somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু কবিতা হারিয়ে গিয়েছিল, আজ তা কুড়িয়ে পেয়েছি। কিছু কবিতা ফেলে দিয়েছিলাম, সেগুলোকে আজ তুলে আনলাম। মনে হতে পারে- কিছু কবিতা লিখেছিল অহনা, কিছু প্রমীলা। হয়তো ভাববেন- কিছু আছে না-কবিতা- অহনা বা প্রমীলার ডায়েরির পাতা ফুঁড়ে আস্ত উঠে এসেছে ‘রাফখাতা’য়। সব লেখাই পুরোনো, ২০০৯ বা তার আগে লেখা। এসব কবিতা জড়ো করার মধ্যে বিড়ম্বনা ছিল প্রচুর, প্রচুর ছিল বেদনাও। কিন্তু সব ছাপিয়ে আমি একটা ঘোরের মধ্যেই ছিলাম, এবং আছি। আমার কাছে এগুলো সোনাখণ্ড। কারো কাছে অবশ্যই ধুলোবালি বা ছাই।

আমার সব লেখা একদিন খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তো প্রমীলা; এক সময় অহনার কাছেও সেগুলো খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। আমি এই মহীয়সী মানবীদের কাছে ঋণী। তারপর তাদের দেয়া কাঁটা আমাকে যে বেদনা দিয়েছিল, সেই বেদনার ভেতর থেকেও যাদের নাম অবচেতনে গেয়ে উঠতাম - তারা অহনা, এবং প্রমীলা।

পুরোনো কথা

একটি পুরনো খাঁচা; ভাঙা
একজন পুরোনো বন্ধু, বিশ্বস্ত বাঘ
কপালে একটি টিপ; স্মৃতির

তুমি সনাতনী বিগ্রহ
তুমি উচাটন চুম্বন
তুমি বিষধর পেলবতা
তুমি ক্ষয়িষ্ণু সঙ্গম

একটি মুমূর্ষু কবিতা
একটি বিষণ্ণ ঝড়
একটি বিরান দুপুর
একটি করুণ জানালা

একটি পুরোনো খাঁচা, শূন্য, খাখা
একজন পুরোনো বন্ধু, দূরের জানালা
তোমার কপালে টিপ, উজ্জ্বল কলঙ্করেখা

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯


হে!

আমাকে দহন দিয়েছ তুমি
নিজে অদাহ্য ঘাস
উঠোনে মহান মরুভূমি
বালুর ভেতরে বাস

তুমি রোদ হয়ে যাও
উদ্‌ভ্রান্ত প্রজাপতি আমি
তুমি সব ফেলে দাও
শস্যের অনাবাদী জমি।

তোমাকে আমারই হতে হবে হে সোনালি বুক
ব্যত্যয়ে বিষ দাও, কিনি মৃত্যুঞ্জয়ী সুখ।

২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮


হায় মেঘ

হায় ছন্নছাড়া মেঘ, বিশুদ্ধ বাতাসের ফেনা
তোমাকে ধুয়ে দিল দিগম্বর শব্দেরা

তোমার চৈত্রনিদাঘী জ্বালা
অন্ধ দিনের ছায়ায় আমাকে কাঁদালো একবেলা

তুমি কি নিমগ্ন স্রোতের টানে টানে
ভুলে যাওয়া পথের সন্ধানে?
ফিরে এসো; পুরনো শিশির
দেখো সুর তোলে বিধুর স্মৃতির।

৫ মার্চ ২০০৯


অনির্বাণ ভূমি

দাঁড়ায় সে সূর্যের ছায়ায়, আঙুলে খেলা করে দুপুরের মেঘ
ঘুমের শরীরে ফোটে রতিরেণুবেগ

আমি তার প্রিয় ভূমি, উর্বরা সুফলা জমিন
একাল-ওকাল সুখ দিই চিরদিন

তবু তার দেখি চোখ তারায় তারায় ওড়াউড়ি
সুফলা জমিনখানি অলখিতে খরদাহে পুড়ি

৩১ মার্চ ২০০৯


অমরাবতীর দাসী

তোমার অভাব ছিল না
অথচ ডেরার ভেতর দুটো বাঘ তখনো দাও দাও চোখে
শাণিত করে জিভ
আমি কি বন্ধকী ঘরে সময়ের সাথে করে যাব খেলা
গোবাক্ষ পথের ছায়ায়?

শূন্যে আমার হাসি
বিকেলের ফুলে ফুলে মেঘরং প্রজাপতি ওড়ে
আলোকবর্ষ পার হয়ে যায়; আমি বেঁচে থাকি অমরাবতীর দাসী

৪ এপ্রিল ২০০৯


যেজন্য প্রতিদিন বেঁচে থাকি

প্রতিদিন শব্দ কুড়োই

রাতেঝরা বকুলকুঁড়িরা বিষণ্ণ সুবাসে
আর্ত হতে হতে
ক্রমশ দীর্ঘশ্বাস
আমি তার কুড়োই হাহাকার
অভিধানবৃক্ষে রাখি বীজের সমাহার

তুমি তো শব্দ বোঝো না
বোঝো না কবিতা ও সঙ্গীত, অথবা গোলাপ
অথবা বরষা, অথবা আষাঢ়ে বাদল, শরতের মেঘ
তবুও শব্দ কুড়োই প্রতিদিন

মূলত প্রেমেই ভুবন; সৃষ্টি ও ধ্বংস; শান্তি ও যুদ্ধ;
আর সবই প্রেমের ফসল
শব্দেরা প্রেমের যমজ

আমি তাই ভীষণ
প্রতিদিন শব্দ কুড়োই
আর বেঁচে থাকি প্রেমের জন্য।

২৫ মার্চ ২০০৯


তোমার বয়স বাড়ে

তোমার বয়স বাড়ে
তুমি হাসো, অমনি সূর্যরা হেসে ওঠে মহাকাল পর
গোপনে গন্ধ ছড়ায় ত্রিশ লক্ষ ফুল
আর তার পাঁপড়িরা উড়ন্ত মেঘের মতো মেলে ডানা
তুমুল আঙ্গিনায়, এমনি
তোমার বয়স বাড়ে প্রতি ভোরে ভোরে

কেন তুমি নীরবে কাঁদো, অলক্ষে অশ্র“, কখনো বা;
ধুয়ে ফেলো ম্লান মুখ
প্রাণোচ্ছল গাংচিল চুমু দিয়ে যায়
তোমার নদীতে, ছুঁয়ে দাও নরম শরীর
প্রতিদিন হেসে ওঠো, হেসে ওঠো আকাশ বিথারি

ত্রিশ লক্ষ অজর কুসুমের গাছ, অনির্বাণ গন্ধ দাও
আর দাও খলখলে, উজ্জ্বল হাসি।

২৬ মার্চ ২০০৯


একদিন কী হলো

একদিন কী হলো, দুঃখবতীর নামটি হলো সুখস্বিনী,
সুখবতীর নামটি ছিল হাসনাহেনা;
হঠাৎ হেরি হাসনাহেনায় গরলনদী, তুফানদিনে তুমুল সুবাস আর বহে না।
তোমরা কহো ঐ মেয়েটি বিষবিছুটি, যেমনতরো পাড়ার ছিনাল...
কেমন করে বোঝাই বলো, তার সকাশে জিয়নকাঠি,
তার সকাশে আমার ত্রিকাল!


সুদূরবাসিনী

চিরকাল শূন্যে থাকে ভেসে
পায়ে তার মেঘ ও আসমান
মহাকাল ক্ষয়ে ক্ষয়ে স্থৈর্য্যে মেশে
তাকে দেখি অনশ্বর, তীব্র দৃশ্যমান

আমি তার স্বর্ণশরীরে গলে যেতে চাই
চাই তার এককণা বাহুর বিভূতি
আমারে যে ভুলে গেছে, মনে রাখে নাই
সুদূরবাসিনী মেয়ে অরুন্ধতী।

৩০ মার্চ ২০০৯


আগামী দিনের কাছে

একটি অন্ধকার দুপুর সূর্যকে ঢেকে দিয়ে
দাঁড়ালো ঘড়ির কাঁটায়। পথের পালকে প্রজাপতি মেললো পাখা
পাখিদের পায়ে পায়ে
একটি ঝাঁঝালো দিনের গান সহসা থেমে গেলো তার কিছু আগে

আমাকে বনের হাওয়ারা চিরদিন ডাকে ওদের শরীরে মাখি রং
অনেক অনেক কথা জমা হয়ে গেছে, বর্ষারাতের জমেছে ইতিহাস

এবার আমাকে ফিরে যেতে হবে, নদীরা ভরে গেছে প্লাবনে
তোমারও যদি কিছু গান থাকে, তুলে রাখো, কোনোদিন শুনে নেব সঙ্গোপনে

৩ এপ্রিল ২০০৯


তাহাদের ইতিকথা

রাতভর তাস খেলে, জুয়া খেলে, মদ ছুঁতে ছুঁতে সরে আসে নারীর শরীর ভেবে
তারপর গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠে বয়েতী গীত
তাহাদের কোনো দুঃখ ছিল না, নারীরাও দুঃখের মতো গাঙের তুফানে
ভেসে গেছে বহুকাল হলো। এসব শুধু
মরে যাওয়া পুকুরের নিভে যাওয়া ঢেউয়ের ইতিকথা

তারার স্বননে আলোরা নাচে জোনাকি ও ঝিঁঝিদের সাথে
পাপিষ্ঠ পাখিদের মুমূর্ষু চোখ নেশা ও জিঘাংসায় জ্বলেপুড়ে ছারখার
আমাদের তাহারা ভুলে গেছে গাছেদের ঋণ, জ্বলিবার স্বাদ। এসব শুধু
মরে যাওয়া পুকুরের নিভে যাওয়া ঢেউয়ের ইতিকথা

৬ এপ্রিল ২০০৯


রঙের প্রতীতি

জলের কোনো রং ছিল না, তাই জলের রং জলরং হলো
আকাশেরও তেমনি আকাশী
আর বাতাসের রং আবিষ্কৃত হলো না আজও

তুমি জলরঙা হলে ক্ষতি ছিল না
আকাশী হলেও ছিল না আক্ষেপ
রঙের প্রতীতি বুঝে চিরটাকাল তুমি রংহীন রূপ নিলে

৭ এপ্রিল ২০০৯


একটা অচিন গাছের ছবি

প্রতিদিন একটা গাছের ছবি আঁকি
গাছটা দেখি নি কোথাও কোনোদিন
তার ডালপালা ফুলফলপাতা নদীপাড় পাখপাখালির পরিণাহ
অদ্ভুত ছায়া ফেলে আঙুলচুড়ায়
আমি আঁকি
কিংবা আর কেউ
তাকেও চিনি না জানি না দেখি নি কষ্মিন যুগেও

গাছেরা কি কথা বলে? ছায়া ও ছবিরা? বলে,
আর তারা কোরাস গায়, দল বেঁধে নাচে, শোনায় ইতিহাস :

মানুষ নাকি গাছ আর গাছেরা মানুষ
হাড্ডিসার গাছ দেখে মানুষ চমকালো যেদিন
ঘরকুনো পাখিরা নদীমুখো হলো
আর বৃক্ষের বীজেরা খুঁজে নিল মানুষের ওম

মানুষ মানুষ হয়ে গেলে হয়ে যায় পাখিদের গাছ
এককালে বয়রা বিটপীর বীজতলাও বানভাসী হয়
আমরা তখন মৃত বায়সের শুকনো হাড় খুঁজি

প্রতিদিন একটা অচিন গাছের ছবি আঁকি
আমি কিংবা অচেনা একজন

১৩ এপ্রিল ২০০৯


খুব ধীরে সে এগোয়

খুব ধীরে সে এগোয়
সন্ধ্যার সারসেরা পূবের তীর্থে অর্থী হতে হতে
পরিণেয় নদীর নাভিতে ডুবে গেছে ঝিমধরা দিন

তীয়রী নারীর হর্ষফলায় এখন শুধু ফালি ফালি কাটা ঢেউ

১৪ এপ্রিল ২০০৯


এক সুপরিচিতার কথা

আগুন ও বরফে দেখা যেতো তাকে
পৃথিবীর নিয়মে অনীহা প্রকট, কদাচিৎ আমাদের ডাকে
সদাশয় সমাবেশে বসতেন তিনি
তাই তাঁর কাছে আমরা খুব সামান্যই ঋণী

তাঁর ছিল বিরল বৈভব; সমুদয় করেছেন অপাত্রে দান
আজ তিনি ভিখারিনী, সকাতরে সেই ধন খুঁজিয়া বেড়ান।

১৪ এপ্রিল ২০০৯


মরীচিকা

চোখে এক উদ্‌ভ্রান্ত দিকচক্রবাল
বিন্ধাচলের নৈঃশব্দ্য নিয়ত শাণিত করে দিঘল সন্ধ্যাকে
প্রতি পূর্ণিমায়
বুকের ভেতর পূর্বজনমের সুর ও ক্রন্দন ফুল হয়ে ফোটে
তারপর করুণ আলোর মতো গলে গলে পড়ে ভোর হবার অনেক অনেক আগে

সে এক বিপুল জীবনের নেশা
আমাকে শুনিয়েছিল অতিশয় রূপকথা আর অলৌকিক সন্ন্যাসের আশ্চর্য কাহিনী

আমিও সন্ন্যাসে যাবো, ঘর ছেড়েছি সেই কতোদিন

সর্বব্যাপী ক্ষোদিত তার নাম। নামের লাভায় তৃষ্ণার্ত হাত রাখি
আর নিরন্তর পুড়ে পুড়ে ক্ষয় হয়ে যাই, নিঃশেষে ছাই হয়ে যাই

২৪ এপ্রিল ২০০৯


সে

তার নামডাক খুব শুনি, কখনো দেখি নি
মাঝে মাঝেই অচেনা মনে হয়, অথচ সতত তাকে চিনি

বেলা-অবেলায় ডাক পাঠায় দূরে বসে বসে
এমন নিষ্ঠুর বন্ধু সে

১৫ মে ২০০৯


আঙারধানী

তাকে রোজ রাতে দেখি- গভীর দরজা ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়ে
তারপর গানের শরীরে
আচানক দাউ দাউ আগুন জ্বেলে বেখেয়ালে তীব্র হেসে ওঠে
কখনো কখনো একলা একলা পুরোটা দুপুর ডেকে ডেকে
ঘূর্ণি তোলে উতলা নির্জনতায়

কেউ জানে না এতোকাল কারে খোঁজে নিশাচর উদাস রাখাল
আমি তার অরূপ আগুনে পুড়ে পুড়ে নিশিকাল ছাই হয়ে যাই

১৭ মে ২০০৯


যারা আমায় কষ্ট দিয়েছো

যারা আমায় কষ্ট দিয়েছো আর ক্রূর হাস্যে দলে গেছো থোকা থোকা কচি ফুল
প্রত্যেক পদাঙ্করেখায়, মনে রেখো, তোমরাই লিখে গেছো নিভৃত ইতিহাস

ইতিহাস মহীরুহ, সর্বভূক নদী
প্রত্যহ বীজ বুনি, সারে সারে তোমাদেরও নাম লিখে রাখি

১৩ আগস্ট ২০০৯


একজন অচেনা মানুষের কথা

তার কোনো মন্তব্য জানা নেই। প্রায়শ ভোর ভাঙে বিক্ষুব্ধ বিতণ্ডার ভেতর- মন্তব্যে নিষ্ক্রিয়তার সুফল-অফল বিষয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবনায়; আর মাঝে মাঝে বিগড়ে যায় মাথা, তখন চক্ষে সর্ষে ফুল ফোটে, এবং ক্রমশ মাথার চুল ছিঁড়ে অপরাধ বোধে। তার খোলশের ভেতরও আসলে অনেকগুলো খোলশ নিজেকে লুকোবার- কোন্‌টা সহজাত আর সমৃদ্ধ, তা সে ভুলে গেছে বহুকাল হলো। মূলত, তার কোনো নির্দিষ্ট নিশানা নিজের কাছেও অনেক অচেনা।

সে সিগারেট খায় আর গান গায়, কবিতা লিখে আর তা পোড়ে। তার সুদর্শন অবয়বে মরীচিকা। সে হাসে না, কাঁদে না; ব্যাপক প্রস্তুতির পর ঝড়দাহ মন্তব্য লিখতে বসে আচানক থেমে যায়- তার কোনো মন্তব্য জানা নেই।

২ সেপ্টেম্বর ২০০৯


অলৌকিক নদী

পাতার শিয়রে শিশিরের রং মেখে রৌদ্ররা বালুহাঁস
অখণ্ড জমিনে বার মাস তুলেছো দেয়াল রাতকে সাক্ষী না রেখে
অমোঘ শব্দব্যাধ ক্ষেপে গেলে শব্দের সংহারে
তুমিও পক্ষ নিয়েছ নিঠুর নিয়তির

আমি আর ভেজাবো না ঘাসপাতা জোছনার রং মেখে
অখণ্ড জমিনও নিলামে উঠুক
এসব শব্দাশব্দ খেলাগুলো নির্জন রাস্তায় তুলে রাখো

পাহাড়ের ওধারে শুকনো নদীরা- পাখিদের সাথে জলকেলীরঙ্গে
আমিও নাববো এবার

১৮ অক্টোবর ২০০৯ রাত ১:২২


আর যাবো না

বর্ণঘোর কোলাহলে
আর যাবো না

কোনো কোনো সুখ বুকে বিঁধে থাকে অদৃশ্য কাঁটার মতো
যুগপৎ ব্যথা ও দহন আনে প্রতি পূর্ণিমায়
পুরোনো প্রিয় সঙ্গীতের মতো তাকেও বারবার ছুঁই আর কাঁদি
এসব যন্ত্রণার কথা- যা তুমি বোঝো নি ভুলেও
বুঝেছো নিয়ম করে ভুলে যাবার সকল নিয়ম

একলা একটা পথ হেঁটে যায় সুদূর প্রতীপে
তুমি যাও, যেয়ো...
আমি আর যাবো না কোথাও- সুফলা সুন্দরে

২৭ অক্টোবর ২০০৯ রাত ১:২৫


সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই


বিন্দু বিন্দু সোনাবীজ বুনে যাই প্রত্যেক প্রহরে, খামারে খামারে
বোশেখের বৃষ্টিতে বিরান চৌচির গলবেই
আর
ভুঁই ফুঁড়ে উঁকি দেবে স্বপ্নময় অজস্র চোখ সমুদ্র সুনীলে

সোনাগাছ শস্য দেবে, ঘরে ঘরে
জীর্ণ ডানা ঝেড়ে ফেলে আমুদে পাখিরা নেবে নতুন পালক


অতঃপর এক লোকমা ধুলোবালিছাই আসমানে ছিটিয়ে দিলাম

তারপর তাকিয়ে দেখুন দুরবিনে
একেকটা দানা ছড়িয়ে পড়লো হিমাদ্রিপাখায়
আর তাবৎ ভূ-সমুদ্রে, অলক্ষে, অদ্ভুত বিচিত্রতায়।

৮-২২ আগস্ট ২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩০
৬৫টি মন্তব্য ৬৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয় দিবসের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানিয়ে । সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ২০২৫, ১৬ই ডিসেম্বর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯




দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের এক সাগর রক্তের বিনিময়। দুই লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হারানো। লক্ষ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত‍্যু। এক কোটি মানুষের বাস্তুহারা জিবন। লক্ষ কোটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×