মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিলেন "জেড ফোর্স" এর প্রধান! এর আগে তিনি ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন মেজর। তিনি পাকিস্তানে প্যারাট্রুপার এবং কমান্ডো ট্রেনিং এ সাফল্য নিয়ে ১৯৭০ সালে দেশে ফেরত আসেন এবং মেজর হিসেবে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৬শে মার্চ এর প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। যুদ্ধে তিনি সর্বাত্নক অংশগ্রহন করেন এবং যুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বির উত্তম সম্মান দেয়া হয়।
স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার নিয়োগ করা হয় এবং ১৯৭২ সালের জুন মাসে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন। এবং পরবর্তীতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশকে এগিয়ে নিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এর মাঝে সকল দলের অংশগ্রহনে জাতীয় নির্বাচনন অনুষ্ঠান এবং জাতীয় সংসদের ক্ষমতাবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি সংবাদপত্রের স্বধীনতা ফিরিয়ে দেন এবং শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ সহ সকল ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন।
একটি বিশেষ মহল জিয়াউর রহমান কে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করেন! মেজর জিয়া নিজেই স্বাধীনতার ঘোষনার উল্লেখ করেন,
"আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।"
এরপর কি আর কোন কথা থাকার কথা? কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে খেলি! জিয়াউর রহমান নিজে বেচে থাকলে এটা কখনই হতে দিতেন না! কারণ এরকম কাজের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চভাবে অসম্মান করা হচ্ছে। তারপর তাকে অনেকেই দোষী সাব্যস্ত করেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী হিসেবে! কিন্তু এর পক্ষে শক্ত কোন প্রমান নেই, তাই এটা মিথ্যা বলেই ধরে নেয়া হয়!
সমালোচনার উর্ধ্বে কেউ-ই নয়! কিন্তু আমাদের দেশ এর বর্তমান অবস্থার পিছনে যাদের অবদান তাদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান আমাদের রাখা উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০