somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবধান, মাথায় চক্বর দিতে পারে;);) ১০০ দ্বারা বিভাজ্য ইংরেজি সালগুলো লিপ-ইয়ার না, কিন্তু ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার কেন?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অঙ্ক দেখলে যাঁদের মাথায় চক্বর লাগে, তাঁরা দয়া করে ঢুকবেন না :( ঢুকলে পাগল হয়ে বের হয়ে যাবেন, এ গ্যারান্টি থাকলো:)

অঙ্ক ও ধাঁধা যাঁদের দারুণ শখের বিষয়, তাঁদের কাছে এটি খুব মজা লাগবে :) এটির অবশ্য কোনো গ্যারান্টি নেই:(:(

১০০ দ্বারা বিভাজ্য ইংরেজি সালগুলো লিপ-ইয়ার না, কিন্তু ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার কেন?

অঙ্ক ও ধাঁধা যাঁদের দারুণ শখের বিষয়, তাঁদের কাছে এটি খুব মজা লাগবে :) এটির অবশ্য কোনো গ্যারান্টি নেই :( :(

আমরা ৩৬৫ দিনে ১ বছর হিসাব করি। কিন্তু পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে মোট সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। এই অতিরিক্ত ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় অ্যাডজাস্ট করতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়, যে সালটাকে আমরা লিপ-ইয়ার বলি। ব্যতিক্রম হচ্ছে সে শতাব্দীতে যে শতাব্দীকে ৪০০ দিয়ে ভাগ করা যায় না। অর্থাৎ ১০০ দ্বারা বিভাজ্য ইংরেজি সালগুলো লিপ-ইয়ার না, কিন্তু ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার।

কীভাবে? ঐকিক নিয়মের অঙ্ক নীচে দিলাম। নিজ দায়িত্বে বুঝে নেবেন। অঙ্কটি কষতে কষতে চোখে এখন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না :( হিসাবে কিছু মিনিট বা সেকেন্ডের গড়মিল হতে পারে। সেটি আপনি নিজে করে আমাকে ধরিয়ে দিলে একটা ‘সুবিশাল ধন্যবাদ’ উপহার পাবেন :)

অঙ্ক ;) ;) ;)

প্রতি ১ বছরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার পর পৃথিবীর সময় বাঁচে (অর্থাৎ, সময় বাড়তি হয়)=৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।

প্রতি ৪ বছরে পৃথিবীর সময় বাঁচে/ বাড়তি হয় : ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড x ৪ = ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড।

প্রতি ৪ বছরে ১টি লিপ-ইয়ার দিবস অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা যোগ করা হয়।

লিপ-ইয়ারে যোগ করা হলো ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু বাড়তি সময় ছিল এর চেয়ে কম, যা হলো ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড। ফলে প্রতি ৪ বছরে (২৪ ঘণ্টা - ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড ) বা ৪৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় ঘাটতি থাকে।

অর্থাৎ প্রতিটি ৪র্থ বছর ধরা হয় ৩৬৬ দিনে, যদিও পৃথিবী ৩৬৫ দিন ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময়ে অক্ষপথে এক চক্র সম্পন্ন করার পর কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে পৌঁছে যায় (অর্থাৎ, অক্ষপথের 'ক' বিন্দু থেকে যাত্রা শুরু করে ৩৬৫ দিন ২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড পর ঐ 'ক' বিন্দুতে পৌঁছে যায় পৃথিবী। কিন্তু ১ বছর ধরা হয় আরো পরে, ৩৬৬ দিনে, যখন পৃথিবী 'ক' বিন্দু অতিক্রম করে আরেকটু দূরে চলে গেছে)। এর ফলে সময়ের হিসাবে প্রতি ৪ বছরে ৪৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় ঘাটতি থাকে।

প্রতি ১০০ বছরের (১ শতাব্দী) প্রথম ৯৬ বছরে ২৪টি লিপ-ইয়ার হয়।
২৪টি লিপ-ইয়ারে সময় ঘাটতি হয় : ২৪ x ৪৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ড= ১৭ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড।

অর্থাৎ প্রতি ১০০ বছরের প্রথম ৯৬ বছরে ২৪টি লিপ-ইয়ার দিবস যোগ হওয়ার ফলে মোট সময় ঘাটতি হয় = ১৭ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড।

আবার প্রতি ১০০ বছরের শেষ ৪টি বছরে সময় বাঁচে/বাড়তি হয় : ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড x ৪=২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড।

ফলে প্রতি ১০০ বছরে (১ শতাব্দী) সময় বাঁচে/ বাড়তি হয় : (২৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৮ সেকেন্ড - ১৭ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড)= ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

এবার প্রতি ৪০০ বছরের হিসাব হবে নিম্নরূপ :

প্রথম ১০০ বছরের পৃথিবীর বাড়তি সময়= ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

এভাবে প্রতি ৪০০ বছরে পৃথিবীর বাড়তি সময় : ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড x ৪= ২১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড

এবার প্রতি ৪০০তম বছরে একটা লিপ-ইয়ার দিবস যোগ করে দেয়া হয়, ফলে আবার সময় ঘাটতি হয় = ২৪ ঘণ্টা - ২১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড = ৩ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ড।

এভাবে প্রতি ৪০০ বছরে যদি ৩ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সময় কমে যায়, যার কোথাও কোনো হিসাব-নিকাশই রাখা হয় না, তাহলে কয়েক শ’ কোটি বছর পর এ বাড়তি সময়টা কীভাবে ম্যানেজ করা হবে তা নিয়ে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পৃথিবীর কারো কোনো মাথা ব্যথাই নেই, একমাত্র আমি ছাড়া :) তাই আসুন, পৃথিবীর বিজ্ঞানী সমাজকে সচেতন করার জন্য আজই পৃথিবী ব্যাপী আমরা একটা মানববন্ধনের ব্যবস্থা করি :)

বিঃ দ্রঃ আপনার প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাকে এবার এ ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলুন। আপনি ওর কাছে 'হিরো' বনে যাবেন, যদি ঠিকঠাক মতো বোঝাতে পারেন :) :) এর উলটোটার জন্য দায়ী আপনি নিজেই :) উল্লেখ্য, এটি ওদের অঙ্ক বইয়ের তথ্য যে, ১০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার না, যদিও বইতে কোনো ব্যাখ্যা নেই :( :(

কী, আমি কি বলি নি, অঙ্কে মজা না পেলে ঢুকবেন না? এবার বুঝুন মজা!!

আর যাঁরা মজা পেয়েছেন, নিজ দায়িত্বে ছোট্ট একটা হাততালি দিয়ে দেবেন :)

;) ;) ;) ;)

;) ;) ;) ;)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
২৯টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×