somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+) ... ৩

১০ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+)
সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ সংগ্রহ (১৮+) ... ২

[মুখবন্ধ: রাশিয়া যখন সোভিয়েত রাশিয়া ছিল, তখন এই কৌতুকগুলো প্রচলিত ছিল! সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ নামে মাসুদ মাহমুদের একটি বই আছে, বেশীর ভাগ কৌতুক সেখান থেকে সংগ্রহ করা। এখানে হয়তো অনেকগুলো এমন কি সবগুলোই কারো কারো কমন পড়ে যাবে... কিন্তু কি আর করা কৌতুক তো কৌতুকই... ]

০.
সোভিয়েত স্কুলের দশম শ্রেণীতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নতুন একটি বিষয়ের প্রচলন করা হলো- যৌন বিজ্ঞান। প্রথমদিন ক্লাসে ঢুকে শিক্ষক বললেন:
- পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কের ব্যাপারটি অতি স্বাভাবিক এবং এ-ব্যাপারে তোমরা অনেককিছু জানো এবং আরো জানবে ভবিষ্যতে। তবে ছেলে-ছেলে এবং মেয়ে-মেয়ের ভালবাসার সম্পর্কটি অস্বাভাবিক এবং বিকৃত। এটি আমাদের আলোচনাভুক্ত হবে না। আরো দু'ধরনের ভালবাসা আছে, সেগুলি হলো-পার্টিটর প্রতি জনগণের ভালবাসা এবং জনগণের প্রতি পার্টির ভালবাসা। এই দুই ভালবাসা বিষয়ে আমরা পড়াশোনা করবো সারা বছর।

১.
লেফটেন্যান্টের নতুন বউ আব্দার করে বলছে স্বামীকে:
- ওগো এমন কিছু একটা বলো, যেন শরীর মন উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
- অ্যাটেনশান! - কমান্ড দেয়ার ভঙ্গিতে বললেন লেফটেন্যান্ট।
- তারচেয়ে বরং এমন কিছু বলো, যাতে রিল্যাক্সিং মুড আসে।
গলার স্বর বদলালেন না লেফটেন্যান্ট, বললেন:
- স্ট্যান্ড এ্যাট ঈজ!


২.
সৈনিকদের ক্লাস চলছে, মেজর পড়াচ্ছেন বিজ্ঞান।
- পানি বাস্পে পরিণত হয় নব্বুই ডিগ্রী তাপমাত্রা।
একজন উঠে দাঁড়িয়ে বললো-
- নব্বুই না স্যার, একশোতে।
- যাদের মাথায় গোবরও নেই তাদের জন্য বলছি, পানি বাষ্পে পরিণত হয় নব্বুই ডিগ্রী তাপমাত্রায়।
- কিন্তু স্যার, বইতে যে লেখা আছে একশো ডিগ্রীর কথা!
অবাধ্য সৈনিকের বক্তব্যের সত্যতা বই ঘেঁটে পরীক্ষা করে দেখলেন মেজর। তারপর বললেন:
- সত্যিই তো! আমি আসলে সমকোণের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম।


৩.
উপায়ান্তর না দেখে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিলো আমেরিকান স্পাই। গেল সে কেজিবি অফিসের এক নম্বর কক্ষে। বললো:
- আমি এসেছি অকপটে নিজের দোষ স্বীকার করতে!
- অকপট স্বীকারোক্তি ১৩৮ নম্বর ঘরে।
১৩৮ নং কক্ষে গিয়ে বললো:
- আমাকে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে।
- গোয়েন্দা বিষয়ে কথা থাকলে যান ২২৭ নম্বর ঘরে।
২২৭ নং কক্ষে গিয়ে বললো:
- আমাকে এদেশে পাঠানো হয়েছিল স্পাই হিসেবে।
- কিসে চড়ে এসেছিলেন?
- জাহাজে।
- জলভাগ ডিল করে ৩৬৮ নম্বর ঘর।
৩৬৮ নং কক্ষে গিয়ে বললো:
- আমাকে এদেশে পাঠানো হয়েছিল জাহাজে করে।
- সাধারণ জাহাজ নাকি ডুবো জাহাজ?
- ডুবোজাহাজ।
- ডুবোজাহাজ বিষয়ক কথাবার্তা ৭৯৪ নং ঘরে।
৭৯৪ নং কক্ষে গিয়ে বললো:
- আমাকে ডুবো জাহাজে করে পাঠানো হয়েছিল এদেশে।
- সরাসরি বলুন, আপনাকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নাকি দেয়া হয়নি এখনও?
- হ্যাঁ আমাকে একটি বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
- তাহলে আর খামোখা জ্বালাতন করছেন কেন সবাইকে? দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পালন করুন।

৪.
জিরাফের সাথে যৌনসঙ্গম করেছে বলে গোটা বন জুড়ে গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছে খরগোশ। কৌতুহলী জীবজন্তুরা জানতে চাইলো:
- তা কেমন লাগলো ব্যাপারটা?
- দারুণ! শুধু চুমু খাবার সময় দৌড়ে যেতে হয়েছে বেশ খানিকটা পথ।

৫.
বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ভাল্লুক। পথের পাশে গাভী জাবর কাটছে শুয়ে শুয়ে। দু'হাতের পেশি ফুলিয়ে গাভীকে দেখিয়ে ভালুক বললো:-
- দেখ, আমি আর্নল্ড্ শোয়াতসনেগার!
গাভী তাকিয়ে দেখলো, কিন্তু র্নিবিকার। ভালুকটি আরো পেশি ফুলিয়ে বললো, আরো বাবা, ভাল করে তাকিয়ে দেখ, আমি আর্নল্ড্ শোয়াতসনেগার!
উঠে দাঁড়ালো গাভীটি। তারপর লেজ দিয়ে নিজের ভরাট স্তন স্পর্শ করে ভালকুকে দেখিয়ে বললো:
- দেখ, আমি সামান্থা ফক্স!

৬.
- হ্যালো, এটা কেজিবি?
- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আবার ফোন।
- হ্যালো, এটা কেজিবি?
- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আবার ফোন।
- হ্যালো, এটা কেজিবি?
- আপনি কি মশাই ঠসা? ক'বার আপনাকে বলতে হবে যে কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে?
- অতো চটছেন কেন? আমার হয়তো শুনতে খুব ভাল লাগছে কথাটা!!!

৭.
টেলিফোন বেজে উঠলো ঘরে। কিন্তু বাসায় কেউ নেই কুকুর ছাড়া। এগিয়ে গিয়ে সে রিসিভার তুললো:
- ঘেউ
- হ্যালো, কে বলছেন?
- ঘেউ!
- হ্যালো, একটু স্পষ্ট করে বলবেন?
- ঘ-য়ে এ-কারে ঘে, আর হ্রস্ব উ!

৮.
মাও সে-তুং টেলিগ্রাম পাঠালেন ক্রুশ্চেভকে: চীনে দুর্ভিক্ষ। দয়া করে খাদ্যদ্রব্য পাঠান।
ক্রুশ্চেভ উত্তর দিলেন: আমাদের নিজেদের অবস্থাও সংকটময়। তাই কোনো খাদ্যদ্রব্য পাঠানো সম্ভব হলো না। পেটে পাথর বাঁধন।
মাও সে-তুং এর ফিরতি টেলিগ্রাম: জরুরী ভিত্তিতে পাথর পাঠান।

৯.
নভোচারীর ফ্লাটে টেলিফোন বেজে উঠলো। ফোন ধরলো নভোচারীর মেয়ে:
- বাবা এখন ঘরে নেই। মহাশূণ্য থেকে ফিরবে দু'ঘন্টা পরে। মা-ও নেই ঘরে। লাইনে দাঁড়িয়েছে আলুর জন্য। ফিরতে দেরী হবে। অন্তত ঘন্টা তিন-চারেক তো লাগবেই!

১০.
ভেবে নেয়া যাক, দু'জন পুরুষ এবং একজন মহিলা অকস্মাৎ নির্জন কোনো দ্বীপে গিয়ে পড়লো। এই অবস্থায় কোন জাতির আচরণ কেমন হবে?
ইংরেজ দুই পুরুষ মহিলাটির জন্য ডুয়েল লড়বে।
আমেরিকানরা বাধিয়ে দেবে ধুন্ধুমার লড়াই।
ফরাসীরা তিনজন একত্রে বসবাস করবে।
রুশরা গড়ে নেবে যৌথ খামার। একজন পুরুষ হবে খামারের ডিরেক্টর, অন্যজন- পার্টির খামার শাখার সেক্রেটারী, আর মাঠে কাজ করবে মহিলাটি।

১১.
- সোভিয়েত স্ট্রিপটীজ কি?
- নর্তকী নাচের এক পর্যায়ে সব কাপড় খুলে ফেলার অব্যবহিত পরে বসে পড়ে সেগুলোর ওপরে, যাতে কেউ সেসব চুরি করে না নেয়।

১২.
- অন্তঃসত্ত্বা বালিকা বলতে কি বোঝায়?
- রসজ্ঞানবর্জিত মেয়ে, একটু ঠাট্টা করলেই যে ফুলে বসে থাকে।

১৩.
- স্ত্রী কি?
- হাতল বিহীন সু্টকেসের মতো। টানাও কঠিন, ফেলে দিতেও কষ্ট হয়।

১৪.
কর্ণেল ডেকে পাঠালেন ক্যাপ্টেনকে। বললেন-
- শোনো, সৈনিক ইভানভের বাবার মৃত্যুসংবাদ এসেছে। তো খবরটা ওকে সরাসরি না বলে একটু অন্যভাবে জানিয়ো। নইলে খুব বেশি দুঃখ পাবে বেচারা কয়েকদিন আগেই মা হারিয়েছ।
- ঠিক আছে স্যার, সে ব্যবস্থা আমি করবো।
সব সৈনিককে ডেকে পাঠালেন ক্যাপ্টেন। সবাই এসে দাঁড়ালো সার বেঁধে। কমান্ডের সুরে তিনি বললেন:
- যাদের বাবা এখনও জীবিত, তারা এক কদম এগিয়ে দাঁড়াও।
ইভানভও এগিয়ে আসছিল যথারীতি। ক্যাপ্টেন চিৎকার করে বললেন:
- তুমি কোথায় চললে ইভানভ? যেখানে ছিলে, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো।

১৫.
নেকড়ের বাচ্চা হয়েছে। তাকে কোলে নিয়ে দোলাচ্ছে আর আদর করে বলছে:
- ঘুমো বাছা ঘুমো। কী সুন্দর তোর চোখ! ঠিক মায়ের চোখ পেয়েছিস। দাঁতগুলোও পেয়েছিস মায়ের মতো। আর কানদু'টো? কান দু'টো পেয়েছিস... খরগোশ, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা!!!

১৬.
মাংস এবং মুরগির দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুটি মোরগ। প্রথমটি বললো:
- চল, দোকানে ঢুকি।
- কেন, কিছু কিনবি নাকি?
- না। কিন্তু ন্যাংটা মুরগি দেখতে ইচ্ছা করছে খুব।

১৭.
একজন ইহুদিকে প্রশ্ন করা হলো, জাতি হিসেবে ইহুদিরা অতো আশাবাদী কেন?
- ইতিহাস আমাদের বাধ্য করেছে আশাবাদী হতে।
- কেন? আপনাদের ইতিহাস কি খুব দুঃখময়?
- না, তা কেন! মিশরের ফারাওরা যখন ছিল, ইহুদিরাও তখন ছিল। ফারাওরা নেই ইহুদিরা আছে।
ছিল প্রাচীন গ্রীকরা, ছিল ইহুদিরা। সেই গ্রীকরা নেই, ইহুদিরা আছে।
ছিল জার, ছিল ইহুদিরা। জার নেই, ইহুদিরা আছে।
হিটলার ছিল, ইহুদিরা ছিল। হিটলার নেই, ইহুদিরা আছে।
স্তালিন ছিল, ইহুদিরা ছিল। স্তালিন নেই, ইহুদিরা আছে।
এখন আছে কমিউনিষ্টরা, আছে ইহুদিরাও।
- আপনি কি কিছু ইঙ্গিত করতে চাইছেন?
- মোটেও না। শুধু বলতে চাই, আমরা ফাইনালে উঠেছি।
২৯টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×