সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
* ইমাম হোসেনের (রা.) জয়ের জন্য কারবালার মোট যোদ্ধার এক তৃতীয়াংশ ইমাম হোসেনের (রা.) পক্ষে থাকার দরকার ছিলো। তিনি যুদ্ধে জয়ের পর্যায়ে ছিলেন না বিধায় তাঁর পক্ষে আল্লাহর সাহায্য আসেনি।
সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দীনের দিকে পরিচালিত করেন।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সহিহ বোখারী ৭ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচটি ভিত্তির উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। ১। সাক্ষ দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল ২।সালাত কায়েম করা ৩।জাকাত দেওয়া ৪। হজ্জ ৫। রমজানের রোজা রাখা।
* ইমাম হোসেন (রা.) অবৈধ শাসক ইয়াজিদকে উৎখাত করে সঠিক ইসলাম কায়েমের জিহাদে নেমেছিলেন। সঠিক ইসলাম কায়েমে ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত থাকার দরকার ছিলো। ইসলামের প্রথম ভিত্তি ঈমান। ইমাম হোসেন তাঁর প্রতিপক্ষ দলে একজন্ ঈমানদার খুঁজে পাননি। তাতে বুঝা যায় তখন ইসলামের পঞ্চভিত্তি ঠিকঠাক কায়েম ছিলো না। ইসলামের ভিত্তি কায়েম না করে ইসলাম কায়েমের জিহাদ করতে গিয়ে ইমাম হোসেন সাফল্য লাভ করতে পারেননি। ইসলামের ভিত্তি কায়েম রাখার জন্য ইমাম হোসেন (রা.) যদি একটা জামায়াত কায়েম করে ইসলামের ভিত্তি কায়েম রাখতে সক্ষম হতেন তাহলে কারবালার যুদ্ধ জয়ের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোদ্ধা হয়ত পেয়ে যেতেন।
এখন যারা ইসলাম কায়েমের জিহাদ করছে তাদের অবস্থাও কারবালার মত। তারা ইসলামের ভিত্তি কায়েম না করে ইসলাম কায়েমের পন্ডশ্রমে লিপ্ত। সুতরাং তাদেরকেও ইমাম হোসেনের (রা.) পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
* অবৈধ শাসকের বিরুদ্ধে অবশ্যই জিহাদ করা যাবে। তবে এরজন্য যে এলাকার শাসকের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হবে সেই এলাকার এক তৃতীয়াংশ জনবলের মাঝে ইসলামের পঞ্চভিত্তি কায়েম করতে হবে। তারপর লাগবে প্রয়োজনীয় অস্ত্রবল। যেমন একে-৪৭ এর বিপক্ষে তলোয়র নিয়ে যুদ্ধে করে সাফল্য লাভ করা যাবে না। জিহাদে জয় লাভের পরিস্থিতি তৈরী হলে তারপর জিহাদ করলে আল্লাহর সাহয্য পাওয়া যাবে। জিহাদের পরিস্থিতি তৈরী না হলে জিহাদে নামলে কারবালা ঘটতে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৮