ন্যাশনালিজম ইজ ন্যারোইজম ।
ন্যাশনালিজমের মাধ্যমে অতি সুক্ষভাবে আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে । শুধু বিচ্ছিন্ন নয় আমাদেরকে নিদ্রিষ্ট বাওনডারী বা সীমানাদ্বারা আটকে ফেলা হচ্ছে। এই বাওনডারী বা সীমানাদ্বারা শুধু আমাদের ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা নয় , এই বাওনডারী বা সীমানা আমার রক্তের মধো , আমার চিন্তার মধো , আমার পরিবারের মধো, আমার বন্ধের মধো ।
এশিয়া মতো মহান , নৈতিক , উন্নত চিন্তাধারার সৃষ্টিশীল কিছু করতে না পারলেও কিছু অগভীর,অসার ও অমানবিক রাজনৈতিক মতবাদের জন্ম দিয়েছে ইউরোপ। তন্মধ্যে ক্যাপিটালিজম, ফ্যাসিজম, ইমপেরিয়াজম, লিবারালিজম, ডেমোক্রেসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বহুল আরোচিত চর্চিত মতবাদ ন্যাশনালিজম বা জাতীয়বাদ যেন বিশ্বরাজনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।রোমান সামাজ্য, পারস্য সামাজ্য,অটোমান সামাজ্য এভাবে বিভিন্ন সামাজ্যর অধিবাসীরূপে নিজের পরিচয় প্রদানে একসময় মানুষ গর্ববোধ করত। ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবের পর থেকে জাতীয়তাবাদী চিন্তা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের ও অবসানের পটভূমিতে জাতীয়বাদী রাষ্টের বিকাশ ঘটে। ১৯৪৫ সালে মাত্র ৫১টি জাতি রাষ্ট নিয়ে গঠিত হয় জাতিসংঘ। মাত্র ৬৩ বছর পরে পৃথিবীতে জাতিরাষ্টের সংখা ১৯৪তে এসে দাড়িয়েছে যা জাতীয়বাদের বিকাশ ও বিস্তারের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ল্যাটিন শব্দ natus থেকে nation শব্দের উৎপত্তি। যার মূলগত অর্থ রক্ত সম্পর্কযুক্ত বা বংশোদ্ভব জনসমষ্টি। একটি জনগোষ্টি যখন নিজেদেরকে ভিন্ন মনেকরে এবং ভাষা-সাহিত্য, রীতি-প্রথা,আচার-আচরণ, ধারণা-বিশ্বাস-ঐতিহ্য প্রভূতির বন্ধনে একসুত্রে গ্রথিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয় তখন তাকে জাতীয়তাবাদ বলে। জাতীয়তাবাদ তাই একটি রাজনৈতিক আবেগ উচ্ছাসের নাম।মাটি ও মানুষকে ঘিরে গড়ে ওঠা এক দূর্বিনীত ও চুড়ান্ত অনুভূতির নাম।আমরা এক আমাদের ভূমি হলো জাতীয়তাবাদের চিন্তা।জাতীয়তাবাদ নিজ দেশ বা বসবাসের স্থানকে নিজেদের কতৃত্বে নেবার প্রবল আকাংখার নাম।জাতীয়তাবাদ অন্ধকার অতীতকে টেনে নিয়ে এসে আলোকিত করতে চায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টির প্রেরণা।জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশের ক্ষেত্রে ভৌগলিক একত্ব, রেসিয়াল ইউনিটি, নিদিষ্ট ভাষা এবং একই ধর্ম-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি গুরুত্তপূর্ণ উপাদানরূপে বিবেচিত হয়। একটি জাতি গোষ্ঠির মানুষ বহুসংখ্যক রাষ্টে ও ভুখন্ডে ছিটিয়ে থাকা সত্তেও তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা বিদ্যমান থাকতে পারে । যেমন : ইহুদী জাতি। পৃথিবীতে ওমন ডজনখানেক জাতি রাষ্ট রয়েছে যাদের ভূমি অখন্ড নয়।এন্ডিয়ার আন্দামান রাজ্য মূল ভূখন্ড থেকে ১১০০ মাইল দূরে অবস্থিত । আর্জেটিনার ফকল্যান্ড দ্বপ বৃটেন থেকে ৮০০০ মাইল দূরে অবস্হিত হয়ে বৃটেনের অংশ। আবার ১২০০ বিচ্ছিন্ন ভূখন্ড নিয়ে ইন্দোনেশিয়ান জাতি গঠিত। নিদিষ্ট ভূখন্ডের ভিত্তিতে জাতি গঠনের ভৌগলিক একত্বতা কতটুকু এলাকা নিয়ে হবে আর তা কিভাবে নিধারণ করা হবে তা নিণয়ের মাপকাঠি জাতীয়তাবাদে নেই। একই বংশধারা ও রক্তসম্পকের বন্ধন কিংবা নূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য একটি জনগোষ্টির মধ্যে একাত্ব অনুভূতি স্পৃহা জাগিয়ে তোলে যা জাতীয়তাবাদ বিকাশের অন্যতম উপাদান।কিন্তু রেস ডাইভারসিটি নিয়ে অনেক জাতিরাস্ট গড়ে উঠেছে। যেমনঃ পশতুন, উজবেক , পাঠান,তাজিক, ইত্যাদি রেসের মানুষ একটি আফগান জাতি রাষ্ট গড়ে তুলেছে। ািবার ডাচ, জামার্ন ওলন্দাজ ও ইংরেজ একই বংশোদ্ভত দাবি করলেও তাদের মধ্যে একক জাতিরাষ্ট গড়ে ইঠেনী।ল্যাটিন শব্দ natus থেকে nation শব্দের উৎপত্তি। যার মূলগত অর্থ রক্ত সম্পর্কযুক্ত বা বংশোদ্ভব জনসমষ্টি। একটি জনগোষ্টি যখন নিজেদেরকে ভিন্ন মনেকরে এবং ভাষা-সাহিত্য, রীতি-প্রথা,আচার-আচরণ, ধারণা-বিশ্বাস-ঐতিহ্য প্রভূতির বন্ধনে একসুত্রে গ্রথিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয় তখন তাকে জাতীয়তাবাদ বলে। জাতীয়তাবাদ তাই একটি রাজনৈতিক আবেগ উচ্ছাসের নাম।মাটি ও মানুষকে ঘিরে গড়ে ওঠা এক দূর্বিনীত ও চুড়ান্ত অনুভূতির নাম।আমরা এক আমাদের ভূমি হলো জাতীয়তাবাদের চিন্তা।জাতীয়তাবাদ নিজ দেশ বা বসবাসের স্থানকে নিজেদের কতৃত্বে নেবার প্রবল আকাংখার নাম।জাতীয়তাবাদ অন্ধকার অতীতকে টেনে নিয়ে এসে আলোকিত করতে চায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টির প্রেরণা।জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশের ক্ষেত্রে ভৌগলিক একত্ব, রেসিয়াল ইউনিটি, নিদিষ্ট ভাষা এবং একই ধর্ম-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি গুরুত্তপূর্ণ উপাদানরূপে বিবেচিত হয়। একটি জাতি গোষ্ঠির মানুষ বহুসংখ্যক রাষ্টে ও ভুখন্ডে ছিটিয়ে থাকা সত্তেও তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা বিদ্যমান থাকতে পারে । যেমন : ইহুদী জাতি। পৃথিবীতে ওমন ডজনখানেক জাতি রাষ্ট রয়েছে যাদের ভূমি অখন্ড নয়।এন্ডিয়ার আন্দামান রাজ্য মূল ভূখন্ড থেকে ১১০০ মাইল দূরে অবস্থিত । আর্জেটিনার ফকল্যান্ড দ্বপ বৃটেন থেকে ৮০০০ মাইল দূরে অবস্হিত হয়ে বৃটেনের অংশ। আবার ১২০০ বিচ্ছিন্ন ভূখন্ড নিয়ে ইন্দোনেশিয়ান জাতি গঠিত। নিদিষ্ট ভূখন্ডের ভিত্তিতে জাতি গঠনের ভৌগলিক একত্বতা কতটুকু এলাকা নিয়ে হবে আর তা কিভাবে নিধারণ করা হবে তা নিণয়ের মাপকাঠি জাতীয়তাবাদে নেই। একই বংশধারা ও রক্তসম্পকের বন্ধন কিংবা নূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য একটি জনগোষ্টির মধ্যে একাত্ব অনুভূতি স্পৃহা জাগিয়ে তোলে যা জাতীয়তাবাদ বিকাশের অন্যতম উপাদান।কিন্তু রেস ডাইভারসিটি নিয়ে অনেক জাতিরাস্ট গড়ে উঠেছে। যেমনঃ পশতুন, উজবেক , পাঠান,তাজিক, ইত্যাদি রেসের মানুষ একটি আফগান জাতিরাষ্ট গড়ে তুলেছে। আবার ডার্চ,ওলন্দাজ,ইংরেজ ও জামার্ন একই বংশোদ্ভত দাবি করলেও তাদের মধ্যে একক জাতিরাষ্ট গড়ে উঠেনি। একই ভাষা ভাষী হওয়া সত্তেও লাতিন আমেরিকার ১৮ টি দেশ একটি জাতিরাষ্ট গঠন করতে পারিনী।আবার ইন্ডিয়ান জাতির মধ্যে ২১ টি প্রধান ভাষা ও ২০০ টি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে।একটি ধর্মবিশ্বাস একটি জাতীয়তাবাদী জাগরণ তৈরী করে।ধর্মের বন্ধন জনগণকে একটি জাতিরাষ্ট গড়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।ইসরাইল এমনি রাষ্টের উদাহরণ।কিন্তু ইহুদীদের জন্য যদি কেবল ইসরাইল রাষ্ট হবে , তবে ইহুদীরা আমেরিকায় কেন ?? একটি ধর্মকে একটি জাতিরাষ্টের ভিত্তি ধরলে ইন্ডিয়ার ৪৬ % হিন্দু ,৩০ % মুসলিম এবং ১১% প্রকৃতি পূজারি কিভাবে একই জাতি সত্তায় পরিচিত।ধর্ম জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হলে মুসলিম অধ্যুষিত আরবদেশগুলি একটি জাতিরাষ্ট কেন নয় ?
জাতীয়তাবাদ বিশ্ব সভ্যতার প্রতি ভীতি স্বরূপ।জাতীয়তাবাদের নগ্নমূতি ২য় বিশ্বযুদ্ধে মানবতার কবর রচনা করেছে।Prof Lasky তাই বলেন , "As power extends , nationalism transform into imperiallism" জাতীয়তাবাদ একটি ভয়ংকর চিন্তা ও দর্শন।জাতীয়তাবাদ নিজ সম্প্রদায় ও জনগণকে অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে শেখায়।জাতীয়তাবাদ আবেঘ -যৌক্তিকতার ধার ধারেনা । মানুষকে এমন আবেগে নিয়ে যায় যেখানে অন্য জনগোষ্ঠীকে হেয় ভাবতে অনুপ্রানিত করে। Right or Wrony my country হলো জাতীয়তাবাদের মূল কথা।এখানে মানুষ সীমাবদ্ধতার গোলকে আটকে যায়। জাতীয়তাবাদ অন্য জনগোষ্ঠী, অন্যভাষী, অন্যধর্মনুসারীদের প্রতিপক্ষ দাড় করিয়ে নেয়। এখানে মানুষকে ভ্রাতৃত্ববোধ থেকে দূরে সরিয়ে হানাহানি ও রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।পাশ্চ্যত্যের অন্ধ জাতীয়তাবাদ বংশ, বর্ন, শ্রেণী-ভাষা ও দেশ বৈষম্যের কাঁচি দিয়ে সম্পর্ক সম্বন্ধকে ছিন্ন-ভিন্ন করতে উদ্যত। ব্রিটিশ জাতি পৃথিবীবাসীকে শুনিয়েছে শাসন করার ক্ষমতা অধিকার তাদের। ফলে প্রত্যেক জাতির জনগণ নাজ নাজ জাতির পূজারী হয়েছে।
জাতীয়তাবাদের অর্থ হলো অন্য জাতির ক্ষতি করে নিজেদের সমৃদ্ধি অর্জন, অন্য জাতির ধ্বংসস্তুপের উপর নিজ জাতির সুখ স্বাচ্ছন্দ্য আয়েশ আরামের আকাশসম প্রাসাদ নির্মান। এটি Tribalism বা গোত্রবাদের একটি রূপ। এটি মানুষকে আপন করা দুরে থাক জাতীয়তাবাদ আক্রমনাত্মক ভূমিকা রাখে। জাতীয়তাবাদ জেগে উঠার চেয়ে ভয়ংকর আর কিছু নেয়। সার্বজনীনতা ও বিশালতার বিপরীত মেরুতে অবস্থিত জাতীয়তাবাদ একটি সংকীনতা, যা পরিব্যপ্ত হতে চায়না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



