সে কবিতা লিখতো, আমিই তার প্রথম পাঠক ও শ্রোতা। কবিতা পড়তে পড়তে মনে হতো, কবিতার মানুষটাও নির্ঘাত আমিই।
সে নিমগ্ন ছিল এক মনস্বী পুরুষে। তার কথা এতো বেশি পাড়তো যে, লোকটার সবগুলো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বৈশিষ্ট্য, খুনসুটি আমার মুখস্থ হয়ে গেলো। এবং আশ্চর্য কথা কী জানেন, সেই মানুষটা আর আমার মধ্যে আচরণ বা বৈশিষ্ট্যগত কোনো তফাতই ছিল না। অর্থাৎ, আমিই সেই কবিতার পুরুষ।
গভীর আবেগে সে যখন কবিতা পড়তো, প্রতিটা উপমা উচ্চারণের সময় সে যখন সূক্ষ্ম ভুরু ও সরু চোখ নাচিয়ে আমার দিকে তাকাতো, সুনিশ্চিত মনে হতো- এই মহান ও ভাগ্যবান পুরুষটি আমি ছাড়া আর কেউ হতে পারে না।
আমার হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে একদিন কথাটা বেরিয়ে গেলো, ‘বল পাখি, লোকটা কি আমি নই?’ আমার অপরাধ ছিল এটাই। তারপর আর কোনোদিন সে আমাকে কবিতা সাধে নি।
তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বহুকাল হলো। এখনও তার কবিতা গোগ্রাসে পড়ি। এখনও তার প্রতিটা শব্দ ও অক্ষরে আগের মতোই বিপুল আকুতি। আকুল হয়ে তার কবিতায় আজও আমি সেই অদৃষ্ট পুরুষের পরিচয় খুঁজি।
২৪ নভেম্বর ২০১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




