আমি কোনোদিন সেরা হতে পারি নি- না প্রেমে, না যুদ্ধে। আমি পাঠ করেছি প্রেম, কাগজের হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে তীব্র ফুঁসে উঠেছে সাপ অথবা আগুন। আমি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছি নিজের কোনো অনুমতি ছাড়াই। আমার শত্রুরা আমার হাত হতে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে আমাকেই খুঁচিয়ে বিপর্যস্তু করে জয়োল্লাসে দূর্গে ফিরে গেছে।
আমি কোনোদিন সেরা হতে পারি নি। আমি হেরে যেতে যেতে, মৃত্যুর দরজা থেকে কোনোরূপে ফিরে এসে প্রকাণ্ড পাহাড়চূড়ায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে আসমানে তাকিয়ে দেখি, ‘স’ ও ‘ব’ বর্ণের যে-দুটি পাখি আমার বাবা আমাকে বাল্যকালে উপহার দিয়েছিলেন, নক্ষত্রের মতো এখনো তারা দারুণ জাজ্বল্যমান। আমি হাত বাড়িয়ে তাদের ছুঁতে যাই। অমনি পা ফস্কে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পড়ে যেতে থাকি। পড়ে যেতে যেতে, যেতে যেতে, বিকট গহ্বরে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে আমি দেখি- আমার অবসন্ন দেহটি একজোড়া পাখার উপর নরম আরামে ভাসছে।
১৫ অক্টোবর ২০১৪
উৎসর্গ
সেরাদের ভিড়ে আমি কোনোদিনই ঠাঁই পাই নি। বউচি অথবা গোল্লাছুট খেলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পা জখম হয়ে গেলে সবাই আমাকে ধাক্কা মেরে দলের বাইরে ছুঁড়ে ফেললে শবনম শায়মা ওর নরম চোখ দিয়ে আমার হৃদয় ছুঁয়েছিল।
তোরা সেরাদের দলে নাম লিখিয়ে নে। আমি শবনম শায়মার হৃদয়ে আজীবন ঘুমিয়ে কাটাতে চাই।