somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমজানঃ আত্ম শুদ্ধি, অর্থনৈতিক সংযম এবং সম্পদ বন্টনের নৈতিক দীক্ষা

২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিয়াম সাধনার অন্যতম উদ্দেশ্য আত্মশুদ্ধি, পাপাচার থেকে নিবৃত হওয়া, অর্থনৈতিক প্রয়োজনকে সংযত করা, বস্তুবাদী এবং ভোগবাদী জীবন যাপন কে পরিহার করা, যাকাত এবং সম্পদ বন্টনের নৈতিক এবং মানসিক দীক্ষা নেওয়া। ব্যক্তি জীবনে নিয়মানুবর্তীতা এবং শৃঙ্খলাবোধ তৈরির জন্য সিয়াম অনন্য। বাহুল্য বর্জন এবং নিজের সম্পদের যে অংশকে আল্লাহ্‌ গরীবের হক বলে নির্ধারিত করে দিয়েছেন তার অবমুক্ত করন, এই সম্পদ বিয়োগের জন্য মন মানসিকতাকে পরিশুদ্ধ এবং প্রস্তুত করাই সিয়ামের অন্যতম প্রধান তাৎপর্য।

তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতাঃ

উপবাসী থাকা সিয়াম সাধনার প্রধান অঙ্গ হওয়ার তাৎপর্য কী? উপবাস হলো মানুষের অর্থনৈতিক প্রয়োজনকে সংযত, সংকুচিত করার কার্যকর প্রচেষ্টা। উপবাস অর্থনৈতিক প্রয়োজন সংযত ও প্রদর্শিত করার সংকল্পের প্রতীক। খাদ্য মানুষের সর্বপ্রধান না হলেও সর্বপ্রথম প্রয়োজন। অনেকের মতেই সর্বপ্রধান। দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করা মানুষের জন্য খাদ্য প্রাণদায়ী মৌলিক চাহিদা। সব প্রয়োজনের চেয়ে মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন বেশি। তাই মৌলিক এই প্রয়োজন কে দমিত করার মাধ্যমেই ধৈর্য ও আত্মশুদ্ধি বেসিক শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে।

বড় বাড়ি, সুন্দর আঙিনা, সুসজ্জিত ড্রয়িং রুম ইত্যাদির অভাববোধকে আমার আপনার সিয়াম কতটুকু কমাতে পারল? দামি দামি জুতা-জামা- স্যুট-শাড়ি-ঘড়ি-গাড়ি-বাড়ি কেনার ইচ্ছাকে আমাদের রোজা কি কিছুটাও কি দমিত করেছে? অসংখ্য ভুখা-নাঙার ভিড় ঠেলে শেরওয়ানি পরে ঈদের জামাতে যেতে আমাদের কি লজ্জাবোধ হয়? তা না হলে আমাদের সিয়াম সাধনাই কি ব্যর্থ নয়? যে দেশে মানুষ পথের পাশে চার হাত উঁচু ছাউনির নিচে থাকতে গিয়েও উচ্ছিন্ন হয়, সে দেশে আপনার ঘরের মেঝে বিদেশী পাথরে মোজাইক করার প্রবণতা ও ইচ্ছাকে আপনার দীর্ঘ এক মাসের উপবাস কি প্রদমিত করতে পেরেছে? পারেনি? তাহলে আপনার আমার সিয়ামের মাধ্যমে হয়তো শুধু ক্ষুৎপিপাসার গ্লানিই পেলাম আমরা। বোধ হয় এর বেশি কিছু নয়।

সারা দিন উপবাস থেকে আপনাকে প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনের কথা ভাবতে হবে, আর মনে মনে বলতে হবে, এটা ছাড়াও আমার চলতে পারে, ওটা ছাড়াও চলতে পারে। আমাদের আত্মিক শক্তি বাড়াতে হবে, অর্থনৈতিক প্রয়োজন-চিন্তা করতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে, ভোগ নয় ত্যাগই মানবজীবনকে মহীয়ান করে, সংসারকে সুন্দর করে। এতে শুধু বিশ্বাস নয়, পূর্ণ একিন আনতে হবে। প্রতিটি কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনাকে ভাবতে হবে, এটা আমার না হলেও চলে। আমার মন আমার শরীরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আমার আত্মার সন্তুষ্টি আমার জড়দেহের জৈবিক সন্তুষ্টির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভাবতে হবে, আমরা শুধু ক্ষুধা-তৃষ্ণাকাতর জীব নই; কারণ এগুলো তো সব পশুরই আছে। আমরা আশরাফুল মাখলুকাত; ক্ষুধা থাকলেও আমরা না খেয়ে কিছু সময় থাকতে পারি, মহত্ত্বের সাধনায় লিপ্ত হতে পারি। এরূপ চিন্তা যদি না আসে, তবে কী লাভ উপবাসে?


বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটঃ
রোজা বাংলাদেশে যতটা ধর্মীয় কল্যান সাধন এর জন্য পালিত হয় তার চেয়ে বেশি পালিত হয় অতিভোজন, ভোগ বিলাস, বেশুমার কেনাকাটা এবং বানিজ্য বৃদ্ধির মাস হিসেবে। আমরা একদিকে ইসলামের সম্পদ বণ্টন, ব্যক্তি জীবন শৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক সংযম, যাকাত ইত্যাদি নৈতিক কাঠামো মানছি না অন্য দিকে সবাই রাখে তাই রাখি টাইপের কালচারাল রোজা রাখছি আর ইফতার নামে অতিভোজন, ইফতার পার্টি নামে ভোজন বিলাসের মহা এবং কদর্য আয়োজন, ঈদ নামে অতি বিলাস এ লিপ্ত হচ্ছি বৈধ কিংবা সুদ ঘুষ প্রতারনার মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ পয়সায়।

রমজান দেশের অর্থনীতির স্ফীত করনে অসামান্য ভূমিকা রাখছে ব্যাপক ভিত্তিক ক্রয় বিক্রয় এবং আর্থিক লেন দেন এর ভলিউমে। এই মাসটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রায় একটি কোয়ার্টার (১/৪) বছর এর সমতুল্য। কিন্তু অন্যদিকে সমাজের ধনী এবং উচ্চমধ্য বিত্তের অতি ভোজন, অতি বাহুল্য, পন্য উতপাদন পন্য পরিবহন এবং উতপাদন-চাহিদার ন্যাচারাল ইলাস্টিসিটি কে নষ্ট করে, বাজার চাহিদাকে অতি মাত্রায় আমদানী নির্ভর করে। বিশেষ বিশেষ খাদ্য দ্রব্য এবং সাজ সজ্জার পোশাক আশাক, বিলাস দ্রব্য ক্রয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্থহীন অপচয় হয়।

পানাহারে সাশ্রয়, মিতব্যয়ী জীবনাচার এবং সম্পদ দানের দীক্ষা, আমাদের সমাজে শুধুমাত্র উপবাস কালচারের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা পাপচার ছাড়ছি না, হারাম উপার্জন ত্যাগ করছি না, ঘুষ ও দুর্নীতি পরিহার করছি না, আত্বশুদ্ধির কিছুই করছি না, ব্যক্তি জীবন নিয়মানুবর্তী এবং শৃঙ্খলিত করছি না, বাহুল্য এবং অপচয় কমাচ্ছি না, সম্পদের যে অংশ গরিবের হক হিসেবে নির্ধারিত তা অবমুক্ত করছি না।


আহারে সংযমঃ
রমজানের দাবি, ভোজন ব্যাপারে আত্মসংযম অনুশীলন করা। কিন্তু আমরা ধনী-নির্ধন প্রায় সবাই করি তার উল্টো। রমজান মাসে আমাদের খাওয়া উচিত সবচেয়ে কম। রাসুল (স.)-এর সময় রমজান আসত গরিবদের জন্য আল্লাহর খাস রহমত হিসেবে। কারণ, এটা ছিল তাদের গুনাহ মাফ ও সওয়াব হাসিলের মাস। তাঁরা কোনো বিলাসে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর ইবাদতেই বেশি লিপ্ত থাকতেন। তাঁরাই হতেন সমাজের সবচেয়ে পরহেজগার শ্রেণী। আর ধনীরা ধনদৌলতের জন্য লজ্জিত হয়ে এ মাসে তাঁরা প্রমাণ করতেন, ধন তাঁদের নিজের ভোগের জন্য নয়।
স্বল্পাহারের মাধ্যমে মনে সংযম সৃষ্টির যে মহৎ উদ্দেশ্য আজ সে মহৎ উদ্দেশ্য ভোজনবিলাস চরিতার্থের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মনে হয়।

খুদের রাক্ষসঃ
আমাদের সামজের একটি অংশ আছে যারা, বিভিন্ন ছুতায়, স্বাস্থ্য হানির কথা বলে রোজার বিরোধিতা করেন অথবা অলসতা করেন। বিরোধিতা আসে কিছু মানুষের ধর্ম বিদ্বেষ থেকে। কিন্তু অলসতার প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে কাজ করে পাপাচার হতে নিবৃত না হবার চারিত্রিক বক্রতা, সম্পদের লোভ এবং ক্ষুধার হীন কাতরতা। এরা যাকাত কে অস্বীকার করে মূলত লোভ এবং কৃপণতার কারনে। ত্যাগের এবং বাহুল্য পরিহারের এই মহৎ উদেশ্যের বিপরীতে সম্পদ, ভোগ, বাহুল্য এবং ক্ষুধার গোলামীকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে হীন।

হারাম উপার্জন এবং সংযমঃ
যারা একদিকে (ঘুষ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা) হারাম খায় ও হারাম রোজগার করে, তারা আবার নিয়মিত রোজাও করে। নিয়ত এবং কর্ম তাদের শুদ্ধ নয়, অথচ তারা আত্মশুদ্ধি চায়। একই সাথে সমাজ এবং নিজেকে ফাঁকি দেওয়ার এই প্রচেষ্টায় কখনোই আত্মোন্নতি লাভ হয় না। যে কাজ জন্য নিষিদ্ধ, সে হারাম কাজ এবং হারাম উপার্জন রোজার মধ্যে খাওয়া, রোজাকে উপহাস করা নয় কি? সিয়াম সাধনার মাধ্যমে সুদ, ঘুষ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা পরিহার করলে উপোস করে কোনই ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ফায়দা নেই।

সাংস্কৃতিক রোজাঃ
শুধু শিশু-কিশোররাই নয়, আমাদের প্রবীণদের অনেকেই নিতান্ত সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে সিয়াম পালন করেন। তাঁরা দেখে এসেছেন, তাঁদের মা-বাবা, দাদা-দাদি সিয়াম পালন করেছেন, বর্তমানেও সমাজের বহু ব্যক্তি সিয়াম পালন করেন। যারা সিয়াম পালন করে না, তাদের লোকে খারাপ মনে করে। তাই সিয়াম সামাজিক কারণেই পালন করতে হয়। এই সামাজিক রোজায় কি সিয়ামের আসল উদ্দেশ্য হাসিল হয়?

আল কোরআন এবং আল হাদিস এর বানী সংকলনঃ

যাকাত এবং সম্পদ বন্টনঃ
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘তাদের (সম্পদশালীদের) ধন-সম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’ (সূরা আল-জারিআত, আয়াত: ১৯)
পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘ধন-সম্পদ যেন শুধু তোমাদের ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়।’ (সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৭)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জাকাত ইসলামের সেতু।’ (মুসলিম)

প্রতারণাঃ
‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা পরস্পরের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তবে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যেতে পারে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত- ২৯)
নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘যে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)

গুদামজাত করনঃ
এই মর্মে রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘পাপী ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দুষ্প্রাপ্যতার সময় গুদামজাত করে না।’ (মুসলিম)


ধৈর্য ও সহনশীলতার শিক্ষাঃ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এটা সবর বা ধৈর্যের মাস, আর সবরের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত।’ (মিশকাত)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রোজার দিনে কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল না করে। তার সঙ্গে কেউ ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে সে যেন (অধৈর্য না হয়ে) বলে, আমি রোজাদার।’ (বুখারি)
হাদিস শরিফে রোজাকে ‘শরীরে জাকাত’ আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে ‘রোজা ধৈর্যের অর্ধেক এবং ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ধৈর্য জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার।’
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই ধৈর্যশীলদের তাদের (ধৈর্যের) প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে।’ (সূরা আল-জুুমার, আয়াত-১০)

সিয়াম সাধনার অন্যতম উদ্দেশ্য আত্মশুদ্ধি, পাপাচার থেকে নিবৃত হওয়া, অর্থনৈতিক প্রয়োজনকে সংযত করা, বস্তুবাদী এবং ভোগবাদী জীবন যাপন কে পরিহার করা, যাকাত এবং সম্পদ বন্টনের নৈতিক এবং মানসিক দীক্ষা নেওয়া। ব্যক্তি জীবনে নিয়মানুবর্তীতা এবং শৃঙ্খলাবোধ তৈরির জন্য সিয়াম অনন্য। বাহুল্য বর্জন এবং নিজের সম্পদের যে অংশকে আল্লাহ্‌ গরীবের হক বলে নির্ধারিত করে দিয়েছেন তার অবমুক্ত করন, এই সম্পদ বিয়োগের জন্য মন মানসিকতাকে পরিশুদ্ধ এবং প্রস্তুত করাই সিয়ামের অন্যতম প্রধান তাৎপর্য।

ক্ষুধার কাতরতা, সুদ, ঘুষ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, অতি ভোজন, লোক দেখানো বিলাস, প্রচলিত কুপ্রথা ভিত্তিক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিধানের যা ক্ষতিকর তার অবসান চাই। রমজানের মহৎ উদ্দেশ্য বাহুল্য বর্জন, ধৈর্য ধারন, শৃঙ্খলিত নিয়মানুবর্তী জীবন জাপন ,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে বিভাজন মুক্ত সমাজ তৈরি। ব্যক্তি এবং সমাজে নৈতিক শুদ্ধি আসুক, ব্যক্তি জীবন লোভ মুক্ত হোক, সমাজ পাপাচার মুক্ত হোক। ক্ষমা এবং ধৈর্য ধারন সাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত গুন হয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। কল্যাণময় হোক সাধারনের সমাজ জীবন।


অনুলিখন/সংকলিত পোস্ট
""পবিত্র সিয়াম ও অর্থনৈতিক সংযম"" এ জেড এম শামসুল আলম, অবলম্বনে।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×