somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তিনি আমার ছড়াকবিতার ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ যা যা বললেন : রম্য ও কুইজ

২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি: তুই কোথায়? অনেক দিন ধরে এ্যাবসেন্ট। মরার আগে প্লিজ জানাবি, কারণ, আই কেয়ার...
তিনি : থ্যাঙ্কস এ লট। হোয়াট হ্যাপেনস ইফ আই ডোন্ট ডাই সুন? হোয়াট ইফ আই ডোন্ট রিয়ালাইজ আই এ্যাম ডাইং বিফর ডাই? থ্যাঙ্কস ফর ইয়োর কেয়ার। সো নাইস অফ ইয়্যু।
আমি : If you don't die soon, say if you live for another 12 decades, I shall vanish and re-appear once after twelve years to see you only, then again disappear. What if it doesn't strike you.
তিনি : বাংলা কী?
আমি: বাংলা কী মানে? মনে নেই, সেদিন বলেছিলাম:
ভুলে যাবি তুই? যা না!
দুই যুগ পরে হঠাৎ এসে তোর বুকে দেব হানা!
তখন করবি কী তুই-
আবার যদি যাই হারিয়ে ফেলে এ বিশ্ব-বিভূঁই?

তিনি : আপনি যে কী বলেন, আমি বুঝি না। আপনার ভাষা না নদীর মতো, না বাতাসের মতো, না রৌদ্রের মতো... বুঝবো কী করে? আপনি কি নেহাল?
আমি : আমার ভাষা কি খুবই হিব্রু? Greek and Latin?
তিনি : না, না, তা বলছি না। বলছি নেহালের ভাষা এমন শিশুতোষ... বালক বালক।
আমি :
আমার ভাষা করাতের মতো যদি হতো, তোর বুকের অন্তর্গত
করে দিতাম এক লক্ষ ক্ষত।

তিনি : ভাবগুলো আমাদের ঢাকার বাসার দারোয়ান আর বুয়াদের মতো। ওরা খুব তুই-তোকারি করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতো।
আমি : দারোয়ান আর বুয়ারাই করে সবচেয়ে বেশি সুখ, কারণ ওদের রোমান্স করার কৌশলটা সবচেয়ে খাঁটি ও মূলক।
তিনি : তাই, না?
আমি : That's, coz, they get closest to each other's heart than others can do.
আমি : জানি না তো... মেলাচ্ছি কেবল আপনার ভাষা ও ভাব আমার পরিচিত কার কার সাথে মেলে... এটা একটা তুলনামূলক স্টাডি।
আমি : Please go ahead with your study.
তিনি : আপনি কি অনেক জানেন, নাকি আন্দাজে-অনুমানে বলে যাচ্ছেন?
আমি : Question is not clear. অনেক কী জানি আপনার ব্যাপারে?
তিনি : দারোয়ান সাহেবদের সব কথোপকথন শুনতে পাই নি, শোনা উচিতও নয়... তাই না?
আমি : একটা কবিতার লাইন শুনুন।
তিনি : বলুন।
আমি :
মুঠোফোনে তুই আজ ফুটালি যে ফুল-,
নয়নে জাগালো নেশা, রক্তে হুলস্থূল।

তিনি : নেহালমার্কা ছড়া। কবিতা কি হলো?
আমি :
কাল রাতে যা দিয়েছিলি, আজ সকালেই তা শেষ।
মুঠোফোনের অভিসারে
দিনে কি আর পাবো তারে, রাত হলো যার শেষ?

তিনি : খুব বালক। আপনার বয়স কতো?
আমি :
ঠিক কোথায় তুই আঘাত পেলি, বল্,
আমি তো তোর আনন্দ-কুসুম, কবিতা, চোখের জল।
আমি তোর বক্ষে দিব ব্যাধি,
তোর বক্ষ-সুধা আমার অমৃত ঔষধি।

তিনি : অনেক সময় নষ্ট হলো। ইউজলেস। গল্প লিখুন বরং।
আমি : তোমার বয়স যতো তার চেয়ে অন্তত সাতটি মাস আগে আমার জন্ম হয়। Better you be my teacher for literature. Age is no factor. সময় তো আমার নষ্ট হয় নি এক দণ্ডও।
তিনি : না এটা সনেট, না কবিতা... ছড়ার আবেদনও নেই... ছড়া কাটার জন্য স্বভাবটাও বালক হলে ভালো।
আমি : গুণ সাহেবের কবিতা পড়ে মনে হয় ও-বেটা পুরো জীবনটাই নষ্ট করেছেন কবিতা লেখার চেষ্টা করে। কিন্তু হায়, কিছুই হয় নি, না কবিতা, না সনেট, না ছড়া। বেচারা!
তিনি : কী? কার কথা বললেন?
আমি : কবি গুণ। নির্মলেন্দু গুণ।
তিনি : উনার কোন্ কোন্ কবিতা আপনার কাছে ছড়ার মতো মনে হয় তা লিখে পাঠাবেন কাইন্ডলি... ই-মেইল করলে ভালো।
আমি : এখানে তো কয়েকটা বললাম, ছড়াগুলো কি কিছু হয়েছে? কী মনে হয় আপনার?
তিনি : ভালো লাগে নি আমার... খুব সম্ভবত আমি অন্য মুডে আছি। যাক গে, যান, পড়াশুনা করুন, অথবা ইয়াং মেয়েদের সাথে গল্প করুন... আপনার ক্রিয়েটিভিতে বসন্ত আসবে।
আমি : হুম, আপনি খুব অভিজাত ঘরানার ভাবনার অধিকারী।
তিনি : ‘অভিজাত ঘরানার’ মানে?
আমি : অর্থাৎ আপনি রবিঠাকুর আর আমি আপনার শরৎ বাবু, আপনি আমার জন্য লিখুন, আমি ওটাকে ট্রান্সলেট করে পাবলিকের জন্য লিখবো। যেমন জসীম উদ্‌দীন করতেন। আর যেমন করছেন হুমায়ূন আহমেদ।
তিনি : কী করতেন?
আমি : এই দেখেন না, কতো সহজ করে ফেলেছেন তিনি বাংলা সাহিত্য।
তিনি : তাই?
আমি : তবে কথা হলো, ‘সহজ করে যায় না বলা সহজে।’ তাই অনেকে জেলাস হয়ে ওঠেন।
তিনি : (আবারো) তাই?
আমি : Are you cooking and messaging? Or something else is cooking in your head?
তিনি : আমার আজ রান্না নাই!
আমি : আজ তবে কে রাঁধিবে, রাধে?
তিনি : হুমায়ূন আহমেদকে হিংসা কেন করে লোকে? উনি তো বাংলাদেশের পাঠকদের ধরে রেখেছেন দেশে। অনেক প্রকাশনা উনার কারণে গজিয়েছে। আর মানুষ তো উনার অবদান স্বীকার করেন।
আমি : Never utter in front of our scholars (?). আমার এক ফ্রেন্ড লুকিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে, পাছে লোকে বলে, ও ক্লাসিক বইয়ের টেস্টই বোঝে না, এই ভয়ে।
তিনি : কেন বলবো না? উনি অনেক হালকা লেখাও লিখেছেন, তাতে অনেকে মনক্ষুন্ন, কিন্তু চাইলে উনি উনার মতো করে আবার গভীর লেখা লিখতে পারেন। আমার বোধে যেটা সত্য, যতোটুকু বুঝি ও দেখি, বলবো না?
আমি : I am really enjoying chatting with you. Although we have a little contradictions in our thoughts and opinions, still it's pleasurable. You can attract people by your intellects.
তিনি : বাংলাদেশে ফুলটাইম লেখক হয়ে বাঁচা যায়, উনিই একমাত্র তা প্রমাণ করেছেন... কিন্তু উনার পারসোনাল লাইফ নিয়ে অনেকে বিব্রত বোধ করেন। এটা যার যার ব্যাপার।
আমি : হু ইজ মিস্টার নেহাল?
তিনি : জানি না... তবে লেখার ঢং আর ভাবের জোয়ার দেখে বুঝি কে কোন্‌টা। আমার কাছে তো সবাই মাছের পোনা।
আমি : What is it? মাছের পোনা জিনিসটা কী?
তিনি : সবাই একরকম। কে যে কী জাত আপাত দৃষ্টিতে বোঝা যায় না... ইলিশের পোনা আর রুইয়ের পোনা আর কইয়ের পোনা আর ব্যাঙাচির পোনা... মিলেমিশে উপস্থিত হলে আমি কাউকে আলাদা করে চিনি না।

উপরের কনভারসেশনে নির্মলেন্দু গুণের কিছু ছড়া-কবিতার উল্লেখ রয়েছে, তিনি’র মতে যা কিছুই হয় নি। কেউ কি পারবেন ওগুলো আলাদা করতে?

৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×