সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।
* দীন ইসলাম পূর্ণাঙ্গ হলেও রাসূলের পর এর অবশিষ্টাংশ হযরত ওমর (রা.) প্রাপ্ত হন।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২১।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কিছু লোক এলহাম প্রাপ্ত ছিল। আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকলে সে ওমর বৈকি?
* রাসূলের (সা.) দীন পরিচালিত হয়েছে ওহী দ্বারা এবং হযরত ওমরের (রা.) দীন পরিচালিত হয়েছে এলহাম দ্বারা।
সহিহ বোখারী ১৮৭০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭০। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানের সাথে এবং ছাওয়াবের আশায় (নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে শেহাব বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং হকুমও এ অবস্থায়ই রয়ে গেল। তারপর আবু বকর (রা.) এর সম্পূর্ণ খেলাফত আমল এবং ওমরের (রা.) খেলাফত আমলের প্রথম ভাগ এ অবস্থায়ই কেটে গেল। (এ সময়) সকলেই একা একা তারাবীহ পড়ত।ইবনে শিহাব ওরওয়াহ ইবনে জোবায়ের থেকে বর্ণনা করেছেন,আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুর কারী বলেছেন,আমি রমযানের এক রাতে ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। ;দেখলাম,বিভিন্ন অবস্থায় বহুলোক একা একা নামায পড়ছে।তখন হজরত ওমর বললেন,আমার মনেহয় এদের সকলকে একজন কারীর সাথে জামাতভুক্ত করে দিলে সর্বাপেক্ষা ভার হবে।অতঃপর তিনি তাই করার মনস্থ করলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর পিছনে জামাতভুক্ত করে দিলেন। এরপর আমি দ্বিতীয় রাতে আবার তাঁর সাথে নামাজে বের হলাম। দেখলাম, লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামাজ পড়ছে। ওমর (রা.) বললেন এটি একটি উত্তম বিদয়াত। রাতের যে অংশে লোকেরা নিদ্রা যায়, তা যে অংশে তারা ইবাদত করে তদপেক্ষা উত্তম।অর্থাৎ রাতের প্রথমভাগ অপেক্ষা শেষ ভাগের নামায অধিক উত্তম। এটিই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।
সহিহ বোখারী ১৮৭১ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭১। হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) একদা রমজানের রাতের মধ্যভাবে বের হলেন। তারপর মসজিদে নামাজ পড়লেন এবং লোকেরাও তাঁর পিছনে নামাজ পড়লো। পরে ভোর হলে, লোকেরা এর আলোচনা করলো। দ্বিতীয় দিন এতদপেক্ষা বেশি লোক জামায়াতে শরীক হলো। তারা রাসূলুল্লাহ (সা,) এর সাথে নামাজ পড়লো। তারপর ভোর হলে লোকেরা পরস্পর আলোচনা করলো। এরপর লোক মসজিদে তৃতীয় রাতেও অধিক হলো। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বের হলেন, নামাজ পড়লেন। লোকেরাও তাঁর সাথে নামাজ পড়লো। তারপর চতুর্থ রাতে এত অধিক লোক হলো যে, মসজিদে তার সংকুলান হলো না। তিনি ফজরের নামাজ পড়তে বের হলেন। তাঁর নামাজ পড়া শেষ হলে লোকেরা তাঁর দিকে ফিরে দাঁড়ালো। তিনি তাশাহুদ বা খুৎবা পড়লেন। তারপর বললেন, তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে আমার কিছুই গোপন নেই। তবে আমি ভয় করছি তোমাদের উপর এটা ফরজ হয়ে যায় নাকি? আর তা’ তোমরা আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়বে।অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং বিষয়টি এ অবস্থায়ই রয়ে গেল।
সহিহ বোখারী ১৮৭২ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭২। হযরত আবু সালমাহ ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। তিনি আয়েশাকে (রা.) প্রশ্ন করেন, রমজান মাসে রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নামাজ কেমন ছিল? তিনি বললেন, রমজান এবং রমজান ছাড়া সময়ে এগার রাকাতের বেশী তিনি পড়তেন না। তিনি চার রাকাত পড়তেন। এ চার রনাকাতের সুষ্ঠতা ও দীর্ঘতা সম্বন্ধে তুমি কিছু জিজ্ঞাস করবে না। তারপর আরো চার রাকাত পড়তেন, এর সুষ্ঠতা ও দীর্ঘতা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করবে না। এরপর আদায় করতেন আর তিন রাকাত। তখন আমি জিজ্ঞাস করলাম , হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি কি বিতর নামাজ পড়ার পূর্বেই শায়িত হন? তিনি বললেন, হে আয়েশা! আমার চক্ষু দ্বয় নিদ্রা যায় কিন্তু অন্তর নিদ্রা যায় না।
* হযরত ওমর (রা.) জামায়াতে ২০ রাকায়াত তারাবিহ নামাজের উত্তম বিদয়াত দীনে যোগ করেন। তবে জামায়াতে নফল নামাজের বিষয়টি রাসূলের (সা) সুন্নাহ এর মধ্যে ছিলো। তবে ২০ রাকাতের বিষয়টি সুন্নাহ এর মধ্যে ছিলো না। লোকেরা আট রাকায়াত তারাবিহ এর বিষয়ে যা বলে সেটা ঠিক নয়। কারণ আট রাকায়াত তারাবিহ নয় সেটা ছিলো তাহাজ্জুত।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১২ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১২। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন হে ওসমান (রা.)! আল্লাহ তা’আলা একদিন তোমাকে এ কাজের (খিলাফতের) দায়িত্ব অর্পণ করবেন। তখন মুনাফিকরা ষড়যন্ত্র করবে, যেন আল্লাহ প্রদত্ত জামা (খিলাফতের দায়িত্ব) তোমার থেকে খুলে ফেলতে পারে, যা আল্লাহ তোমাকে পরিয়েছেন। তুমি কখনো তা’ খুলে দেবে না। তিনি এ বাক্যটি তিন বার বললেন।
সহিহ বোখারী ৮৬৩ নং হাদিসের (কিতাবুল জুমুয়া) অনুবাদ-
৮৬৩। হজরত সায়েব ইবনে ইয়াযিদ (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমরের (রা.) সময়ে ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন তখন প্রথম আযান দেয়া হত। অনন্তর যখন ওসমানের (রা.) খেলাফতের সময় আসে এবং লোকসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধি পায় তখন ওসমান (রা.) জুমুয়ার দিনে তৃতীয় আযানের নির্দেশ দেন এবং জাওরা হতে আযান দেয়া হতে থাকে। তারপর এ রেওয়াজ চলতে থাকে।
* হযরত ওমরের (রা.) দেখাদেখি আল্লাহর খলিফা হযরত ওসমানও (রা.) দীনে একটি উত্তম বিদয়াত যোগ করেন। সুতরাং উত্তম বিদয়াতকে দীন ইসলামের অংশ বলাতে কোন সমস্যা নাই।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অভিমত ইসলামে গৃহিত হবে।সুতরাং তাঁদের অভিমত অনুযায়ী উত্তম বিদয়াত দীনে গৃহিত হয়ে তা’ ইসলামের বিধান সাব্যস্ত হবে। আর উত্তম বিদয়াতের বিষয় হাদিসে অনুসন্ধান অহেতুক কাজ।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
* হাদিসের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব সকল হাদিস লিখিত হয় নাই। সুতরাং পূর্ণাঙ্গ কোরআনের ব্যাখ্যা হাদিসে পাওয়া যাবে না। সুতরাং কোন বিষয় যদি হাদিসে পাওয়া না যায়, কিন্তু তা’ যদি কোরআন ও ফিকাহতে পাওয়া যায়, তবে তা’ দীন ইসলামের বিধান সাব্যস্ত হবে।কোরআন ও ফিকাহতে পাওয়া যাওয়ার পরেও হাদিসে পাওয়া যায়নি বলে কোন বিধানকে ইসলামের বিধান থেকে ছেঁটেফেলা যাবে না। সাহবায়ে কেরামের সব কাজও লিখিত হয়নি। সুতরাং সাহাবা (রা.) না করার অযুহাত তুলেও কোরআন ও ফিকাহ অনুযায়ী সাব্যস্ত দীন ইসলামের বিধানকে দীন ইসলাম থেকে ছেঁটে ফেলা যাবে না। আর কোন কথা হাদিসে থাকলেও তা’ যদি আলেমদের সর্ববৃহৎ দলের আমলের গরমিল হয় তবে সে হাদিসের আমল করা যাবে না। কারণ আলেমদের সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতা কোরআন ও হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হলেও যারা হাদিস সংকলন করেছে তাদের সঠিকতা কোরআন ও হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত নয়। যেমন হাদিস সংকলক ইমাম বোখারীকে (র.) কোরআন ও হাদিস সঠিক সাব্যস্ত করেনি, কিন্তু আলেমদের সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতা কোরআন ও হাদিস সাব্যস্ত করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫