বাংলা ব্লগিস্ফিয়ারে, বিশেষত কাজীপাড়া ব্লগে, আমার বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ ডিসকোর্স প্রপাগান্ডা চলছে। মানহানিকর নানা সুন্দর সুন্দর অপবাদে আমাকে গালাগাল করা হচ্ছে যার কিছু কিছু আবার পরস্পরবিরোধী, তাদের বুঝা উচিত আমার মানহানি করতে হলে আগে নতুন কিছু মান দিতে হবে, নাহলে লুটার মত ইজ্জতই তো নাই ।
আমার প্রথম অপরাধ, আমি ‘মেহেরপাকিজান’-এর ‘পক্ষে’ পরথম আলুতে বেদনাক্রনাত জার্গন চটি লিখেছিলাম।
আমার দ্বিতীয় অপরাধ আমি সম্প্রতি ফেচবুকে একটা স্ট্যাটাস লিখেছিলাম: “মেহেরজানবিরোধীরা দলে দলে ‘সবিতা ভাবি পার্ট-২৬, সবিতা ভার্সেস কাশ্মিরি টেরোরিস্ট" দেখেছেন ত ? কীভাবে দেশ দ্রোহী টেররিস্ট এর সাথেও সঙ্গম করা যায় তার কোর্স অবজেকটিভ এই কমিক্স ”
ছারোয়ার খোজা বলে আমার এক ফেচবুক-বন্ধু (সুন্দর চেহারা দেখে যাকে এড করেছিলাম, ইয়ে মানে :#> ) ‘গরিলা’ ছবির রিভিউ সচলায়তনে লিখতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমার স্ট্যাটাসটিকে দিয়ে তার লেখা শুরু করেন।
ফলে তার রিভিউয়ের ভালোমন্দ বা গরিলার ভালোমন্দ বা কিংকং ভাদ দিয়ে নিয়ে ব্লগাররা আলোচনা করার চাইতে আমার ওপরে আক্রমণ করতে থাকেন। অন্তর্বাস ভিজে লাল হয়ে যায়
ছারোয়ার খোজা ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাসের থ্রেডে তার আপত্তি নিয়ে কিছুই বলেননি, এমনকি কমিক্স টার ডাউনলোড লিঙ্ক ও চাননি সোজা সচলায়তনে এটা অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তার এই আচরণ বান্ধবসুলভ মনে হয়নি। ফলে ফেসবুকের বন্ধুতালিকা থেকে আমি তাকে মুছে দেই মনের দুঃখে !! গেল একটা গেলমান বাদ হয়ে
ছারোয়ার রেজা আর আমি পরস্পরের পূর্বপরিচিতই ছিলাম, সম্পর্ক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর; যদিও তাকে আমি সরাসরি ছাত্র হিসেবে পাইনি, উচ্চশিক্ষায় বিদেশে থাকার কারণে। পাইলে এমন মর্দান ছাত্রকে পার্সোনাল গেলমান বানাতে চেস্টার করতাম । কিন্তু তাকে বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দেয়ার পেছনে কোনো যৌণ অহম কাজ করেনি, সেটা সারোয়ার রেজাও হয়তো বলবেন না। তার ক্রিয়ার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই ছিল সেটা। একদম নটি আম্রিকার ক্লিপের মত
তার প্রসঙ্গ এখানে উত্থপান করার কারণ হলো তার ঐ পোস্টের কারণেই অচলায়তনে আমার চরিত্রহননের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রথম ঢেউটি ছিল প্অরথম আলোর ঐ কলামের পরে। সেসব হননকার্যে বেশ কিছু অসম্ভব কষ্টকল্পিত সমীকরণ টানা হয়েছে আমাকে নিয়ে। কেউ কেউ আমার ব্যাক্তিগত ভিডিও পরভা স্টাইলে ৭ পর্বে ছাড়ার হুমকি ও দিয়েছে
আমার এই রচনার কারণ হলো বাংলা ব্লগিস্ফিয়ারে, ফেসবুকে বা অনলাইনে আমি সক্রিয় আছি ২০০৭-এর অক্টোবর থেকে। অনেকেই আমাকে ভার্চুয়ালি চেনেন, আমিও যেমন চিনি অনেককে, কখনো দেখাও হয়নি। এবং অনেকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটা আমার কাছে অনেক মূল্যবান।কারন সবিতা ভাবী ও নটি আমেরিকার প্রিমিয়াম মেবারশিপ ক্লিপ তারাই দেয় আমাকে। তারা সচলায়তনের ঐসব কল্পকথা শুনে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্ত হতে পারেন, গে ভাবতে পারেন । যাহোক, সচলায়তনে ঐসব কল্পকাহিনীর কয়েকটি অনুসিদ্ধান্ত এখানে উল্লেখ করি:
১। পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন আমাকে সুখ প্রদান করেছেন, মেহেরজানের ‘পক্ষে’ লেখার জন্য।
২। আমাকে মগবাজার (জামায়াত অফিস) থেকে অর্থপ্রদান করা হয়েছে, মহা পবিত্র‘পাকিবান্ধব’ ঐ ছবির ‘পক্ষে’ লেখার জন্য।
৩। রুবাইয়াত হোসেন যে রচনাটি লিখেছিলেন রোবায়েত ফেরদৌস ও অন্যান্যদের কলামটির জবাবে, তা সাজ্জাদ শরিফের তত্ত্বাবধানে ফারুক ওয়াসিফ আর আমি মিলে লিখেছি সারা রাত ধরে, লিটনের ফ্ল্যাটে
৪। বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে আমি ‘সাদা গ্র“পের’ (বিএনপি-জামাতপন্থী) লোক।
৫। আমি খালেদা বিবির গোষ্ঠীর লোক।
এইসব অভিযোগের উত্তর সংক্ষেপে দেই:
১। ডাঁহা মিথ্যা। মেহেরজান মুক্তি পাবার আগেই মেহেরজান টিমের সঙ্গে আমার আগে থেকেই যোগাযোগ হয়েছে। চলচ্চিত্র গবেষক হিসেবে যেমন তারেক-ক্যাথরিন মাসুদের প্রডাকশন, আবু সাইয়ীদের প্রডাকশন, নূরুল আলম আতিকসহ অন্য অনেকের প্রডাকশন টিমের সঙ্গে আলোচনা হয়ে থাকে। সবক্ষেত্রেই সেই আলোচনা এমন বেশি কিছু না। কেউ সুখ দেয় নাই
২। ডাঁহা মিথ্যা। যারা আমাকে একটুও জানেন তিনিও বলবেন আর যাই হোক তার ঐ কানেকশন নাই। আমি অনলি চঊদি আরবের নুন খাই
৩। ডাঁহা মিথ্যা। প্রথম আলোর অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে, কিন্তু প্রথম আলোর নীতির ও ভূমিকার আমি ঘোর সমালোচক। এই সমালোচনা আমি ২০০২ সাল থেকে করে আসছি, যদিও এখনো ডাকলে ৩ দৌড়ে যাই গা
৪। ডাঁহা মিথ্যা। এই অভিযোগটা করেছিলেন সচলায়তনের মডারেটর হিমু। অথচ ওপরে কুলদা রায় কী বলছেন শেষ বাক্যে দেখেন। ছাত্র-সহকর্মী হিসেবে আরেফিন স্যার নিশ্চয়ই আমাকে স্নেহ করেন, কিন্তু ‘পেয়ারের লোক’ বলতে যা বোঝায় কেউ কেউ নিশ্চয়ই আছেন, আমি নই। পেয়ারের লোক হইলে কি আর বলগে বাল ফালাইতাম
৫। প্রাজ্ঞ অথচ বিতর্কিত এই বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, বিডিনিউজ আর্টস আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে। এটাও একটা ডাঁহা মিথ্যা।
POWERED BY
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২৩