আমার হাদীস ও সুন্নাহ পোস্টে তাহসিন আলম নিম্নের কমেন্ট টা করেছেন। আপনাদের কি অভিমত?
তাহসিন আলম বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরুর পর সম্প্রতি কয়েকজন ইসলামিক বুদ্ধিজীবির সাথে আমার পরিচয় হয়েছে- অন্তত আমি যতটুকু বুঝতে পারলাম হাদীস মুসলিম জাতির জন্যে একটা বোঝা। এরা অনেক কিছু করতে পারতো, পৃথিবী এবং সভ্যতাকে নিয়ে যেতে পারতো বহুদূর। সাহাবীরা যেরূপ করেছে বিশ্বসভ্যতা গঠন, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা, দ্রারিদ্রতা ও নির্যাতন নির্মূল। এটা শুধু মুসলমানরাই করতে পারতো। কারণ তাদের কাছে বিস্ময়কর গ্রন্থ কুরআন আছে।
একটা ভালো গাড়ীর মত যেটা মানুষকে খুব দ্রুত কাংখিত গন্তব্যে যুদ্ধহীন ক্ষুধাহীন পৃথিবী গড়ে দিতে পারে। কিন্তু সেই গাড়ীটাতে তারা অনেক বানানো হাদীস রূপী আবর্জনা গাড়ীতে স্থান দিয়েছে। পৃথিবীর যুক্তিশীল মানুষ বলছে এ গাড়ীতে উঠবেনা, যদিও তারা অনেকে মনে করে ইসলামই একমাত্র সমাধান সভ্যতার এই সংকটে।
এই বিশাল আবর্জনার স্তুপধারী হাদীস গ্রন্থগুলো নিয়ে মুসলিম জাতিটাই পৃথিবীর জন্যে একটা আবর্জনা। তারা কুসংস্কার, পশ্চাৎদপদতা, বিভিন্ন প্রকার মোল্লাতান্ত্রিক রুসম রেওয়াজ নিয়ে পথহারিয়ে বিভ্রান্ত।
সব ধর্ম পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে, নাস্তিকরা যুক্তি দিয়ে সকল ধর্মগ্রন্থকে সকল ধর্মকে কোনঠাসা করে ছেড়েছে। কোনঠাসা মানে ধর্মগুলি বিলীন প্রায়।
এমনকি মোল্লাতান্ত্রিক ইসলামকে মুসলমানরা মুখে স্বীকার করলেও কাজে বহু সংখ্যক নাস্তিক। কারণ হাদীসে এমনকি বুখারী মুসলিম তিরমিযিতে যা কিছু আছে তা অনেক কিছু রাসূল (সা.) এর নামে বানানো কথা। সেগুলোকে নির্বোধরা হাদীস মনে করছে।
যেমন রাসূল কি একথা বলবেন - যে কন্যাশিশুকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়েছে সে জাহান্নামে যাবে (তিরমিযিতে আছে)।
এরকম শত শত বিবেকবিরোধী স্পষ্ট মিথ্যা লেখা আছে সহীহ হাদীসগুলোতেও। এখন নাস্তিকরা কুরআনকে ভূল প্রমাণ করতে না পেরে হাদীস দিয়ে প্রশ্ন করছে। আর মুসলিম স্কলাররা একপ্রকার গোঁজামিল দিয়ে উত্তর দিচ্ছে।
জাকির নায়িক সাহেবও এরকম করছেন। মোল্লারা বলছে বাপুরে এগুলো লুকিয়ে রাখ বলা দরকার কি, ইমান যাবে। কিন্তু নাস্তিকরা তা ওপেন করে দিচ্ছে এমতাবস্থায় বোকারা হাদীসকে ভুল না বলে- ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি করছে।
আর ইসলামী স্কলাররা মুসলমানদেরকে কুসংস্কারে রেখেই নাস্তিকদেরকে মুসলমান বানাতে ব্যস্ত। বলছে, তোমরা হাদীস দেখ না কোরান দেখ।
কিন্তু প্রতি অক্ষরে দশনেকী আর সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব হয়ে যায়, তাই আর কে যায় কুরআন বুঝে পড়তে। সুতরাং হাদীসই পড়ো বুঝে বুঝে হে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলিম জাতি।
যাহোক , আপনার পোষ্টগুলো পড়া হয়। অন্তত একজনকে দেখছি ভ্রান্ত বিশ্বাসের বিপরীতে সচেতন এবং অন্যদেরকে সচেতন করছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




