somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বর্ণযুগের বাংলাদেশি ছায়াছবির গান; একটি তালিকা যা আপনাকে আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে নিয়ে যাবে

২৫ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সব জিনিসের মূল্য আছে মানুষের দাম নাই

শৈশবে ফেরিঅলার কাছ থেকেই প্রথম শুনেছিলাম 'এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরিওয়ালা।' ফেরিওয়ালাকে কখনো এ গানটি ছাড়া অন্য কোনো গান গাইতে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। তার গানের যে কথাটি আমার ছোট্ট মনকে বেশি নাড়া দিয়েছিল তা হলো 'সব জিনিসের মূল্য আছে মানুষের দাম নাই।' আমি খুব অবাক হয়ে ভাবতাম, এই যে ফেরিওয়ালা কাঁচের চুড়ি, আলতা, ফিতা, কতো কিছি বিক্রি করছে, তার সবকিছুরই একটা দাম আছে, অথচ মানুষের কোনোই দাম নেই! এই আমাকে যদি বিক্রি করে দেয়া হয়, তার বিনিময়ে আমার মা-বাবা কি একটি পয়সাও পাবে না? হায়রে ছোট্ট অবুঝ মন, এসব ভাবতে ভাবতে কতো যে অকূল সাগরে তলিয়ে যেতো, তার হদিশ মিলতো না।

গত কয়েকদিন ধরে আমি ইউ-টিউবে পুরনো দিনের বাংলাদেশি ছায়াছবির গান খুঁজছিলাম। যে গানগুলো অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেলো মূল শিল্পীর মূল গানটি আর নেই; মূল শিল্পীর গান পরবর্তীতে রেকর্ড করা হয়েছে, কিংবা তাঁর কোনো স্টেজ প্রোগ্রামের গান, অথবা সেই গান অন্য শিল্পীরা গেয়েছেন। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অনেকগুলো গান পেয়ে গেলাম মূল ছায়াছবি থেকেই, তবে ভিডিওর মান সঙ্গত কারণেই অনেক নিম্ন পর্যায়ের। আমার দরকার ছিল মূল গানগুলির। মূল গানে যে মাধুর্য আমি পাই, পরে রেকর্ডকৃত বা অন্যের গাওয়া গানে তা পাই না।

এখানে ৩টি গানের লিরিকস দেয়া হলো; তার নিচে দেখবেন যে গানগুলো সম্প্রতি আমি সংগ্রহ করেছি তার একটি তালিকা। আমি নিশ্চিত, যাঁরা বাংলাদেশের পুরনো দিনের গান ভালোবাসতেন, তাঁরা গানের এ তালিকা দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়বেন, ফিরে যাবেন ৩০-৪০ বছর, বা তারও আগের দিনগুলোতে।



এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরিওয়ালা
হরেক রকম স'দা নিয়ে ঘুরি সারাবেলা
ফেরিওয়ালা

আয়না আছে চিরুনি আছে
নেবে যদি এসো কাছে
আয়না আছে চিরুনি আছে, আছে কাঁচের চুড়ি
স্নো পাউডার আলতা সাবান মিলবে না তার জুড়ি
কারো আছে চুলের ফিতা রঙ্গিন পুঁতির মালা
ফেরিওয়ালা

যার যার হাতে ভাগ্য দেবে বুঝে নিলাম ভাই
সব জিনিসের মূল্য আছে মানুষের দাম নাই

ভাই বন্ধু সবাই শোনো
মিছে এতো ভাবছো কেন?
ভাই বন্ধু সবাই শোনো, শোনো খোকাখুকি
সস্তা দামে কিনবে যদি এসো গরীব-দুখী
সবার মুখের হাসি দেখে ভুলবো মনের জ্বালা
ফেরিওয়ালা

এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরিওয়ালা
হরেক রকম স'দা নিয়ে ঘুরি সারাবেলা






মস্তানা-------------
আমি এক মস্তানা
আমার নাই ঠিকানা
মুল্লুক জুড়ে তাল্লুক আমার যখন যেথায় যাই
আরে সেলাম ছাড়া সেলামিও সঙ্গে কিছু পাই

আমার মনের আমি মনিব পরোয়া করি কার
যখন যেথায় পড়ে থাকি সেখানেই সংসার
ঘরে বাইরে ফুটপাতে ভাই কোনো তফাত নাই

আমি এক মস্তানা
আমার নাই ঠিকানা
মুল্লুক জুড়ে তাল্লুক আমার যখন যেথায় যাই
আরে সেলাম ছাড়া সেলামিও সঙ্গে কিছু পাই






ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুইড়াছে মনের আশা পুড়াইছে
হায়রে লাল লাল নীল বাত্তি দেইখা নয়ন জুড়াইছে

তেল ছাড়া বাত্তি জ্বলে আজব এ শহরে
মাটি ফাইট্যা বৃষ্টির পানি ঝরঝরাইয়া পড়ে রে
গরু নাইরে ঘোড়া নাইরে কী জানি কী দিয়া
বড় বড় গাড়িগুলি চলে গড়গড়াইয়া
আরে সেই গাড়িতে চড়তে আমার ইচ্ছা হইতাছে

রেশমি চুড়ি ঢাকাই শাড়ি কিইন্যা দিমু তোরে
ঘর বানাইয়া থাকমু দুজন সাত তলার উপরে রে
তুই হইলিরে বড় সাহেব আমি হইলাম বিবি
মাঝে মাঝে আমারে তুই সিনেমা দেখাবিরে
আরে সিনেমারও কথা শুইনা খুশি লাগতাছে রে
ঢাকার শহর আইসা আমার আশা পুড়াইছে মনের আশা পুড়াইছে





গানের তালিকাটি দেখুন



আমার সোনার বাংলা


এ সুখের নেই কোনো তুলনা
আমার এ গান তুমি শুনবেই
আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়
আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার বারিস্টার
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
আয় খুকু আয় - কাটে না সময় যখন


আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন


আজ কেন এতো ভালো লাগছে
আকাশ বিনা চাঁদ হাসিতে পারে না


আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
আমাদের পতাকা আমাদের মান
আমার বাবার মুখে যেদিন আমি শুনেছিলাম গান


আমার বউয়ের কি জামাই পছন্দ হয় নাই?
আমার বুকের মধ্যেখানে মন যেখানে হৃদয় যেখানে
আমার ছোট্ট ভাইটি মায়ায় ভরা মনটি
আমার এ ঘর যেন স্বপ্ন
আমার কাঙ্খের কলশী জলে যায় যে ভাসি
আমার মাঝে নেই এখন আমি
আমার মন বলে তুমি আসবে
আমার মন তো বসে না গৃহকাজে সজনীগো


আমার নায়ে পার হইতে লাগে ষোলো আনা
আমার অন্তরায় আমার কলিজায়
আমার প্রাণ কান্দে
আঙ্গুল কেটে আলতা করে


আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল
আমার সারা দেহ খাইও গো মাটি
আমি একদিনও তোমায় না দেখিলে
আবার এলো যে সন্ধ্যা


আমি কতোদিন কতোরাত ভেবেছি


আমি যেমন আছি তেম রবো বউ হবো না রে


আমি কার জন্যে পথ যেয়ে রবো আমার কি দায় পড়েছে


আমি নিজের মনে নিজেই যেন গোপনে ধরা পড়েছি
আমি রজনিগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই


আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের যাদু এনেছি


আমি তোমার আপন হতে চাই
আমি তোমার দুটি চোখে দুটি তার হয়ে থাকবো
আমি তো বন্ধু মাতাল নই মানুষ যদি মোরে নাই বলো বেইমান বলো
আমি তো চিনেছি তোমাকে
আমি যে আঁধারে বন্দিনী


আরে ও প্রাণের রাজা
বাণিজ্যের নামেতে আমি এলাম এ কোন্ হাটে
বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম (রিমেইক)


ভালোবাসা যতো বড় জীবন ততো বড় নয়
ভালোবাসার মূল্য কতো আমি কিছু জানি না
বিমূর্ত এ রাত্রি আমার


বন্ধু ওগো কী করে ভাবলে


চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে


চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা
চিরদিন সাথী তোমাকে চাই
চিঠি দিও প্রতিদিন
ছবি যেন শুধু ছবি নয়
চোখ যে মনের কথা বলে


চোখ ফেরানো যায়গো তবু মন ফেরানো যায় না
চোখে চোখ রেখো না


চন্দনা গো রাগ করো না
চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে?


চুল ধইরো না খোপা খুলে যাবে যে নাগর


ও দাদা ভাই, মূর্তি বানাও


ডাকে পাখি খোলো আঁখি (যৌথ প্রোযজনা)
ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুড়াইছে
দিন দুপুরে মনের ঘরে সিঁধ কাটিল কে?
এ আকাশকে সাক্ষী রেখে


এই আছি এই নেই
এই যদি বলি যেতে নাহি দিব


এই মন তোমাকে দিলাম
এই পৃথিবীর পরে কতো ফুল ফোটে আর ঝরে


এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরিওয়ালা
এই উতলা রাতে
এ জীবনে তুমি এলে


একা একা কেন ভালো লাগে না
একবার যদি কেউ ভালোবাসতো


একদিন ছুটি হবে
একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে


এখন তো সময় ভালোবাসার (হিন্দি থেকে বাংলা- ১৯৯৩)
একটু ফিরে দেখো একটি কথা রাখো ভালোবেসে একবার আমায় বউ বলে ডাকো


একটুসখানি দেখো একখান কথা রাখো ভালোবাইসা একবার তুমি বউ কইয়া ডাকো


এলাহী আলামীন আল্লাহ বাদশাহ
এমন মজা হয় না গায়ে সোনার গয়না (সুতরাং, ১৯৬৪)


এ খাঁচা ভাঙবো আমি কেমন করে


এতো কাছে থাকি গানে গানে ডাকি
এতো সুখ সইবো বলো
গানেরি খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে


গান হয়ে এলে


গীতিময় এই দিন সেইদিন চিরদিন রবে কি? (ছন্দ হারিয়ে গেলো) পুরুষকণ্ঠ


গীতিময় সেইদিন চিরদিন বুঝি আর রলো না (ঐ) নারীকণ্ঠ
গুন গুন গান গাহিয়া নীল ভোমরা যায়


হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ
হারজিৎ চিরদিন থাকবেই


হায়রে মানুষ রঙ্গিন ফানুস
হীরামতি হীরামতি ও হীরামতি
হেরে গেছি আজ আমি


হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়
হীরার চেয়ে দামি
হয় যদি বদনাম
ইশারায় শিস দিয়ে আমাকে ডেকো না


যাবে কোথায় আমি যে হেথায়
জানতাম যদি শুভঙ্কর
যারে যাবি যদি যা


যে কথা নীরবে ভাষা খোঁজে
জীবন মানে যন্ত্রণা
যদি বউ সাজোগো বড় সুন্দর লাগে গো


যদি প্রশ্ন করি
যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম


যদি ভালোবেসে কাছে এলে বন্ধু
জনম জনম ধরে প্রেমপিয়াসী
কাছে এসো যদি বলো তবে দূরেই কেন থাকো
কিছু বলতে ইচ্ছে করে
কী দিয়া যে কী করি


কথা বলো না বলো ওগো বন্ধু


কুহু কুহু শুনে আমি ভাবি
কারার ঐ লৌহকপাট


লোকে বলে রাগ নাকি অনুরাগের আয়না
মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে


মান অভিমান সেতো হৃদয়েরই দান
মন তো ছোঁয়া যাবে না


মেঘ থমথম করে


মাগো তোর কান্না আমি সইতে পারি না

(এটি আমি রিমেইক করেছি)

মাগো মা ওগো মা আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা


মাইয়া মানুষ কেন যে আইলো দুনিয়ায়
মাটির মানুষ হইয়ারে তুই এই মাটিরে চিনলি না


মাটির পৃথিবী তুমি বলো
মন বলে খুলে গেছে দ্বার (অলিভিয়া)
মন দেব কী দেব না
মন যদি ভেঙে যায় যাক


মনেরও রঙে রাঙাবো


মরেছি মরেছি একি আমি করেছি
মরি হায়রে হায় দুঃখে পরান যায় (আমজাদ হোসেন)
নানি গো নানি তোরে আমি চিনি


নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে
ি

ও আমার দেশের মাটি


ও আমার রসিয়া বন্ধুরে তুমি কেন কোমরের বিছা হইলা না
ও বনের কোকিলারে মনে মনে রং লেগেছে রে
ও দরিয়ার পানি তোর মতলব জানি


ও দুটি হাত চিরদিন থাক না হয়ে গয়না
ও দুটি নয়নে স্বপনে চয়নে নিজেরে যে ভুলে যায়
ও মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই
ও মেয়ের নাম দেব কী ভাবি শুধু তাই আমি
ও পাখি তোর যন্ত্রণা আর তো প্রাণে সয় না
ও দুটি নয়নে স্বপনে


ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়


ওগো মোর মধুমিতা


ও রানা ও সোনা (অলিভিয়া, মাসুদ রানা)
ওরে নীল দরিয়া


ও সাত ভাই চম্পা জাগোরে


ও তোদের মা জননী আমার সাধের খঞ্জনি
ও অনুপমা ও নিরুপমা পাখির বাসার মতো দুটি চোখ তোমার


ঐ দূর দূরান্তে
ঐ মধু চাঁদ আর এই জোছনা
ওকি গাড়িয়াল ভাই (সাবিনা ও ফেরদৌসী রহমান)
ওকি ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে (রুনা ও ফেরদৌসী রহমান)
অমন কইরা কইও না বন্ধু
ওরে ও পরদেশী যাবার আগে দোহাই লাগে একবার ফিরা চাও


ওরে সাম্পানওয়ালা (ছবি মণিহার, শেফালি ঘোষ)


অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান (দুবার গাওয়া হয় ছবিতে)




পাগল পাগল মানুষগুলো পাগল সারা দুনিয়া
পারি না ভুলে যেতে স্মৃতিরা মালা গেঁথে
ফুলের কানে ভ্রমর এসে চুপি চুপি বলে যায়


পরাণে দোলা দিল এ কোন্ ভ্রমরায়
পরবাসী মনটা আমার কেউ চিনলো না
প্রেমের নাম বাসনা
রিনিঝিনি কঙ্কনও বাজেগো
রূপ দেখে বলবো কী ভাষা খুঁজে পাই না


সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না


সাগর কূলের নাইয়ারে (অডিও, নীনা হামিদ, রূপবান)
সাগর কূলের নাইয়ারে (ভিডিও, রুনা লায়লা, রঙ্গিন রূপবান)
শালুক শালুক ঝিলের জলে মনের বাউল দোলে


সামাল সামাল সাথী ধীরে ধীরে চলরে
সাতটি রঙের মাঝে আমি মিল খুঁজে না পাই
সব সখীরে পার করিতে নিব আনায় আনা


শহর থেকে অনেক দূরে


সোনা চান্দি টাকা পয়সা কিছুই চাই না


স্বপনের মতো লাগে
শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে কতো সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে


শোনো শোনো কন্যা
শোনোগো রূপসী ললনা আমাকে যখন তখন চোখ রাঙানো চলবে না
শুধাই তোরে রাখাল বন্ধু
শুধু গান গেয়ে পরিচয়


শিল্পী আমি তো নই


সুখপাখি তোর হইল না হইল না আপন
সুরের আগুনে পুড়ে
তালতো ভাই আর খালতো ভাই আমার কোনো দরকার নাই
তোমাকে হারিয়ে আমি অভাগিনী
তোমায় নিয়ে বনে আসিলাম (রূপবান)
তোরা দেখ তোরা দেখরে চাহিয়া চোখ থাকিতে এমন কানা কেমন কানা কেমন করিয়া
তুমি বড় ভাগ্যবতী
তুমি যে আমার কবিতা


তুমি বলে ডাকলে


তুমি চেয়েছিলে ওগো জানতে


তুমি এসেছো যে বন্ধু
তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়


তুমি সখা আমার বন্ধু প্রিয় (রঙ্গিন রূপবান)
তুমি তো এখন আমার কথা ভাবছো
ভোলাভালা লোকটা যে প্রেম বোঝে না


এখনো যে গানগুলো খুঁজছি

বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম দেখা পাইলাম না (কসাই)
ভালোবাসি বলিব না আর বলেছিলাম একদিন (কসাই; অরিজিন্যাল/রিমিক্স অডিও হলেও চলবে)
সুখে থাকিস মা সুখে থাকিস (কসাই)
আমি নিজের দোষে দোষী হলাম (কসাই)
মাগো তোর কান্না আমি সইতে পারি না
চারাগাছে ফুল ফুইটাছে ডাল ভাইঙ্গো নারে মাঝি
একি বাঁধনে বলো জড়ালে আমায়
আমি আছি থাকবো ভালোবেসে মরবো (সুন্দরী)
খোদা তোমার দুনিয়া দেখিয়া শুনিয়া (সুন্দরী)
কী করে বলিব আমি/কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না (নারীকণ্ঠ, সুন্দরী)
বাবা বলে গেলো আর কোনোদিন গান করো না
এ আকাশকে সাক্ষী রেখে (সোহাগ, নারীকণ্ঠ)
মনমাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না
মায়ের মতো আপন কেহ নাইরে (নারীকণ্ঠ, ছবি)
যাইবা কেমনে বলো যাইবা কোন্ খানে
ও নদীরে আমি নালিশ জানাই কারে/তোরে (অভিমান)
তুমি দাও দেখা দরদী (সম্ভবত সৈয়দ আব্দুল হাদী গেয়েছেন)
আমার অন্তরায় আমার কলিজায় (বিনি সুতার মালা; অরিজিন্যাল অডিও হলেও চলবে)
একা একা কেন ভালো লাগে না
রূপে আমার আগুন জ্বলে যৌবন ভরা অঙ্গে (রিমিক্স হলেও চলবে)
সাগর কূলের নাইয়ারে (রূপবান, নীনা হামিদ)
আমার বন্ধু বিনোদিয়া (রূপবান, নীনা হামিদ)
শোনো তাজেল গো (রূপবান)
'রূপবান' ছবিটি খুঁজছি হন্যে হয়ে


স্বপ্নের নায়িকা - প্রত্যাবর্তন


'বুলবুল-এ-বাগদাদ' আমার দেখা প্রথম ছায়াছবি, যার সবটুকু স্মৃতি এখনো স্ফটিক মনে পড়ে। এ ছবির কথা ভাবলেই নস্টালজিক হয়ে পড়ি। নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া। অলিভিয়া আমার সেই ক্ষুদ্র বয়সেই এক অপূর্ব রূপসী রাজকন্যার মতো আমার মানসপর্দায় দাগ কেটেছিলেন। ছবিতে দেখা তাঁর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি যেন এখনো চোখ বুজলে দেখতে পাই। পরের ছবি ছিল 'লুটেরা', সেখানেও অলিভিয়া। এর অনেক দিন পর দেখেছিলাম 'ছন্দ হারিয়ে গেলো'; আমার স্বপ্নের নায়িকার সাথে পুনর্সাক্ষাৎ ঘটলো। এ-ও প্রায় ২৫-৩০ বছর আগের কথা। এরপর অলিভিয়ার ছায়াছবি, স্টিল পিকচার, কতো না জায়গায় খুঁজেছি; এমনকি ইন্টারনেটেও অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাত্র একটা ছবি পেয়েছিলাম অন্য এক ব্লগারের সৌজন্যে গত বছর বা তার আগে।



এবার ইউ-টিউব ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ করে পেয়ে যাই 'প্রিয় তারকার কথা - অলিভিয়া' নামের ৭-৮ মিনিটের একটা ভিডিও ক্লিপ। আহ, কী যে আনন্দ, কী যে সুখ!। এরপর অলিভিয়ার আরও দুটো গান পেয়ে যাই, যা উপরের গানের তালিকায় ব্র্যাকেটে উল্লেখ করেছি। আমার বিশ্বাস, আপনাদের অনেকেরই অলিভিয়ার জন্য মন কাঁদে, যেমন কাঁদে আমারও। অলিভিয়া অন্তঃপুরবাসিনী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে, ভিডিও ক্লিপটি থেকে জানতে পারলাম। তিনি যেখানেই থাকুন, আমার প্রিয়তমা নায়িকা স্বপ্নকন্যার মতো আজীবন আমার মনের ভিতর থাকবেন।



আমার গানের ভাণ্ডার

গান শোনা ও সংগ্রহ আমার সখ, এটা আমার কাছের অনেকেই জানেন। সংগ্রহের তালিকা ধীরে ধীরে কম বড় হয় নি। একদিন পল্লীগানের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে হাজির হবো। আরেকদিন দেখাবো নজরুল গীতি ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিকা। আরেকদিন আমার সুদীর্ঘ তালিকা থেকে প্রিয় কিছু আধুনিক গান শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

যিনি ফুল ভালোবাসেন, তিনি মানুষ খুন করতে পারেন না; যিনি গান ভালোবাসেন তিনি অবলীলায় নিজেকে খুন করে ফেলতে পারেন- গানের কারণে- এর মতো সুখ আর হয় না। আমি একজন সুখী মানুষ। আমি একজন জনমদুঃখী অভাগা মানুষ। গান আমাকে মাঝে মাঝে কোথায় নিয়ে যায় আমি জানি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩
৫১টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×