কবিতা কিংবা গদ্যর ভিতরকার সব পার্থক্য বিলীন হয়ে সকল কবিতা গদ্যর ভিতর, কিংবা সকল গদ্য কবিতায় ডুবে গিয়ে একাকার হবে। আমাদের লেখাজোখার আদিরূপ পদ্যনির্ভর ছিল, যা ছিল বেজায় আভিজাত্যের প্রতীক। এরপর আমরা গদ্যেই উৎকর্ষ হয়েছি বেশি কবিতার চেয়ে, আর কবিতা এখন তুমুল গদ্যমুখী।
৪০ শতকের সরহপাগণ গদ্যে আধুনিক চর্যাগীতিকা লিখবেন; একজন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অথবা ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘মেঘনাদ বধ’ কিংবা ‘গীতাঞ্জলি’র মমি খুঁজে বেড়াবেন বাংলা থেকে বাংলান্তরের গ্রন্থকুঞ্জে। এসব বড্ড দুষ্প্রাপ্য মহামূল্য ফসিল! একেকটা প্রাপ্তি একেকটা দিগ্বিজয় আর বিস্ময়ের ঘোর।
কখনো ভয় হয়, তাঁরা হয়তো হেসে কুটিকুটি হবেন আমাদের এ যুগের কবিতা পড়ে।
৪ মে ২০০৯
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




