আল্লাহর রসুলকে না মানিলে মুক্তি নাই ।
“ বল (ও মুহম্মদ) যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরন কর। আল্লাহ তাহলে তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের সকল গোনাহ্ মাফ করিয়া দিবেন। আল্লাহ মাফকরনেওয়ালা , দয়ালু। বল, আল্লাহ ও রসুলের আনুগত্য (মান্য) কর। এরপরও যদি তাহারা ফিরিয়া যায় , তাহলে আল্লাহ ভালবাসেন না
অস্বীকারকারীদেরকে।” (সুরা ৩ আলেইমরান, আয়াত ৩১-৩২)
“তোমরা নামায কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং রসুলের আনুগত্য কর, যদি দয়া পাইতে চাও।” (সুরা ২৪ আল নূর, আয়াত ৫৬)
“যে রসুলের আনুগত্য করে , সে আল্লাহরই আনুগত্য করে এবং যাহারা ফিরিয়া যায় আমি তোমাকে তাহাদের অবিভাবক করিয়া পাঠাই নাই। (সুরা ৪ আল নিসা আঃ ৮০)
“বল আমার ক্ষমতা নাই তোমাদের কোন ক্ষতি করার বা উপকার করার। বল নিশ্চয় কেউ আমাকে রক্ষা করিতে পারিবে না আল্লাহর পাকড়াও থেকে এবং তাহার কাছে ছাড়া অন্য কোথাও আশ্রয় পাব না। আল্লাহর ঘোষনা ও বাণী পৌছিয়ে দেয়া ছাড়া আমার কাজ আর কিছুই নয় এবং যে কেহ আল্লাহ ও তাহার রসুলের কথা অমান্য করিবে , তবে নিশ্চয় তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের আগুন, যেখানে তাহারা অনন্তকাল থাকিবে।” (সুরা৭২ আল জিন, আয়াত ২১-২৩)
রসুলের আনুগত্য (মান্য) করা শর্তযুক্ত।
“ও নবী, যদি তোমার কাছে মুমিন নারীগণ আসিয়া বয়াত করিল যে, তাহারা আল্লাহর সহিত কোন কিছুর শরীক করিবে না, চুরি, জেনা ও সন্তান হত্যা করিবে না, অথবা নিজেদের হাত পা র মধ্যে মিথ্যা সৃষ্টি ( বানাইয়া মিথ্যা বলা) করিবে না বা তোমাকে অমান্য করিবে না যখন তুমি সঠিক নির্দেশ দাও, তবে তাহাদিগকে বয়াত কর ও তাহাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।”
(সুরা ৬০ মুমতাহিনাহ আয়াত ১২)
কুরআনে বর্ণীত হইয়াছে যে, রসুলের আনুগত্য (মান্য) করা অত্যাবশ্যকীয়, যখন তাহার সকল কাজ ও বাণীর উৎস আল্লাহ, কিন্তু তাহার নিজস্ব মত তাহার জন্য বা যাহারা তাহার নিজস্ব মতের অনুসারী, তাহাদের জন্য ক্ষতিকর হইতে পারে।
“ তোমার যত কিছু কল্যাণ হয় তা আল্লাহ হইতে এবং যত কিছু অকল্যাণ হয় , তা হয় তোমার নিজের হইতে। আর তোমাকে মানুষের জন্য পাঠাইয়াছি রসুলরূপে, এ ব্যাপারে আল্লাহর সাক্ষ্যই যথেষ্ট।
(সুরা আন নিসা ৪ আয়াত ৭৯)
ইহা হইতে কি প্রতীয়মান হয় না যে মুহাম্মদ এর নিজস্ব মত মন্দ হইতে পারে বা অকল্যাণের কারণ হইতে পারে। অন্যদিকে রসুলরূপী মুহাম্মদ আল্লাহর কথা (কুরআন) প্রচার করেন। রসুল মুহাম্মদের আনুগত্য (মান্য) করা অত্যাবশ্যকীয় কারন তখন তিনি আল্লাহর (কুরআনের) নির্দেশ অনুসারে চলেন।
উপরন্তু কুরআন হইতে আমরা এই শিক্ষ্যা পাই যে, মানুষ মুহাম্মদ ভয়ানক কিছু ভূল করিয়াছেন:
“ স্মরণ কর, যাহার উপরে আল্লাহর অনুগ্রহ রহিয়াছে এবং তোমার ও অনুগ্রহ রহিয়াছে, তাহাকে বলিয়াছিলে : ‘তোমার পত্নীকে ত্যগ করিও না এবং আল্লাহকে ভয় কর’, এইভাবে তুমি গোপন করিতেছিলে তাহাই, যাহা আল্লাহ প্রকাশ করিতে চাহিয়াছেন। কারন তুমি মানুষকে করিতেছিলে ভয়, বস্তুত, তোমার আল্লাহকেই ভয় করা উচিৎ ছিল। পরে জায়েদ (মুহাম্মদের পালিত পুত্র) তাহার পত্নীকে ত্যগ করিলে তোমার সহিৎ তাহার বিবাহ দিলাম, যেন বিশ্বাসী মানুষের মনে কোন সংশয় না থাকে যে, পোষ্যপুত্রদের তালাকপ্রাপ্তা পত্নীকে বিবাহ করায় দোষ নেই। আল্লাহর আদেশ পালিত হইয়াছিল।”
(সুরা ৩৩ আহযাব আয়াত ৩৭)
“ সে (মুহাম্মদ) ভ্রুকুঞ্চিত করিল ও চলিয়া গেল, যখন তাহার কাছে অন্ধ মানুষটি আসিল। তুমি তো জানো না, হয়তো সে পাক হইবে অথবা তোমার ঊপদেশ নিবে এবং সেই উপদেশ হইতে সে উপকৃত হইবে। কিন্তু যে বিত্তবান, তাহার জন্য তুমি মনোযোগী। অথচ সে পাক হইবে কি না তাহা তোমার দায়িত্ব নয়। আর যে তোমার কাছে দৌড়ে আসে এবং সে ভীত, তার প্রতি তুমি উদাসীন। কখ্খনো নয়, নিশ্চয় ইহা স্মরণ করার জন্য, যাহার ইচ্ছা সে উহা গ্রহণ করুক।”
(সুরা ৮০ আবাসা আয়াত ১২ )
কুরআনে দুইটি আয়াত আছে, যেখানে নবী মুহাম্মদ কে বর্ণনা করা হইয়াছে যে , তিনি আমাদেরই মত একজন মানুষ।
“ বল (ও মুহাম্মদ ), আমি তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ, আমার প্রতি অহী আসে যে, তোমদের আল্লাহই একমাত্র উপাস্য, সুতরাং যাহারা স্বীয় রব্বের সহিত সাক্ষাতের বাসনা রাখে, সে যেন সৎকর্ম করে, আর কাহাকেও যেন নিজের রব্বের ইবাদতে শরীক না করে।”
(সুরা ১৮ আল কাহ্ফ আয়াত ১১০)
“বল (ও মুহাম্মদ), নিশ্চয় আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ, আমার প্রতি অহী আসে যে, তোমাদের মাবুদই একমাত্র উপাস্য, সুতরাং তাহারই দিকে দন্ডায়মান হও এবং তাহার কাছে ক্ষমা চাও। মুশরিকদের জন্য পরিতাপ। (সুরা ৪১ ফুসিলাত আয়াত ৬)
কাকতালীয় কিনা জানিনা, তবে উপরোক্ত আয়াত দুইটিই শেষ হইয়াছে শির্ক হইতে সাবধান করিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





