উদ্যোগ নেয় এসব তেজ্সক্রিয়তা যেন আবাসিক এলাকায় যেনো না ছড়ায়!

এসব রেডিয়েশন ঠেকানো একটু কষ্টকর, তবে অসম্ভব না। ফলে যদি ভালো ভাবে এসব তেজস্ক্রিয় বর্জ্য যেখানে মজুত রাখা না হয় তাহলে এই তেজস্ক্রিয়তা দূর দূরান্ত পর্যন্ত ছড়ায়!

জনবসতীসমূহ এইসব তেজস্ক্রিয়তার আড়ৎ থেকে যদি অনেক দূরেও থাকে তাহলেও তারা ঝুকিমুক্ত না। কারন এসব তেজস্ক্রিয় বর্জ্যোগুলো অনবরত ভাংতে ভাংতে নিকটবর্তী স্ট্যাবল মৌলিক পদার্থে পরিনত হয়। এর জন্য কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। জনবসতী যদি কয়েকশ কিলোমিটার দূরে থাকে তাহলে সেসব জায়গার বাসাবাড়ির দেয়ালে অথবা আন্ডারগ্রাউন্ডে বেশ ভালো পরিমানে রেডনের উপস্হিতি পাওয়া যায়। রেডন নিজে একটা ইনার্ট (এর মানে হলো কোনো কিছুর সাথে বিক্রিয়া করে না) গ্যাস। কিন্তু রেডন ভেঙ্গে এর ডটার এলিমেন্টে পরিনত হবার সময় তখন তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায় আর দেয়ালে এদেরকেই খুজে পাওয়া যায়।ফলে বাসাবাড়িতে এসব তেজস্ক্রিয়তা মানবশরীরে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলে!

আমার লেখাটা এই বিষয়ের আলোকপাত করবে, যে আমরা কিভাবে রেডিয়েশন মেপে সে অনুযায়ী আমাদের বাসস্হানের কাঠামো ঠিক করতে পারি!


আলফা রেডিয়েশন: আলফা রেডিয়েশন যেহেতু জোড়ায় প্রোটন আর নিউট্রন বিচ্ছুরন করে সেহেতু এগুলোকে আমরা আয়নায়িত হিলিয়াম কনিকা হিসেবে ধরতে পারি। এইসব আয়নায়িত হিলিয়াম কনিকা যখন বাতাসে ঘুরে বেড়ায় তখন এগুলো বাতাসের কনিকার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। পরে যখন আপনি এর সামনে একটা কাগজ ধরবেন তখন সেখানে অনেকাংশে এটা শোষিত হয়ে যায়। যদি কাগজের জায়গায় মোটা কিছু ধরেন এই এলুমিনিয়াম বা লিডের কোনো সরূ পাত তাহলে এটাকে পুরোপুরি ঠেকানো যায়। কারন ঐ পাতে এটা পুরো পুরি শোষিত হয়। হিলিয়ামের আয়নায়িত কনিকাগুলো ওখানে মিশে যায়।

বেটা রেডিয়েশন: বেটা পার্টিক্যাল গুলো মূলত অপেক্ষাকৃত উচ্চ গতির এবং উচ্চ শক্তির হলেও এর চার্জের পরিমান কম থাকে আলফা পার্টিক্যালের তুলনায়। তাই দেখা যায় যে একটু মোটা এলুমিনিয়াম বা লিডের পাত দিয়ে এটাকে পুরোপুরি ঠেকানো যায়।

গামা রেডিয়েশন: গামা রেডিয়েশনটা ভয়ন্কর রকম শক্তিশালী। এই তেজস্ক্রিয়তায় উৎপন্ন কনিকা সমূহ খুবই উচ্চগতির এবং খুবই উচ্চ শক্তির। কিন্তু ঠেকানো সম্ভব এটাও!

একটা ল্যাব এক্সপেরিম্যান্ট:

এই ল্যাব এক্সপেরিম্যান্ট থেকে আমরা একটা গ্রাফ বা ডাটা স্ট্রাকচার বানাতে পারি যেখান থেকে আমরা এই রেডিয়েশন শিল্ড কিভাবে তৈরী করতে পারি তার একটা মৌলিক ধারনা দিতে পারে। তবে এটা ঠিক আমার এই এক্সপেরিমেন্টটাই শেষ নয়, এটা শুধু একটা ধারনা এবং প্রমান মাত্র আসলেই এটা করা সম্ভব আর এটা করার জন্য আমাদের ইউনিগুলোর রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নাই। আমরা এই ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম ২০০৯ এর দিকে!

ইনস্ট্রুমেন্ট:
রেডিয়েশন সোর্স হিসেবে
আলফা পার্টিকেলের উৎস: Am – 241
বেটা পার্টিক্যালের উৎস: Sr – 90
গামা পার্টিক্যালের উৎস: Cs – 137

আর রেডিয়েশন শিল্ড বা টার্গেট ম্যাটেরিয়াল হিসাবে:
একটা এফোর সাইজের কাগজ
২ মিলিমিটার পুরুত্বের সিলিকনের পাত,
৩.০২ মিলিমিটার পুরুত্বের সীসার পাত,
৫.০০৮ মিলিমিটার পুরুত্বের এলুমিনিয়ামের পাত
৫.০১৮ মিলিমিটার পুরুত্বের এলুমিনিয়ামের পাত
সাথে একটা গীগার কাউন্টার যেটা যেকোনো সিকিউরিটি অফিসে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেই পেতে পারেন।
এই ছবি দুটো গীগার কাউন্টার সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে পারে!



তত্বগত ক্যালকুলেশন এখানে দিয়ে পোস্ট বড় করবো না। যারা অংক কষতে ভালোবাসেন আর ফিজিক্সের ডেরিভেশন বুঝতে সক্ষম তারা এখান থেকে এই ডকুমেন্ট টা ডাউনলোড করুন। এখানে যাবতীয় ক্যালকুলেশন আছে। এখানকার ক্যালকুলেশন থেকে আমরা ডজ রেট পাই আর তা থেকে পাই কারেন্ট ইন্টেনসিটি I_o। গীগার কাউন্টারে সরাসরী ডজ রেট কাউন্টার পাবেন। এখন উক্ত ডকুমেন্ট থেকে টার্গেট ময়াটেরিয়ালের থিকনেসের সাথে কারেন্টের ইনটেনসিটির গ্রাফ টানি ঐ ডকুমেন্টে বর্নিত সমীকরন অনুযায়ী তাহলে নীচের ছবি টা পাই!



আমরা এখান থেকে নির্নয় করতে পারি কি পুরুত্বের এলুমিনিয়ামের পাত লাগালে এসব রেডিয়েশন থেকে মুক্তি পেতে পারি।

তবে অনেক সময় এসব এক্সপেরিমেন্ট করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কারন এসব রেডিয়েশন সোর্সের উৎস আমরা তৈয়ার করতে পারি না। কারন আমাদের দেশে রসায়ন বা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এরকম দক্ষ লোক সবসময় পাওয়া যায় না। অথবা যেসব ইউনিতে দক্ষ লোকগুলো থাকে তাদেরকে কাজ লাগানোর মতো দক্ষ লোক নেই। আর অলস হিসেবে আমাদের সবারই দুর্নাম আছে!

তো তাদের জন্য একটা দুটো সফটওয়্যার। যদিও সফটওয়্যারগুলোতে ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম পর্যন্ত রেডিয়েশন ইনটেনসিটি হিসাব করা যায় না তবে যেসব করা যায় সেগুলো দিয়ে বর্জ্যে ব্যাবস্হাপনার কাজ করা যাবে।
এক্সওপি
এসআরআইএম

তবে এই এক্সপেরিমেন্ট শুধু কোর লেভেলে রেডিয়েশন মাপবার জন্য।
বাসা বাড়ির ডিজাইন অবশ্যই এভাবে করতে হবে। তাই সিভিল ইন্জ্ঞিনিয়ারদের অবশ্যই সেরকম ভাবে ডিজাইন করতে হবে। বাংলাদেশে এখন যেভাবে বাড়ি বানানো হচ্ছে এভাবে কোনোমতেই রেডিয়েশন ঠেকানো যাবে না। যাই হোউক, সিভিল ইন্জ্ঞিনিয়ারদের জন্য দুটো সিমুলেশন সফটওয়ার যারা এখান থেকে খুব সংহজেই এই রেডিয়েশন শিল্ড কিরকম হবে তা বের করে নিতে পারবেন। ক্যালকুলেশন উপরে একই। তবে প্রফেশনাল লেভেলে আরও উন্নততত এলগরিদম আছে। যেগুলোর খোজ আপাতত না দিলেও সেগুলো সম্পর্কে কিছু ধারনা নীচের রেফারেন্সে আছে।

তবে এসব কাজ পিএইচডি লেভেলে হওয়া উচিত এবং ঢাকা ইউনি, চট্টগ্রাম ইউনি গুলোকে খুব বেশী করে ইন্জ্ঞিনিয়ারিং ইউন গুলোর সাথে কাজ করতে হবে।

একসময় না একসময় যেহেতু পারমানবিক বিদ্যুৎ চালু হবেই সেহেতু আমাদের এখনই যদি এসব নিয়ে না ভাবি তাহলে একটা সময় আসবে দেশে কোনো ভালো শিশু জন্মাবে না অথবা দেশে লিউকেমিয়ার রোগী হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে।

সরকার যদি প্রাইমারী স্টোরেজটা খুব ভালো করে বানায় তাহলে জন গন এ থেকে মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু যেহেতু সব অশিক্ষিত চোর চোট্টারা দেশ চলায় সেহেতু নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের তৈরী করতেই হবে!


উপসংহার


আমাদের দেশে কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তারপর সেটার উপর কাজ শুরু হয়। অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ মানুষ পয়দা হয়। দেখা গেলো অর্থনীতির শিক্ষকও নিউক্লিয়া সায়েন্টিস্ট হয়ে যায়! এটা এজন্যই যে আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা আর উচ্চতর গবেষনায় নিস্পৃহতা এবং কাজ করতে না পারার অযোগ্যতা।
দেশে মেধার চর্চা হয় না বলে ইদানিং উচ্চতর গবেষনায় মেধাবীদের বদলে ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ বা শিবিরের মতো কুকুরেরা কাজ করে আর যার ফল হাতে নাতে দেখছি।

এখন বিদ্যূতের অভাবে পুরো দেশ কষ্ট করছে, প্রবৃদ্ধির জন্য অযোগ্য অর্থমন্ত্রীর মিথ্যা আশ্বাস শুনতে হচ্ছে। যখন বিদ্যুৎ আসবে সবার কাছে তখন মানুষের চিকিৎসা আর স্বাস্হ্য সংকটের কারনে যত প্রবৃদ্ধি বাড়বে তার থেকে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা সবকিছুই চাই সাথে চাই বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত এক জাতী!

চাই না মাদ্রাসা বা ধর্ম শিক্ষার নামে কূপমন্ডুক পূরন জাতীর বোঝার শিক্ষা ব্যাবস্হা!

রেফারেন্স:



১) http://en.wikipedia.org/wiki/Alpha_particle
২) http://en.wikipedia.org/wiki/Beta_particle
৩) http://en.wikipedia.org/wiki/Gamma_ray
৪) http://en.wikipedia.org/wiki/Dosimetry

ঠ্যাংলিখা: দুঃখিত পোস্ট বড় হয়ে গেলো। এই পোস্ট লিখবার উদ্দেশ্য যাতে এই পোস্ট টেকী - নন টেকী, ছাত্র-গবেষক সবার দৃষ্টিতে পড়ে! আমরা এখন এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছি না। হয়তো এমন একটা সময় হবে যখন বুঝতে পারলেও করার কিছু থাকবে না!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৬
২৫টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×