এক ব্লগে এক পাঠক এই উদ্ধৃতি টি পাঠিয়েছিলেন, “সুরা আহযাবের ৫৬-৫৭ নং আয়াত দ্বয়ে বলা হয়েছে ফেরেশতাগণ তো বটেই স্বয়ং আল্লাহপাক আমাদের রাসুল(সাঃ) এর নামে দরুদ পাঠ করেন।”
উপরোক্ত আয়াতটিকে যথেচ্ছ অপব্যবহার করে আমাদের রসূল ছঃ কে মহামানব এবং শ্রেষ্ঠ রসূলের মর্যাদা দিয়ে তার প্রশংসায় আমরা এমনই পঙ্চমুখ হয়ে উঠি যে, আমরা ভুলে যাই , “সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।”
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
‘য়ুসাল্লুনা, সাল্লু’ (একই শব্দের বিভিন্ন রূপ, যেমন বাংলায় করি, করে, কর) শব্দের মানে করা হয়েছে ‘দরুদ পাঠ করা’। যদিও শব্দার্থটি ভুল, তবুও আলোচনার খাতিরে মেনে নিলাম মানে ঠিকই আছে।
দরুদ কি? দরুদ হচ্ছে একটি দোয়া। (” আল্লাহুম্মা সল্লে আলা মুহাম্মাদেও অলা আলে মুহাম্মাদেন , কামা ছাল্লায়তা আলা ইব্রাহিমা —–) মানে, হে আল্লাহ, মুহাম্মদ ও তার পরিবারের প্রতি দরুদ(সল্লে) পাঠাও , যেমন ইব্রাহিম ও তার পরিবারের প্রতি পাঠাতে,-.। তাহলে দরুদ কি, কিছু কি পরিস্কার হোল এই দোয়া থেকে, যা আমরা প্রতিনিয়ত পাঠিয়ে চলেছি রসূল ছঃ এর প্রতি। আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগন এই দরুদ পাঠান, মানে আল্লাহ নিজেই নিজের কাছে দোয়া করেন, মানে হয় কিছু? উপরন্তু এই দরুদ কিন্তু কোরানের কোথাও পাবেননা। এটা মানব রচিত যা আমরা প্রতিনিয়ত প্রতি নামাজের শেষে পাঠ করে চলেছি।
জ্ঞানীজনরা বলে থাকেন কোন আয়াতের মানে বুঝতে হলে পুরা সুরা পড়া উচিৎ। আপনি যদি পুরা সুরা পড়েন তবে দেখবেন, আল্লাহ, রসূল ছঃ এর জীবদ্দশায় তার নিজের, তার পত্নীগণের ও তার সঙ্গী বিশ্বাসীদের কর্তব্য কর্মের বিধান দিয়েছেন এই সুরায়।
‘য়ুসাল্লুনা’ মানে হবে সাহায্য করা (support). কিভাবে বুঝলাম? এই সুরার ৪৩ নং আয়াত পড়ুন, “আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করতে সাহায্য (য়ুসাল্লি, একই শব্দ ব্যবহার করা হইয়াছে) করেন।”
এখন য়ুসাল্লি মানে যদি হয় দরুদ পাঠানো , তাহলে প্রতিটি ঈমানদারের প্রতি ৪৩ নং আয়াত অনুযায়ী সকাল সন্ধ্যা দরুদ পাঠাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




