somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+) ... ২

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+)

[মুখবন্ধ: রাশিয়া যখন সোভিয়েত রাশিয়া ছিল, তখন এই কৌতুকগুলো প্রচলিত ছিল! সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ নামে মাসুদ মাহমুদের একটি বই আছে, বেশীর ভাগ কৌতুক সেখান থেকে সংগ্রহ করা। এখানে হয়তো অনেকগুলো এমন কি সবগুলোই কারো কারো কমন পড়ে যাবে... কিন্তু কি আর করা কৌতুক তো কৌতুকই... ]


১.
দুই সৈনিকের মধ্যে কথা হচ্ছে।
প্রথম সৈনিক: হিব্রু ভাষাটা শেখা দরকার।
দ্বিতীয় সৈনিক: হিব্রু ভাষা কেন?
প্রথম সৈনিক: স্বর্গে নাকি হিব্রু ভাষা চালু আছে!
দ্বিতীয় সৈনিক: তুই স্বর্গে যাবি নাকি? নরকে গেলে কি করবি?
প্রথম সৈনিক: কেন রুশ ভাষা জানা আছে তো!

২.
সেই সৈনিককে মৃত্যুর পরে যমদূত এসে নিয়ে গেল।
অনেক আরাম আয়েশ করে দিন কাটাতে থাকলো। স্বর্গে অনেক শান্তি। কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়ার সৈন্য বাহিনীর কারো স্বর্গ প্রাপ্তি হয়েছে বলে সে জানে না।
একদিন সে এক প্রহরীকে বলে বসলো, আচ্ছা আমি এমন কি পূণ্য করেছি যে আমাকে তোমরা স্বর্গে পাঠালে?
প্রহরী: কে বললো এটা স্বর্গ?
সৈনিক: কেন, এখানে তো অনেক সুখ শান্তিতেই আছি আমি।
প্রহরী: তুমি কোথা থেকে এসেছো বলতো?
সৈনিক: সোভিয়েত রাশিয়া!
প্রহরী: ও তাহলে তো ঠিকই আছে...।

৩.
একবার প্রেসিডেন্স ক্রুশ্চেভ গেলেন আমেরিকা সফরে। সেখানে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তাকে শ্রমিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় নিয়ে গেলেন এবং ক্রুশ্চেভের সামনে ঘোষনা দিলেন, "আজ থেকে তোমাদের বেতন দ্বিগুণ করা হলো"। শ্রমিকরা খুব খুশি। তখন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বললেন, "দেখলেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি!"

আমেরিকান সেই প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় দাওয়াত দিলেন ক্রুশ্চেভ, এবার তিনি শ্রমিকদের সাথে একটি সভায় নিয়ে গেলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে এবং বললেন, "দেখবেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি এখানে।"
তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বললেন, "আজ থেকে সবার বেতন কমিয়ে অর্ধেক করা হলো।"
প্রচন্ড করতালি।
তিনি বললেন, "আজ থেকে প্রতি ১০ জনের একজনকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হবে।"
প্রচন্ড করতালি।
তিনি এবার বললেন, "আজ থেকে প্রতি ২০ জনের একজনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।"
এবারো প্রচন্ড করতালি। হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, "ফাঁসির দড়ি কি আমরা নিয়ে আসবো না ট্রেড ইউনিয়ন সরবরাহ করবে?"

৪.
প্রশ্ন: রাস্তার মোড়ে যদি কোন নারীর সাথে সঙ্গম করা হয় তাহলে কি হবে?
উত্তর: উপদেশের ঠেলায় কান ঝালাপালা হয়ে যাবে।

৫.
সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন। মাধ্যাকর্ষন সম্পর্কে বুঝাচ্ছেন। তিনি বললেন, কোন কিছু যত উপরেই ছুঁড়ে দেয়া হয় না কেন তা আবার মাটিতে এসে পড়বে।
হঠাৎ এক সৈনিক দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্যার মাটিতে না পড়ে যদি পানিতে পড়ে তাহলে?
ক্যাপ্টেন: ওটা নৌবাহিনীর ব্যাপার তোমার না জানলেও চলবে।

৬.
একলোক প্রতিদিন বারে যায় মদ খেতে। তবে খাওয়া শুরুর আগে দেয়ালে টাঙ্গানো স্তালিনের ছবির দিকে মুখ করে বসে এবং পেগের পর পেগ খেতে থাকে।
তো একদিন বারের ওয়েটার কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইল, 'স্যার প্রতিদিন ঐ লোকটার ছবি সামনে রেখে পান করেন কেন?'
'যখন ঐ বাজে লোকটাকে ফেরেস্তা মনে হতে থাকে তখনই বুঝে যাই, আমার নেশা হয়েছে, আর খাওয়া ঠিক না।'

৭.
দুই গবেষক কথা বলছে-
- আচ্ছা সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মার্কস, এঙ্গেলস আর লেনিনকে আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি?
- কখনোই না।
- কেন?
- কারণ বিজ্ঞানীরা তাদের ধারণার প্রথম প্রয়োগ করে আগে গিনিপিগের উপর, মানুষের উপর নয়।

৮.
জেনারেল ক্রুশ্চেভ একবার একটি শুয়োরের খামার পরিদর্শনে গেলেন। শুয়োরের খাচার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন। কিন্তু সাংবাদিকরা পড়লো মহা বিপদে। কাল সকালে পত্রিকায় জেনারেলের ছবি আসবে কিন্তু ছবির ক্যাপশন কি লিখবে?
"শুয়োর পরিবেষ্টিত জেনারেল ক্রুশ্চেভ" - না হলো না।
"শুয়োরদের সাথে জেনারেল ক্রুশ্চেভ" - না এবারো হলো না।
পরদিন পত্রিকায় ছবি এল, ছবির ক্যাপশন হলো; "জেনারেল ক্রুশ্চেভ, বাম থেকে তৃতীয়"!

৯.
এক ক্যাপ্টেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শুকিয়ে গেছেন। পুরানো প‌্যান্টগুলো ঢিলা হয়ে গেছে। তিনি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বারবার প‌্যান্টটাকে টেনে তুলছেন।
একভদ্রমহিলা সেটা অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছিলেন। তিনি ক্যাপ্টেনের সামনে গিয়ে বললেন, বারবার এটা করা কি ভাল হচ্ছে?
তখন ক্যাপ্টেন বললেন, আপনার মতে প‌্যান্টটা ছেড়ে দেওয়াই কি ভাল হবে?

১০.
দুই বন্ধুর গল্প হচ্ছে।
- জানিস, আমার মেয়েটা না বড় হয়ে গেছে। সেদিন দেখি আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপস্টিক লাগাচ্ছে।
- হুম, আমার ছেলেটাও বড় হয়ে গেছে। সেদিন দেখি আয়নার সামনে দাড়িয়ে লিপস্টিক মুছছে।

১১.
- মস্কোর কেজিবির হেডঅফিসটা কি দিয়ে তৈরী?
- মাইক্রো-কংক্রিটে তৈরী।
- মাইক্রো-কংক্রিট কি?
- মাইক্রো ফোন আর কংক্রিট হলো মাইক্রো কংক্রিট।

=============================================
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×