সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। যারা আমাদের উদ্দেশ্যে জিহাদ করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়নদের সঙ্গে থাকেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের (আ.) সাথে থাকবে।
* মহানবির (সা.) সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামের আগমন ঘটে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ অঞ্চলের মুসলিমগণ জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। হিন্দুস্থানের তিনটি যুদ্ধ, তরাইনের দ্বিতীয়, পাথিপথের তৃতীয় ও সিলেটের যুদ্ধে এ অঞ্চলের হানাফীগণ জয়ী হয়। যা এ অঞ্চলে মুসলিমদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং এ অঞ্চলে মুসলিমদের অবস্থান মজবুত করে।সংগত কারণে এ অঞ্চলের হানাফীগণ হেদায়াত প্রাপ্ত এবং নাজাত প্রাপ্ত দল।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
* দক্ষিণ এশিয়ার হানাফী পাকিস্তানের নিকট রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। যার ফলে ইসরায়েলের মহাবন্ধু ভারত তাদেরকে সমিহ করে। নতুবা বহু আগে ভারত গাজার মত পাকিস্তানকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতো।
সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। কেউ আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মু’মিনদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে আল্লাহর দলইতো বিজয়ী হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩৯। তোমরা হীন বল হবে না এবং দুঃখিত হবে না। তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। মুশরিকরা অপ্রীতিকর মনে করলেও অপর সমস্ত দীনের উপর জয়যুক্ত করার জন্য তিনিই হেদায়েত ও সত্য দীনসহ তাঁর রাসুল পাঠিয়েছেন।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। তিনিই তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও দীনে হক (সত্যদীন) সহ প্রেরণ করেছেন অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
সূরাঃ ৫৮ মুজাদালা, ১৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা হবে চরম লাঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ সিদ্ধান্ত করেছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
* দক্ষিণ এশিয়ার হানাফী আফগান চির জয়ী। তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে তারা ভারত জয় করে সাড়ে সাতশত বছর ভারত শাসন করেছে। তারপর বৃটিশ, রাশিয়া, আমেরিকা ও নেটো তাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করতে পারেনি।অন্যদিকে সালাফী সৌদী আরব মুসলিম জাতির চিরশত্রু ইসরাইলকে রক্ষায় তৎপর।তাদের নগ্ন নারীরা নগ্নদেহে কালেমার পতাকা পেঁচিয়ে কালেমার অবমাননা করে।মুসলিমদেশ পরিবেষ্ঠিত ফিলিস্তিন ইহুদীর জঘণ্য অত্যাচারে তছনছ অবস্থায় রয়েছে। আর অমুসলিম পরিবেষ্ঠিত হানাফী বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। এখানে হজ্জ্বের পর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত হয়ে থাকে।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
সহিহ তিরমিযী, ২২১৫ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২২১৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, খোরাসানের দিক থেকে কালো পতাকাবাহীগণ বের হবে (মাহদীর সমর্থনে)। অবশেষে সেগুলো ইলিয়া (বায়তুল মাকদিস) এ স্থাপিত হবে এবং কোন কিছুই তা’প্রতিহত করতে পারবে না।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।
* কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী ওলামায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দলের অভিমত সঠিক। দক্ষিণ এশিয়ার হানাফী ওলামায়ে কেরামের দল সারা বিশ্বের ওলামায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দল। এরসাথে সারা বিশ্বের হানাফী ওলামায়ে কেরাম যুক্ত হয়ে হানাফী ওলামায়ে কেরামের দলকে আরো সমৃদ্ধ করে। হাদিসে খোরাসানের দিক থেকে যে এলাকার কথা বলা হয়েছে তা’ দক্ষিণ এশিয়ার এ এলাকাকে বুঝায়। হাদিসে যে প্রাচ্য দেশের কথা বলা হয়েছে তাও এ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলকে বুঝায়। আর বরফের বিশাল সমারোহ হিমালয় পর্বত মালা দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে অবস্থিত। এ অঞ্চলের মুসলিমগণ হিন্দুস্থানের যুদ্ধ জয়ের পর ইসরায়েল অভিমুখে যাত্রা করলে তাদের সে অগ্র যাত্রা ইসরায়েল রুখে দিতে পারবে না।
ইসরায়েলের প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ তাদের সাথে কয়েকবার পরাজিত হয়েছে। এখনো তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারছে না। সুতরাং ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ জয়ে মুসলিমদেরকে দক্ষিণ এশিয়ার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম শক্তি মূলত হানাফী মুসলিম শক্তি। যাদের আলেমগণ বিশ্বের মুসলিম আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* হানাফী আলেমগণের দল বিশ্ব মুসমলিম আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল বিধায় তাদের সাথে মতভেদকারী আলেম ও তাদের অনুসারীরা পথভ্রষ্ট এবং জাহান্নামী। এরা হবে ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে গড়া বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের অন্তরায়। সেজন্য ইমাম মাহদী (আ.) এদেরকে হত্যা করে বিশ্ব মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করবেন। ইমাম মাহদীর (আ.) হাত থেকে এদেরকে তাদের ইহুদী বন্ধুও রক্ষা করতে পারবে না। আর এদের হিন্দু বন্ধুদেরকে সামলিয়েই মাহদী (আ.) বাহিনী সামনে অগ্রসর হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৩