somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Wish you were here-'RICK' (1943-2008)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Richard William 'Rick' Wright (Jul 28, 1943-Sep 15, 2008)
ছবিটি দেখুন। চিনতে পারছেন?
মরনব্যাধি ক্যান্সার কখনো কি ওই ধুসর চোখ দুটির আভা ম্লান করতে পারে! কার হৃৎপিন্ড না জমে গিয়েছিল যখন সবাই জেনেছিল উনি আর এই ধরাতে নেই! বুকে হাত দিয়ে কোন মানুষ (যারা নুন্যতম সংগীত ভালবাসেন) বলতে পারবেনা তাঁর কিবোর্ডের জাদুকরী ছোঁয়া তাকে অতল গহ্ববরে টেনে নিয়ে যায়নি!

PINK FLOYD একটি ব্যান্ডের নাম।
PINK FLOYD একটি আবেগের নাম।
আর যার জন্য এই PINK FLOYD সবচেয়ে বেশি PINK FLOYD তাঁর নাম Richard William “Rick” Wright !

আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

যাবেন আজকে 'রিক' এর কাছে? শুনবেন কেমন ছিলেন তিনি?

উনি ছিলেন স্বশিক্ষিত একজন পরিপূর্ন মিউজিশিয়ান...যাকে বলে self-taught pianist and keyboardist. জন্মেছিলেন হ্যাচএন্ড, লন্ডনে। পড়াশুনা করেছিলেন Haberdashers’ Aske’s School এ এবং পরে Regent Street Polytechnic College of Architecture (এ কারনেই বোধহয় তার মিউজিকে আমরা আর্কিটেকচারাল কিছু টেক্সচার ফিল করতাম!)


সেখানে থাকতেই ভাব হয় আরও দুজন বিস্ময়ের সাথে। তাঁরা ছিলেন
Roger Waters এবং Nick Mason। গঠন হল "The Pink Floyd Sound"। সঙ্গে ছিলেন Syd Barrett। তৈরী হল ইতিহাস! যদিও 'রিক' আগে কাজ করেছিলেন Sigma 6 এবং The Abdabs এ। এবং ব্যান্ডে Syd এর আগে ছিলেন Bob Klose কিন্তু এবার নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেলেন। তার পান্ডিত্য যদিও সিডের কারনে একটা নিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত সুপ্ত ছিল। কিন্তু তাকে সিডই আবার টেনে আনেন। সিড ছিলেন 'চিফ সং রাইটার'। তিনিও যে খুব তাড়াতাড়ি ওপারের ডাক শুনবেন ব্যান্ডের আর কেউই ঘুনাক্ষরে বুঝতে পারেননি। মৃত্যু এখানেও একটা দাগ টেনে দিয়ে বলল..."চেষ্টা করত তোমার মিউজিক দিয়ে সিডকে আবার ফিরিয়ে আনতে?"
(হ্যাঁ সিড এসেছিলেন...সে গল্প পরে বলছি)।

ইতিহাসের আগের ছোট্ট ইতিহাস

PINK FLOYD এর সব রকম ঘটনার সাথে রিকের সম্পৃক্ততা একটি অপরিহার্য এবং অনিবার্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল। যদি রিককে নিয়ে কিছু বলতে চাই তাহলে পাশাপাশি এমন অনেক বিষয় চলে আসবে যা না বললেই নয়। এ প্রসংঙ্গে পিংক ফ্লয়েডের নামকরন ইতিহাস না বললেই নয়।

Pre Gilmoure team

আসলে আগে নাম ছিল The Tea Set. সময়টা ছিল ১৯৬৩ সাল। লাইন আপে ছিলেন রাইট/মেসন/ওয়াটার্স/ক্লোস। কিন্তু নামটি নিয়ে কিছু বির্তক তৈরী হওয়ায় তা বাদ দিয়ে রাখা হয় The Pink Floyd Sound.
এই Pink Floyd আসলো দুজন বিখ্যাত ব্লুজ মিউজিশিয়ান Pink Anderson এবং Floyd Council এর নাম থেকে এসেছে। তাঁরা যে ধনের ব্লুজ মিউজিশিয়ান ছিলেন সেধরনের ব্লুজকে বলা হয় East Coast Blues এবং ওয়াটার্স, বিশেষ করে রিক এ ধরনের ব্লুজে আসক্ত ছিলেন। তৈরী হয় The Pink Floyd Sound এবং পরে এক সময় Sound ঝরে যায়। রয়ে যায় শুধু ইতিহাস।

রিক এবং সিড

Bob Klose ছিলেন অতিমাত্রায় jazz আসক্ত। ব্লুজ এবং রক নিয়ে ঠিক সে সময় ব্যারেটের আগমন। লাইনআপটা দাড়াঁয় তখন এরকম --
ব্যারেট-----------গিটার + লিড ভোকাল
ওয়াটার্স---------- বেজ গিটার + ভোকাল
মেসন------------- ড্রামস + পারকাশন
রাইট--------------- কিবোর্ড (অর্গান) + ভোকাল

সংগীত লেখা শুরু করেন সিড এবং শুরু হয় psychedelic rock এর উত্থান। একই সাথে তিনি প্রয়োগ করেন তাঁর বিখ্যাত whimsical humour. ফলে লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ডে একটা ছোটখাট মুভমেন্ট শুরু হয়। ক্রিটিকরা বলেন art rock; কেউবা progressive rock.

August এর 1967 সালে বের হয় "The Piper at the Gates of Dawn" এলবামটি। এতে রিক সিডের লেখা সেই বিখ্যাত Astronomy Domine এবং Matilda Mother গান দুটি গান। (আমার কাছে গান দুটি তেমন পছন্দ না...কারন আমার জন্ম তার ৯-১০ বছর পরে বলেই হয়তো। সকল পিংক ফ্লয়েড ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)

এই এলবামটির মুল সাফল্যের পিছনে কাজ করে রিকের যাদুকরি ও শ্রমসাধ্য stereo panning, tape editing, echo effects। ভক্তকুল চিন্তা করেন সেই আমলে কতই বা আর কি করতে পেরেছিলেন কিন্তু তাই চলে গিয়েছিল সম্পূর্ন অন্য মাত্রায়। কিন্তু আমেরিকায় এই এলবামটি তেমন সাফল্য পায়নি। তবে Jimi Hendrix এর সাথে ট্যুর তাঁদেরকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

ব্যারেট বিয়োগ

বাড়াবাড়ি যে কোন কিছুই খারাপ। চিন্তা করেন কনসার্টের সময় গানের মাঝখানে হঠাৎ কেউ যদি গিটার ডি টিউন (de-tuning) করে বসে কিংবা ক্রমাগত একই কর্ডে গিটার বাজতে থাকে তবে কেমন হবে সেই কনসার্ট? মরননেশা LSD ব্যারেটকে এভাবেই খাদের কিনারায় এনে ফেলল। তিনি বলতেন এটা নাকি psychedelic drugs. সে সময়ই তিনি কম্পোজ করেন Have You Got It, Yet? গানটি। এই গানটি করতে যেয়ে ব্যান্ড মেম্বারদের খবর হয়ে যায়। ক্রমাগত মেলোডির উত্থান পতন কিংবা সামঞ্জস্যহীন কর্ড প্রগ্রেশন এই গানটির বৈশিষ্ট্য হওয়ায় ব্যান্ড মেম্বাররা একটি দ্বিধাহীন সিদ্ধান্তে উপনিত হন আর তা হল ব্যারেটকে দিয়ে আর হবে না। মঞ্চে তখন আগমন ঘটে দুজন অসাধারন প্রতিভাবান মানুষের; একজন Steve O'Rourke (১৯৪০-২০০৩), দলের ম্যানেজার হিসেবে যার আত্মপ্রকাশ এবং অপরজন David Gilmour, ব্যারেটের বিকল্প হিসেবে লিড গিটারিস্ট। যদিও Gilmour মনে করতেন Jeff Beck এর কাছে তিনি কিছুই না। (Jeff Beck আমারো একজন প্রিয় গিটারিষ্ট)।

Set the controls for the heart of the sun

সময় গড়িয়ে যায় আর নতুন লাইন আপ নিয়ে (রিক, ডেভিড, ওয়াটার্স, মেসন) দলের সাফল্যের দিকে মনোযোগী হন ম্যানেজারসহ বাকী সবাই। Experiment অনেক হয়েছে ভেবে তাঁরা আর সিংগেল রিলিজ না করে ট্যুর আর এলবামের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ওয়াটার্স তাঁর জ্যাজি মেলডি নিয়ে বেইজ লাইন তৈরী করতে থাকলেন আর সাথে দিতে থাকলেন সিম্বলিক লিরিকস, সাইকাডেলিক মেলডি নিয়ে রিক হেভী নাম্বারগুলো করতে থাকলেন আর রিককে যোগ্য সহায়তা দিতে থাকলেন ডেভিড তার বিখ্যাত ব্লুজ রক লিড গিটারে। সৃষ্টি হতে থাকলো A Saucerful of Secrets, Soundtrack More, Ummagumma(Live), Atom Heart Motherএর মতো বিখ্যাত এলবামগুলি। এই এলবামগুলোর বেশিরভাগ গানে ভয়েস বা ব্যাকিং ভয়েস দিতে থাকলেন রিক। Hammond organ, piano, electric piano এমনকি মাউথ অর্গান এর কৌশলী ব্যাবহার রাইটকে এক নতুন পরিচিতি এনে দিতে থাকে। মনে পড়ে কি Meddle এর সেই বিখ্যাত কম্পোজিশন One of these days এর কথা ?

বিশ্বরেকর্ড, Crazy Diamond Barrett এর ভুত আর Michael Jackson কে চোখ রাঙানী

১৯৭৩ সালে রিলিজকৃত 'The Dark Side of the Moon' ছিল একটি বিস্ময়! একটু বলি। এই এলবামটি তখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল ৪৫ মিলিয়ন কপি। Billboard Top 200 এ তখন ৭৪১ সপ্তাহ রাজত্ব করেছিল (এর মধ্যে ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ছিল ৫৯১ সপ্তাহ )! যা ছিল একটি বিশ্বরেকর্ড...চিন্তা করা যায়! এটি UK তেও ছিল ৩০১ সপ্তাহ। worldwide হিসেবে Michael Jackson (RIP) এর Thriller এবং AC/DC‘র Back In Black (অসাধারন একটি এলবাম আপনারা সবাই জানেন) পিছনে পড়ে যায়। রাইট তার যাদু দেখালেন যেন! তাঁর Jazz influence, Saxophone এর পরিমিত ও পরিনত ব্যাবহার, গিলমোরের মেলোডি, ওয়াটার্সের শক্তিশালী Bass লাইন ও লিরিকস, মেসনের পারকাশন ব্যবহারের অসাধারন দক্ষতা এই এলবামটিকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।
(সারারাত ভোর হয়ে যাবে বলে আমি এই এলবামটি সম্পর্কে এতটুকুই বলব। মনে রাখবেন Pink Floyd এর এক একটি এলবামের পিছনে রয়েছে অনেক অনেক গল্প। আশা রাখি এই গল্পগুলি ব্লগে একদিন তুলে ধরব।)

স্কুলে আজ বন্ধুটি আসেনি। মনে মনে নিশ্চয়ই তার জন্য আপনাদের চিন্তা হত! হ্যাঁ...অনুপস্থিতি! একটি অনুপস্থিতিই আপনি অনুভব করবেন ঠিকই কিন্তু ঠিকমতো তুলে ধরতে পারবেন না যেন! তুলে ধরতে পেরেছিলেন রিচার্ড আর তাঁর সহযোদ্ধারা। কার অনুপস্থিতি জানেন। Syd Barrett এর! 'Wish you were here' এলবামটি তাঁকেই উৎসর্গ করা হয়েছিল! ৯ পর্বের একটি Song Suite ছিল এই এলবামটিতে... you crazy diamond! পুরো এলবামটিতে রিচার্ড এক মোহনীয় আবেশ তৈরী করেছিলেন যাতে গিলমোর নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন।


রিচার্ডের মুখেই শুনুন তাহলে গল্পটা-"...Shine on সেশনের সময় স্টুডিওতে গিয়েছিলাম। আমার ঠিক এক হাত দুরে অদ্ভুত একজনকে দেখতে পেলাম...মাথাটা প্রায় মেঝের কাছে ঝুলে আছে! পুরো শরীরে তার কোন চুল নেই! মাথা...হাত...এমনকি ভুরুতেও নেই! অবিশ্বাস্য! আমি তাকে চিনতে পারিনি। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কে?’ উত্তর এল ‘ব্যারেট।’ আমি অবশ হয়ে গেলাম। রজারের দিকে তাকালাম, দেখলাম ওর চোখে পানি! এই সাত সাতটি বছর পর কোথা থেকে হঠাৎ করে এস উজার হলো, তাও আবার ঠিক সেই গানটির সময়! এটা ভাগ্য নাকি কাকতালীয় ব্যাপার!"

রজারের রাজনীতি, রিচার্ডের অর্ধচন্দ্র দর্শন আর একটি দেয়ালের গল্প

সেই বিখ্যাত হ্যামার যা একটি আইকন

অল্প কয়দিন পরেই রজারের ভিতর রাজনীতির পোকা ঢুকল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পিতার মৃত্যু, মার্গারেট থ্যাচার, ফকল্যান্ড ষড়যন্ত্র, নিউক্লিয়ার যুদ্ধ...কি না নিয়ে এলেন তিনি তাঁর গানে আর কথায়। Animals এর সেই বিখ্যাত giant inflatable pig তো তাঁদের ICON হয়ে উঠল। পেটমোটা রাজনীতিবিদ আর শুয়োর যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। এ সময় ট্যাক্স সংক্রান্ত ঝামেলায় সবাই সরকারী নির্বাহী আদেশে এক বছরের জন্য লন্ডন ছেড়ে চলে গেলেন। দুটি নতুন প্রজেক্ট তৈরী হল। The Pros and Cons of Hitch Hiking, রজারের সলো এবং The Wall. The Wall কে বলা হল শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ rock opera. আর এই প্রজেক্টের সাফল্যের কথা তো সবাই জানেন। (অনেক লেখাও হয়েছে। কাজেই আপনাদের আর ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাবো না।) এ পর্যন্ত সবই ভাল ছিল। কিন্তু ভুত এসে আবার কিল বসিয়ে গেল রজারের পিঠে। Columbia Records এর ভুত বলে গেল Wright কে বের করে দাও। ব্যাস তিনি হয়ে গেলেন ‘বেতনভুক’ কর্মচারী। এটাও বোধহয় একধরনের রাজনীতিই ছিল!

হাত বাড়ালেন ‘Sir?’ David Gilmour


রজার চলে গেলেন...আর দলের হাল ধরলেন David Gilmour. আমাদের মতন জেনারেশন আসলে ডেভিডকেই বেশি চেনে। তাঁর মায়াবী কন্ঠ, ব্লুজ টাচ আর রকের সংমিশ্রন, শক্তিশালী লিরিকস এর সাথে এবার যোগ হল রিচার্ড। হ্যাঁ...রিচার্ডের ভক্তদের হতাশ করলেন না ডেভিড...হাত ধরে টেনে আনলেন আর সৃষ্টি করলেন Momentary Lapse of Reason আর The Division Bell. এবার আর একবার মিউজিক বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন তাদের মিলিত শক্তি কিভাবে লীন ছিল এতদিন। আর হ্যাঁ, এভাবেই তিনি অর্জন করলেন Most Excellent Order of the British Empire সংক্ষেপে CBE. বৃটিশ রাজপ্রাসাদে এই দুর্লভ সম্মান অর্জন করলেন তিনি। আর কারন হলো for service to music. পাশে থেকে সারাক্ষন তাকেঁ সংগ দিয়ে গেছেন রিচার্ড রাইট।

রিচার্ড যে কারনে তুলনাহীন
রিক ছিলেন তাঁর সময়ে সবচেয়ে অগ্রসর মিউজিশিয়ান। The Great Gig in the Sky একটা বড় প্রমান যে তিনি কি মাপের কম্পোজার ছিলেন! আর তাঁর অসাধারন ভয়েস কোয়ালিটি, সময়ের চাহিদায় নিজেকে মেলে ধরার ক্ষমতা, ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়া ইত্যাদি তো ছিলই। মনে পড়ে Echoes সেই মোহণীয় কন্ঠটি?

উনি বাজাতেন Yamaha SY 77 Series যা অনেক কিবোর্ডিস্টের স্বপ্ন ছিল (এর একটি আমি কিবোর্ডিস্ট শাওন ভাইকে বাজাতে দেখছি)। পরবর্তীতে Kurzweil এর ফ্যান হয়ে উঠলেন। উনি স্টুডিওতে ঢুকলে নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতেন। একটি tone create এর জন্য উনি অনেক পরিশ্রম করতেন যা অন্য কেউ আর তৈরী করার কথা ভাবতেও পারত না। কিছু কিছু tone তো ছিল একেবারে রিচার্ডের পেটেন্ট করা 'মাল' এর মত। একেই বোধহয় বলে Art of noise.


শেষের কথা

এই ব্লগটি লেখার আগে বুঝতেও পারিনি কতখানি আবেগ জমা ছিল এই মানুষটির প্রতি...পুরো ব্যান্ডের প্রতি! কত কিছু যে মাথায় আসছে...কিছুতেই ছোট করতে পারছি না। আমি জানি না কতজন ব্লগার আমার এই ব্লগটি পড়বে, আমি এও জানি না কতজন ব্লগার প্রকৃত Pink Floyd ফ্যান। কিস্তু এতটুকু বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে এই সামুতে Pink Floyd এর বিশাল এক ফ্যান ক্লাব তৈরী হবে।

২৪ বছর পর তাঁরা যখন আবার মিলিত হলেন

সময় আর নেই, তা কি কেউ বুঝতে পারছেন! ছবিগুলো দেখুন...ধুসর চুলগুলো বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়...কবে না আবার কোন দুঃসংবাদ শুনতে হয়!

যাদের কাছে এই লেখাটির ব্যাপারে আমি কৃতজ্ঞঃ

১. কবীর ভাই (রেইনবো): অনেক ব্যাস্ততার ফাঁকেও যিনি গান নিয়ে আড্ডা মারতে ভালবাসতেন। Gilmoure আর DIO বলতে উনি ছিলেন অজ্ঞান।

২. সুমন ভাই (বেইজ বাবা): তাঁর সাথে আড্ডাটা বেশির ভাগ সময়ই হতো রেইনবোতে নয়তো স্টুডিওতে।

৩. মেহেদী ভাই (গিটারিস্ট): উনার কাকতাড়ুয়া এলবামটি আমার খুব প্রিয়।

৪. নিলয় দাসঃ উনি এখন শুধুই স্মৃতি। নিক মেসনের দুর্লভ সাক্ষাৎকারটি উনি ভিডিওতে দেখেছিলেন।

৫. তমাল (আমার বন্ধু): বন্ধু বলে নয়, তমাল একজন অসাধারন গিটারিষ্ট। নিলয়দা আর তমালের জ্যামিং সেশন সারারাত তন্ময় হয়ে শুনতাম।

৬. জিয়া: আমার প্রিয় লেখক এবং সমালোচক। একজন বিশুদ্ধ সংগীত প্রেমিক।

৭. ইন্টারনেট: ছবি গুলোর জন্য

সবশেষে রিককে নিচের এই ভিডিওটি উৎসর্গ করলাম। এখন এই আধুনিকতার যুগেও কেউ কেউ পুরোনো কিছু নিয়ে পড়ে থাকে ভিডিওটি তার প্রমান।


আমার ব্লগ পড়ে কেউ যদি আবেগতাড়িত হন তাঁদেরকে বলব আবেগটি ধরে রাখুন...আর পরের প্রজন্মকে শেখান পুরোনো সব কিছুই ফেলনা নয়।

আপনাদের জন্য Pink Floyd discography দিয়ে দিলাম। এর মধ্যে আমার সবচেয়ে বড় দুঃখটা হল ২০০৭ সালে রিলিজকৃত এলবামটি আমার হাতছাড়া হয়ে গেছে।

Year Album details

1967 The Piper at the Gates of Dawn
1968 A Saucerful of Secrets
1969 Soundtrack from the Film More
Ummagumma (live + studio)
1970 Atom Heart Mother
1971 Meddle
1972 Obscured by Clouds
1973 The Dark Side of the Moon
1975 Wish You Were Here
1977 Animals
1979 The Wall
1983 The Final Cut
1987 A Momentary Lapse of Reason
1994 The Division Bell

Live albums
Year Album details

1969 Ummagumma (see studio)
1988 Delicate Sound of Thunder
1995 Pulse
2000 Is There Anybody Out There? The Wall Live1980–81


Compilations
Year Albums

1970 The Best of the Pink Floyd
1971 Relics
1974 Masters of Rock
1981 A Collection of Great Dance Songs
1983 Works
1997 1967: The First Three Singles
2001 Echoes: The Best of Pink Floyd

Box sets
Year Box sets

1973 A Nice Pair
1992 Shine On
2007 Oh, by the Way

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
৬০টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×