somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থিওরী অব এভরিথিং: যুক্তি ছাড়া দুনিয়া অচল, যুক্তি দিয়াই দুনিয়া বিচার!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খাসীর গোস্ত কিন্যা আনলাম। পাকামু। কিন্তু বাসার মতো পাকানী হয় না। মাথায় বুদ্ধি আসলো। বৌরে ফোন দিলাম, অলটাইম কুশ্চেনের উপর থাকে। খাসীর গোস্ত আনলাম কেন এর মধ্যেও কনস্পিরেসী থিওরী খুজে। যাই হোউক, সে কইলো জীরা বেশী দিতে। কসাইতে জীরা, পাকাইতে জীরা, পুরা জীরার ঝোল। এইবার ফোন দিলাম এক ভাবীরে, কইলো সাটাইয়া আদা দিতে। শুইনা মনে হইলো আদার ঝোল বানামু। এর পর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের এক কুক রে ফোন দিলাম। বান্দায় কয় পিয়াজ সাটাইয়া দিতে। খাসীর গোস্ত খামু নাকি পিয়াজ খামু বুঝতেছি না।

মেজাজ গরম হইয়া রানতে শুরু করলাম, মাগার একখান ঝামেলা হইছে, তরকারীতে লবনের বদলে চিনি দিয়া দিছি। মনখান চাইলো আকাশে উইড়া যাই। কিন্তু সমস্যা হইলো যদি পানির কামান লাগাইয়া রকেটের মতো উইড়া যাইতে হয় তাইলে সেকেন্ডে ৫ গ্যালন পানি সজোরে মাটিতে ছাড়তে হইবো। এত পানির ডিব্বা কই পামু?

যাই হোউক, আমাগো এই পুরা দুনিয়াটাই আমার কাছে খাসীর মাংসই লাগে। নানান রকমের মশলা দিয়া পাকানো এই দুনিয়ার খাসীর মাংস।নাহ....ক্ষুধা লাইগা গেলো।

দুনিয়া আসলে কি দিয়া তৈরী সোজা হিসেবে কইতে গেলে এনার্জী দিয়া তৈরী। এনার্জীগুলান তন্তুকারে বিভিন্ন ভাবে প্যাকেট আকারে আটকায় যায় এবং বিভিন্ন রকম কনার মতো আচরন করে। এগুলো হইলো মৌলিক কনা। মানে এই কনা গুড়া করলে আপনে খালি এনার্জী পাইবেন। যদি বেশী পরিমানে ফাটান তাইলে এটম বোমার মতোন ফাইটা যাইতে পারে, তাই সাবধান।

তো কি কি কনা দিয়া তৈরী এইটা দেখতে হইলে আপনের সামনে যেইটা দাড়াইবো সেইটা হইলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল। অনেকে হয়তো স্ট্যান্ডার্ড মডেল কারে কয় সেইটাই বুঝে না।



সোজা ভাষায় বুঝাই, যীশু খ্রিস্ট পয়দা হওনের মেলা আগে থিকাই জ্ঞানী গুনী আতেলরা মনে করতো সবকিছু চারটা জিনিস দিয়া তৈরী। মাটি পানি বায়ু আর আগুন।

এরপর যীশুখ্রিষ্ট পয়দা হইলো, তার ধর্মের বানী প্রচারের ঠেলায় রোমবাসীর কান পইচা যায়, ব্যাটারে ক্রুশে ঝুলায়। এরপর ইসলাম ধর্ম আসে। নানা কাহিনী বেকাহিনী নিয়া নানা কিছু হয়। যাই হোউক, আজকা থিকা কয়েকশ বছর আগে মেন্ডেলীফ নামের এক ভদ্রলোক একটা তালিকা দিলো যারে কই আমরা পর্যায় স্মরনী।

আমার মনে হয় বাংলাদেশে এমুন কোনো বান্দা নাই যে কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়া এই জিনিসটার মুখোমুখি হইতে হইছে। তাও তো এখনকার পোলাপান গো সাত জনমের ভাগ্য যে এগুলা মুখস্হ করতে হয় নাই। আমাগো সময় ক্লাস নাইনে উঠলে যদি কোনো বান্দা সায়েন্স নেয় তার পর্যায় স্মরনী মুখস্হ করন ফরজে আইন হইয়া যায়।



যাই হোউক, পর্যায় স্মরনী হইলো মৌলিক পদার্থে নাম যা দিয়া এই দুনিয়ার তাবৎ কিছু তৈরী। কিন্তু মানুষ দিন দিন এমুন ট্যাটনা হইছে যে পর্যায় স্মরনী দিয়া তাগো পেট ভরে নাই। ট্যাটনা পাবলিক ল্যাবে বইসা ডাইল খাইয়া এইসব মৌলিক পদার্থে ইজ্জতে হানা দিছে। ইজ্জতে হানা দিয়া এগুলারে গুড়া কইরা এর ভিতর থিকা ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন ঘরের বৌ পর্যন্ত বাইর কইরা ফেলাইছে। কন তো কামডা কি ঠিক হইলো?

খালি এইটাই না, ঐ ইলেক্ট্রন প্রোটনরেও গুড়া করলো। গুড়া করতেই থাকলো। তারপর সর্বশেষ এমুন কনিকা বাইর করলো যা দিয়া এই সব অনু পরমানু গঠিত হইছে। এইসব মৌলিক কনিকার তালিকাই বলে স্ট্যান্ডার্ড মডেল। তো এই কনিকা গুলান মানুষ গুড়া করতে করতে বাইর করে নাই।

প্রথমে মঘা বিজ্ঞানীরা ক্যালকুলেশন করলো। গ্লাসগো শ্যালডন নামের একজন ট্যাটন এই কামটা শুরু করে আর ফাইনম্যান সেইটারে লাই দেয়। দেখেন ইকোয়েশনের সাইজ দেখেন। ওরে সামনে পাইলে পুরো চৈত মাসের ঠাডা রোইদে খাড়া করাইয়া কইতাম ক নিজে নিজে কি লেখছোস!!!!



পরিস্কার কইরা দেখার জন্য!
কেমনে ডেরিভেশন হইলো সেইটা জানার জন্য এই বই!

যাই হোউক, স্ট্যান্ডার্ড মডেলই যখন সবকিছু তাইলে কওন যায় এইটা দিয়াই সবকিছুর ব্যাখ্যা দেওন সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হইলো এই মডেলে গ্রাভিটির কুনো কথা নাই, নিউট্রিনোর ওসিলেশন আর ডার্ক ম্যাটার নিয়া কুনা উচ্চবাচ্য নাই। আফসোস কি বাত। এত বড় একখান ইকোয়েশন তাও এই তিনখান বাদ পড়ছে। যদি এই তিনখান যোগ হয়, তাইলে এইটার সাইজ কত হইবো?

তাও ট্যাটনারা গ্রাভিটির জন্য একখান কনিকা ক্যালকুলেশন করছে সেইটা হইলো গ্রাভিট্রন। ডার্ক ম্যাটারের জন্য নিউট্রিনোর দিকে নজর রাখতেছে আর আরেকটা কনিকার কথা ভবিষ্যদ্বানী করতে সেইটা হইলো নিউট্রালিনোস।

যাই হোউক, এই তিনখান কুশ্চনের উত্তর পাইলে মোটামোটি থিওরী অব এভরিথিং সম্পর্কে আমরা ধারনা পামু। এখন কথা হইলো এইটা দিয়া কামটা কি?
কাম কিছুই না, ট্যাটনাগো মাথায় ভূত চাপছে যে দুনিয়ার সবকিছুর ব্যাখ্যা একটা ইকোয়েশনের মাধ্যমে কইয়া দিবো। আমাগো ভূত ভবিষ্যত, বর্তমানের সকল প্রশ্নের এমনকি অমরত্বও হইতে পারে এমনকি অসীম শক্তির অধিকারীও হইতে সাহায্য করতে পারে!

যেহেতু ট্যাটনা গো নিয়ত খুবই মহৎ সেহেতু এগো বাতচিত শুনতে সমস্যা কি?

আমার তো ভালো লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×