উৎসর্গ: রাজসোহান ভাই কে।
তার হাতে একটা লাল রঙের গোলাপ ফুল দেখে ভরসা পাচ্ছে না সোহান। ভ্যালেনটাইন ডে’র দিনে কমলা রঙের শাড়ি পরে কার জন্য গোলাপ নিয়ে অপেক্ষা করছে শবনম, নাকি অন্য কেউ দিয়ে গেছে? নাহ তেমনটা তো হবার কথা নয়। সাইকোলজী থার্ড ইয়ারের মেয়েটা ক্যাম্পাসের প্রথম দশজন সুন্দরী মেয়েদের মধ্যে একজন, তার হাত থেকে গোলাপ পেতে চাইবে যে কোনো ছেলে যদিও সেই সৌভাগ্য এখনো কারো হয়নি। তবে ভাল বন্ধুর তালিকার প্রথম দিকে সোহানের নামটা থাকবেই নিশ্চিত।
দশ টাকার চীনা বাদাম কিনে পকেটে রাখলো সোহান। চিবুতে চিবুতে গিয়ে বসলো শবনমের পাশে, বললো, কি রে, কার জন্য গোলাপ নিয়ে অপেক্ষা করছিস?
- কি যে বলিস না সোহান! আমি আর কার জন্য অপেক্ষা করবো?
- তাহলে এতো সেজেগুজে বসে আছিস কেন?
- সবাই তো কম বেশি সেজেছে আর আমি সাজলেই দোষ হয়ে যায় নাকি।
- তা না। কিন্তু এত সুন্দরভাবে সেজেগুজে গোলাপ হাতে বসে আছিস দেখে একটু মায়া লাগছে তোর জন্য। মনে হচ্ছে, আহারে মেয়েটা! ছ্যাঁকা ট্যাঁকা খেলো নাকি?
- সোহান ভাল হবে না বলে দিচ্ছি...
- ভুল কি বললাম বল? আমার হাতে এখন একটা গোলাপ থাকলে কি করতাম জানিস?
- কি করতি?
- দে ফুলটা দে।
সোহান শবনমের হাত থেকে ফুলটা নিয়ে উঠে দাঁড়াল। তারপর শবনমের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ঝুপ করে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। পুরাপুরি সিনেমা স্টাইলে ফুলটা এগিয়ে ধরলো এক হাতে আর একটা হাত ভাঁজ করে নিজের পিঠের ওপর রাখলো। তারপর বললো, তুমি জানো না তোমাকে আমি কত ভালবাসি। যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সেদিন থেকেই তোমার প্রেমে আমি পাগল। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না। শবনম উইল ইউ মারি মি?
শবনম সোহান পাগলাটার আকস্মিক প্রেম নিবেদন বিস্মিত হয়ে চেয়ে রইল। চোখদুটো ছোট ছোট করে বললো, সোহান, সত্যি?
সোহান ফিক করে হেসে দিয়ে দ্রুত গতিতে আগের মতো শবনমের পাশে এসে বসলো, বললো, ভ্যাট... সত্যি হবার কোনো কারণ আছে? হা হা হা।
ফটো: গুগল মামা।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৩